
প্রিন্ট: ২৮ জুলাই ২০২৫, ০৭:৫৪ পিএম
হোমনায় তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিককে হুমকি, মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা

হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিবেদক :
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৫, ১০:১৩ পিএম
-685c274edf948.jpg)
কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিককে হুমকি দেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. শফিকুল ইসলাম।
কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় তথ্য অধিকার আইনে দরখাস্ত জমা দেওয়ার পর এক সাংবাদিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, হুমকি এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৫ জুন) দুপুর ১:৩০ দিকে ঘটনাটি ঘটেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দৈনিক সমকাল পত্রিকার হোমনা ও মেঘনা উপজেলা প্রতিনিধি জুনায়েদ আহমেদ ২০২৪–২৫ অর্থবছরের বিভিন্ন প্রকল্পের বাজেট ও ব্যয়ের হিসাব জানতে তথ্য অধিকার আইনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি দরখাস্ত জমা দেন। পরে হোমনা ইউএনও ক্ষেমালিকা চাকমা ওনার অফিসের স্টাফ দিয়ে সেটি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের দপ্তরে প্রেরণ করলে, সাংবাদিক জুনায়েদ আহমেদের সামনেই আবেদনপত্রটি পিআইও কর্মকর্তার হাতেই তুলে দেন । তবে দরখাস্তের রিসিভ কপি চাইলে পিআইও মো. শফিকুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং সাংবাদিককে ‘পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার’ হুমকি দেন। একপর্যায়ে তিনি জুনায়েদ আহমেদের হাত থেকে মোবাইল ফোনটিও ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার হোমনা প্রতিনিধি দেলোয়ার হোসেন (কবি দেলোয়ার)। তিনি বলেন, “ঘটনার সময় জুনায়েদকে হেনস্তা করা হয় এবং পিআইও দরখাস্তটি রেখে দেন। এছাড়াও পুলিশে দিয়ে দিবেন বলেও বলতে শুনেছি। তবে তাঁর আচরণ ছিল অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ।”
বিষয়টি জানতে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষেমালিকা চাকমা বলেন, “এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তাঁদের ভাষ্য, একজন সরকারি কর্মকর্তা কীভাবে একটি তথ্য-সংক্রান্ত আবেদনকে কেন্দ্র করে এ ধরনের ভাষা ও আচরণ প্রদর্শন করতে পারেন তা ভাবতেই আতঙ্ক লাগে।
তাঁদের দাবি, তথ্য অধিকার আইনের মতো সাংবিধানিক অধিকারকে হুমকির মুখে ফেলার এই ধরনের আচরণ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সরকারি দপ্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হলে অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দ্রুত এবং কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।
এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠে।