কটিয়াদীতে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৫, ০৪:০৭ পিএম
ছবি -কটিয়াদী পৌর সদরে কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বেথইর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতন, দুর্ব্যবহার, স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি, অপপ্রচারের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে একই স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা৷
বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে কটিয়াদী পৌর সদরে একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷
সম্মেলনে উপজেলার বেথইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সাদেকা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে।
ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোসাঃ তাহমিনা রহমান লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রধান শিক্ষক কর্তৃক মানসিক নির্যাতন, দুর্ব্যবহার, বিদ্যালয় পরিচালনায় স্বেচ্ছাচারিতা, দুনীতির অভিযোগের বিষয়ে গত ৩০ জুন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে পত্র দিয়েছি৷ এতে আমার পরিবার সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করা, অন্য শিক্ষকদের থেকে বেশি ক্লাস দেওয়া, চাকরি ছেড়ে দিতে এবং বদলির চাপ সৃষ্টি করে মানসিক নির্যাতন শুরু করেন।
এছাড়াও পারিবারিক ও রাজনৈতিক প্রভাবে আত্মীয়স্বজনদের মাধ্যমে গোপনে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা, স্লিপ প্রণয়ন দল ও সামাজিক নিরীক্ষা কমিটিতে স্বজনপ্রীতি করা হয়েছে৷ বিগত অর্থবছরগুলোয় বিদ্যালয় পরিচালনা ও উন্নয়ন বাজেটের সিংহভাগ টাকা স্লিপ না করে ভুয়া ভাউচারে মাধ্যমে উত্তোলন করেছেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে তাহমিনা আরো বলেন, গত ২৩ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এ বিষয়ে তদন্তে এলে পূর্বেই টের পেয়ে কিছু বিষয় তড়িঘড়ি ধামাচাপার চেষ্টা করা হয়৷ এলাকাবাসী, অভিভাবকরা শিক্ষা অফিসারের কাছে অভিযোগ তুলে ধরেন৷ এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে তার নিজস্ব লোকজন দিয়ে মানববন্ধন করে নানান অপপ্রচার করা হয়েছে৷ আমার বাবা বিএনপি নেতার প্রভাব বিস্তারের ভিত্তিহীন কথা প্রচার করা হয়েছে৷ বরং প্রধান শিক্ষকের পরিবারে ফ্যাসিবাদের দোসর রয়েছে৷ আমি বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে সমস্যা নিরসন চাই৷
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষিকার স্বজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফাতেমা, সুমা আক্তার, উম্মে আইমন, শায়রিন প্রমুখ৷
অভিযোগের বিষয়ে বেথইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সাদেকা ইয়াসমিন জানান, আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালীন আমার পরিবার জমি দিয়েছে। আমাদের অবদান রয়েছে৷ আমি স্কুলের সঠিক দায়িত্ব পালনে তাকে বলার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে এসব করে যাচ্ছেন৷



