সাতক্ষীরায় সংসদীয় সীমানা পুননির্ধারণের প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৫, ১১:৫৪ এএম
ছবি - সাতক্ষীরা-৪ সংসদীয় আসনের সীমানা পুননির্ধারণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা
সাতক্ষীরা-৪ সংসদীয় আসনের সীমানা পুননির্ধারণের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বুধবার (৩০ জুলাই) রাতে উপজেলা সদর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে তারা সীমানা পরিবর্তনের সিদ্ধান্তকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ উল্লেখ করে অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানান।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নেতারা অভিযোগ করেন, নতুন সীমানা নির্ধারণের ফলে একটি বিশেষ দল উপকৃত হবে এবং ভোটারদের প্রতিনিধিত্বে চরম বৈষম্য সৃষ্টি হবে। বক্তারা বলেন, এ পরিবর্তন জনস্বার্থবিরোধী এবং এতে ভোটাধিকার ক্ষুণ্ণ হবে।
সমাবেশে বক্তৃতা দেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. মো. মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সোলায়মান কবির, জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জি এম লিয়াকত আলী।
বক্তারা জানান, শ্যামনগর দেশের সবচেয়ে বড় উপজেলা হওয়া সত্ত্বেও পূর্বের মতো পৃথক আসন না রেখে আশাশুনি উপজেলার সঙ্গে একীভূত করায় জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। তারা দাবি করেন, আগের সীমানা পুনর্বহাল করা হোক বা শ্যামনগরকে নিয়ে একটি স্বতন্ত্র আসন ঘোষণা করা হোক।
সদ্য প্রকাশিত নির্বাচন কমিশনের খসড়া অনুযায়ী সাতক্ষীরার চারটি আসনের মধ্যে সাতক্ষীরা-৩ ও সাতক্ষীরা-৪এর সীমানায় বড় পরিবর্তন এসেছে। সাতক্ষীরা-৩ আসনে রাখা হয়েছে কালিগঞ্জ ও দেবহাটা উপজেলাকে, আর সাতক্ষীরা-৪ গঠিত হয়েছে শ্যামনগর ও আশাশুনি নিয়ে।
এ খসড়া প্রকাশের পর থেকে স্থানীয় রাজনৈতিক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে চলছে জোর আলোচনা ও সমালোচনা।
শ্যামনগর ও আশাশুনি উভয় উপজেলা প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ এবং দুর্বল সড়ক যোগাযোগের কারণে প্রশাসনিক ও নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনায় স্বতন্ত্র চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তাই এ দুই ভিন্ন ভৌগোলিক অবস্থানের উপজেলাকে একত্রে একটি আসনে সংযুক্ত করা সমীচীন হয়নি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।



