Logo
Logo
×

সারাদেশ

দুইদিনেও ফিরে যেতে পারেনি সেন্টমার্টিনে আশ্রয় নেওয়া ২০ রোহিঙ্গা

Icon

কক্সবাজার প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৫, ০৩:১৮ পিএম

দুইদিনেও ফিরে যেতে পারেনি সেন্টমার্টিনে আশ্রয় নেওয়া ২০ রোহিঙ্গা

ছবি : দুইদিনেও ফিরে যেতে পারেনি সেন্টমার্টিনে আশ্রয় নেওয়া ২০ রোহিঙ্গা

সাগর উত্তাল থাকার কারণে মিয়ানমার থেকে আসা ২০রোহিঙ্গা ও একটি ট্রলার রবিবারও ফিরে যেতে পারেনি। ফলে তারা দুইদিন ধরে সেন্টমাটিন দ্বীপের বর্ডার র্গাড বাংলাদেশ বিজিবির হেফাজতে রয়েছেন।

গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সাগর উত্তাল থাকায় ট্রলারটি সেন্টমার্টিনের উত্তর সৈকতের তীরে ভেড়ে। ট্রলারে থাকা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ, ৩ জন নারী ও একজন শিশু রয়েছে। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন একটি পরিবারের সদস্যও রয়েছেন। 

রবিবার এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম। 

সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় তাঁদেরকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি। আবহাওয়ার পরিস্থিতি ভালো হলে রোহিঙ্গাসহ ট্রলারটি মিয়ানমারের ফেরত পাঠানো হবে বলে বর্ডার র্গাড বাংলাদেশ বিজিবির দায়িত্বশীল একজন কর্মকতা জানিয়েছেন। তিনি বলেন,রোহিঙ্গারা বর্তমানের সেন্টমাটিন দ্বীপে বিজিবির হেফাজতে রয়েছেন।

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন,‘গত শুক্রবার দুপুরের দিকে রোহিঙ্গাবাহী ট্রলারটি দ্বীপের উত্তর সৈকতে ভেড়ে। ট্রলারে থাকা পাঁচজন একটি পরিবারের সদস্য।এছাড়া বাকি ১৫জনের মধ্যে ৭জন মাঝিমাল্লা। সাগর উত্তাল হয়ে পড়ায় তাঁরা জীবন বাঁচাতে সেন্টমাটিন দ্বীপের তীরে আশ্রয় নিয়েছিলেন।’

রোহিঙ্গারা জানান, মিয়ানমারে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘাতের কারণে তাঁরা সে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন।বেশ কয়েকজন আগে কারাগারে বন্দী ছিলেন। মুক্তি পাওয়ার পর তাঁরা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে সাগরে ঝড়ের মুখে পড়ে ট্রলারটি সেন্টমার্টিনের উপকূলে চলে আসে।

স্থানীয় লোকজন ট্রলারটি দেখতে পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে খবর দেন। পরে বিজিবির একটি দল গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে একটি হোটেলের কক্ষে আশ্রয় দেয়। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তাঁদের খাবার দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তাঁরা বিজিবির হেফাজতে রয়েছেন। 

সীমান্ত-সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘাত শুরু হয়। টানা ১১ মাসের যুদ্ধের পর ওই বছরের ৮ ডিসেম্বর মংডুসহ রাখাইনের প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকা আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। এর ফলে গত ১৮ মাসে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে নতুন করে প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন