প্রিন্ট: ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ০১:২২ এএম
মাদ্রাসাপ্রধানকে জিম্মি করে কমিটি গঠনের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩৪ এএম
ছবি - রামগতির জামিয়া ইসলামিয়া কলাকোপা মাদ্রাসা
লক্ষ্মীপুরের রামগতির জামিয়া ইসলামিয়া কলাকোপা মাদ্রাসার মোহতামিম আখতার হোসাইনকে দিনভর অবরুদ্ধ রেখে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে নতুন পরিচালনা কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে চরবাদাম ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মিয়া মোহাম্মদ ইউছুপের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি দলীয় লোকজন নিয়ে মাদ্রাসাপ্রধানকে কক্ষে আটকে রাখেন এবং পূর্ববর্তী কমিটি বাতিলের কাগজে স্বাক্ষর নেন।
এ ঘটনায় শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকালে প্রেস ব্রিফিং করেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাওলানা মিয়া মোহাম্মদ ইলিয়াস। সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন কমিটির সহসভাপতি ও জামায়াত নেতা মাওলানা হুমায়ুন কবির ও সদস্য মো. রিয়াজ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ইলিয়াস বলেন, ১০০ বছরের পুরনো এই মাদ্রাসার ৭ একর সম্পত্তি রয়েছে। ২০১৬ সালে একটি চক্র পূর্বের মোহতামিমকে অবরুদ্ধ করে সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করে। তারা আওয়ামীপন্থী একটি অংশকে নিয়ে মাদ্রাসার নেতৃত্ব দেয়। পরে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন হলে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আমি সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করি এবং সীমানা নির্ধারণ ও সম্পত্তি উদ্ধারের কাজ শুরু করি।”
তিনি আরো বলেন, “এই কাজ থামাতেই নতুন করে চক্রান্ত চলছে। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার চরবাদাম ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মিয়া মোহাম্মদ ইউছুপ মাদ্রাসাপ্রধানকে জিম্মি করে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়।”
এ বিষয়ে মাদ্রাসার মোহতামিম মওলানা আখতার হোছাইন বলেন, বিএনপি নেতা মিয়া মোহাম্মদ ইউছুপ তার লোকজন নিয়ে হঠাৎ মাদ্রাসা এসে আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি দেয়। একপর্যায়ে তাদের ভয়ে টয়লেটে গিয়ে আশ্রয় নেই। পরে তারা আমাকে ওখান থেকে ধরে এনে কমিটি বিলুপ্তির কাগজে স্বাক্ষর নেয়।
নতুন কমিটির দায়িত্ব পাওয়া কারামতিয়া আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা হারুনুর রশিদ বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে দুজন লোক এসে আমাকে নিয়ে যায়। পরে মিয়া মোহাম্মদ ইউছুপ আমাকে মাদ্রাসা পরিচালনার কমিটির সভাপতির দায়িত্ব দেয়। এর বাইরে আমি কিছুই জানি না।
অভিযোগের বিষয়ে চরবাদাম ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মিয়া মোহাম্মদ ইউছুপ বলেন,বর্তমান মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি ও মোহতামিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ রয়েছে। এতে শিক্ষার্থীসহ এলাকার লোকজন একত্রিত হয়ে কমিটি বাতিল করে। এবং কারামতিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা হারুনুর রশিদকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।



















