
প্রিন্ট: ৩১ জুলাই ২০২৫, ০৭:৫১ এএম
অপহৃত রোহিঙ্গা শিশুর মরদেহ উদ্ধার

কক্সবাজার প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৫, ০৪:২২ পিএম

ছবি - অপহৃত রোহিঙ্গা শিশু
কক্সবাজারের টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অপহৃত শিশুর দুইদিন পর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে ১৭ জুন অপহৃত চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার কিশোরের কোনো হদিস মিলেনি ৬ দিনেও।
টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিমেল রায় এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এর মধ্যে রবিবার (২২ জুন) ভোরে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদাস্থ ২৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশের খাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (৭) নামের এক রোহিঙ্গা শিশুর মরদেহ।
আবদুল্লাহ একই ক্যাম্পের সি ব্লকের হামিদ হোসেনের ছেলে।
পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিমেল রায় জানান, গত ২০ জুন বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে নিখোঁজ হন শিশুটি। এর পর অজ্ঞাত স্থান থেকে মোবাইল নম্বর ০১৮৪৮৩০৭৪৮৩ থেকে শিশুর বাবার ফোন নাম্বারে ফোন করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা না দিলে হত্যা করবে মর্মে হুমকি দেয়। পরবর্তীতে মুক্তিপণের টাকা না দেওয়াতে অপহরণকারীরা শিশুটিকে হত্যা করে মরদেহ পানিতে ভাসিয়ে দেয়। রবিবার ভোরে লেদার খালের পানিতে মরদেহ দেখতে পেয়ে তার পরিবারকে খবর দেয় এবং তারা এসে মরদেহটি উদ্ধার করে তাদের নিজ শেডের সামনে নিয়ে আসে। সংবাদ টেকনাফ থানা পুলিশ মৃতের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
এদিকে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থেকে কক্সবাজার আসার পথে অপহৃত কিশোর রিয়াজুল হাসানকে (১৮) ৬ দিনেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
রিয়াজুল চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানার চরম্বা ইউনিয়নের চরম্বা পদ্মশিখিলের বাসিন্দা ফেরদৌস আলমের ছেলে।
গত মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরের দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে কক্সবাজার যাওয়ার পথে সে অপহরণের শিকার হয় বলে জানিয়েছেন পিতা ফেরদৌস আলম।
নিখোঁজ থাকা কিশোরের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার-০১৮৭০-৪৯৫১৩৬-এ ফোন করলে অপরিচিত এক ব্যক্তি মুঠোফোনটি রিসিভ করে ছেলেকে জীবিত পাওয়ার ইচ্ছা থাকলে পাঁচ লাখ টাকা বিকাশ নম্বরে পাঠানোর জন্য হুমকি দেয়। অন্যথায় ছেলের লাশ গ্রহণের জন্য প্রস্তুত থাকতে হুমকি দেয়। পরে স্থানীয় থানায় একটি সাধারণ ডায়রি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে অপহৃত বা নিখোঁজ থাকা কিশোরের বর্তমান অবস্থান টেকনাফ থানাধীন হ্নীলা এলাকায় পরিলক্ষিত হয়।
টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিমেল রায় বলেন, লোহাগাড়া থেকে কক্সবাজার আসার পথে অপহৃত কিশোরকে উদ্ধারে পুলিশ তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে এখন ফোন নম্বরটি সর্বশেষ অবস্থান পাওয়া যাচ্ছে নারায়ানগঞ্জে। পুলিশ এই বিষয়ে কাজ করছে।