গোপালগঞ্জে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৬:৪৩ পিএম
ছবি- সংগৃহীত
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচির আগে ও পরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এক সময় সমাবেশস্থল ও আশপাশ এলাকা ‘রণক্ষেত্রে’ পরিণত হয়। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের ওপরও হামলা করে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত লোকজন। বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত কয়েক দফায় এমন ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সমাবেশস্থল ছাড়াও গোপালগঞ্জ জেলা রিপোর্টার্স ফোরামের অফিসে হামলা চালায় আওয়ামী লীগের লোকজন। এ সময় যমুনা টিভির সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মোজাম্মেল হোসেন মুন্না ও ডিবিসি টেলিভিশনের রিপোর্টার সুব্রত সাহা বাপিসহ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
পরে আহতদের গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না যে কতজন হতাহত হয়েছেন।
এর আগে দুপুর পৌনে ২টার দিকে ২০০-৩০০ লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে এনসিপির সমাবেশস্থলে যায়। সে সময় মঞ্চের আশপাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা সেখান থেকে দ্রুত আদালত চত্বরে ঢুকে পড়েন। একই সময়ে মঞ্চে ও মঞ্চের সামনে থাকা এনসিপির নেতাকর্মীরাও দৌড়ে সরে যান। যারা হামলা চালান, তারা সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে জানান এনসিপির নেতাকর্মীরা।
ওই সময় হামলাকারীরা মঞ্চের চেয়ার ভাঙচুর করেন, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন। একপর্যায়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে যান। এনসিপির নেতাকর্মী ও পুলিশ এক হয়ে ধাওয়া দিলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। পরে এনসিপি সেখানে সমাবেশ শুরু করে। কিন্তু সমাবেশ শেষে আবারও হামলা চালায় হামলাকারীরা। এমন পরিস্থিতিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
এদিকে পুলিশ, গণমাধ্যমকর্মী ও এনসিপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনাকে লজ্জাজনক বলে অভিহিত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানানো হয়,আজ গোপালগঞ্জে সংঘটিত সহিংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তরুণদের বিপ্লবী আন্দোলনের এক বছরপূর্তি উপলক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার অধিকার হরণ করা হয়েছে, যা গভীর উদ্বেগজনক এবং মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমান। এনসিপি নেতাকর্মী, পুলিশ সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীরা নৃশংস হামলার শিকার হয়েছেন; তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় অনেককে মারধর করা হয়েছে।



