
প্রিন্ট: ২৮ জুলাই ২০২৫, ০৭:৫৪ এএম
ব্রীজের সংযোগ নেই, সাঁকো দিয়ে ব্রীজ পারপার

আব্দুর রাজ্জাক বকশীগঞ্জ, জমালপুর
প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৫:১৫ পিএম
-6866665aa0537.jpg)
ছবি-যুগের চিন্তা
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের খেতারচর এলাকায় ৯ বছর ধরে বাঁশের সাঁকো দিয়ে ব্রীজ পারাপার হচ্ছে দশ গ্রামের হাজার হাজার পথচারী।
গত ৯ বছর আগে বন্যায় ওই ব্রীজের এক পাশের সংযোগ সড়ক ধ্বসে গেছে। দীর্ঘ নয় বছর অতিবাহিত হলেও ওই ব্রীজের সংযোগ সড়কটি মেরামত করা হয়নি ফলে চরম দূর্ভোগের শিক্ষার হচ্ছে হাজার হাজার পথচারী। শিঙি ডোবা নদীর সংযোগ খালের উপর খেতারচর গ্রামের এই ব্রীজ পারাপারের জন্য বিকল্প পাটাতন দিয়ে তৈরী বাঁশের ওই সাকোঁ দিয়েই ব্রীজে উঠে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে খানপাড়া, মোল্লা পাড়া, থাঠারু পাড়া, মসজিদ পাড়া, উত্তর ধাতুয়াকান্দা, দক্ষিণ ধাতুয়াকানদা, ঝালুরচর পশ্চিম পাড়া সহ দশ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ
এই ব্রীজ পার হয়েই -সাধুর পাড়া নজরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়, আলহাজ্ব কছর উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসা, সাধুর পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ ধাতুয়া কান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী সহ সাধারণ পথচারীদের সাধুর পাড়া ইউনিয়ন পরিষদ, সাধুর পাড়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাতায়াত করতে হয়।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ব্রীজটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ কোন ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারেনা। ব্রীজের একপাশে বন্যায় বেশির ভাগ অংশই ধসে ভেঙ্গে পড়েছে, একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে কোন রকম পথচারীরা চলাচল করছে, এতে করে যে কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। যেকোন সময় নড়বড়ে ওই বাঁশের সাঁকো ভেঙ্গে দূর্ঘটনার আশংকা রয়েছে জনমনে। দিনের বেলায় পথচারীরা চলাচল করতে পারলেও রাতে চলাচল করতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ব্রীজটির একপাশে মাটি না থাকায় ওই রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন, চলাচল করতে পারছে না।
ধাতুয়া কান্দা গ্রামের সাইফুল ইসলাম জানান দীর্ঘ নয় বছরেও এই ব্রীজের সংযোগ সড়কটি মেরামত না করা যথাযথ কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলা। একারণে জনচলাচলে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
ওই পথচারী শিক্ষার্থী আশা মনি বলেন পাটাতনের ওই সাকোঁ দিয়ে ব্রীজে উঠতে খুবই ডর করে, তবুও ডর ভয় কে জয় করেই প্রতিনিয়ত সেই পথেই স্কুলে যেতে হয়।
সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা তিনি জানান এই ব্রীজের সংযোগ স্থাপনের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কে অবহিত করা হয়েছে। চলতি বছরেই কাজটি বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করছি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান সুমন বলেন জনচলাচলের জন্য ওইখানে টি আর প্রকল্পের মাধ্যমে বিকল্প সাকোঁর ব্যবস্থা করা হয়েছে। চলতি বছরেই এখানে বড় আকারের একটি ব্রীজ করার প্রস্তুতি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।