Logo
Logo
×

সারাদেশ

কুরিয়ারের গাফিলতি : অনলাইন আমের বাজারে ধস

Icon

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি :

প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৫, ০৪:২৪ পিএম

কুরিয়ারের গাফিলতি : অনলাইন আমের বাজারে ধস

ছবি - পচা আম

স্বাদে অনন্য হওয়ায় বিশ্বজুড়ে খ্যাতি রয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের। স্থানীয় বাজার ছাড়াও অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে এসব আম। ক্রেতাদের ঘরে সেসব আম পৌঁছে দেওয়ার অন্যতম মাধ্যম এখন কুরিয়ার সার্ভিস। তবে কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টির মধ্যে কুরিয়ারের গাফিলতিতে রাস্তায় পচে নষ্ট হচ্ছে শত শত মণ আম।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনলাইনে আম বিক্রিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ সারাদেশে যুক্ত হয়েছে শত শত যুবক। তবে অনলাইনে যারা আমের ব্যবসা করেন, তাদের শেষ ভরসা স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিস। কারণ সারাদেশে যতগুলো আমের অর্ডার যায় সবগুলো ক্রেতা হাতে আম পেয়ে কুরিয়ার প্রতিনিধিকে পেমেন্ট করেন। আর এ ক্যাশঅন ডেলিভারির কাজটি প্রথম থেকে করে আসছে স্টেডফাস্ট কুরিয়ার। তবে চলতি বছর সেবা নিয়ে চরম অনিয়ম ও দুর্ভোগের অভিযোগে পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে।

অনলাইন ব্যবসায়ীরা বলছেন, বুকিং দেওয়ার ৭-৮ দিন পার হলেও ভোক্তার কাছে পৌঁছাচ্ছে না আম। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শত কোটি টাকার অনলাইন আমের বাজার। এমনকি কুরিয়ার কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা।

সম্প্রতি বিভিন্ন সেবা নিয়ে চরম অনিয়ম ও দুর্ভোগের অভিযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাটে স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিসের শাখা অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন অনলাইন আম ব্যবসায়ীরা।

‘ঘরপণ্য’ নামের একটি ফেসবুক পেজের স্বত্বাধিকারী অলিউল আরিফিন দোলন বলেন, ৭ দিন আগে কুরিয়ারে আমাদের ৭০ ক্যারেট আম বুকিং দিয়েছিলাম। বৃষ্টিতে ভিজে রাস্তায় পচে গেছে ১৮ ক্যারেট আম। এতে আমার ক্ষতি ৩০ হাজার টাকা। এই টাকা আমাকে কে দিবে?

‘বীরবল’ অনলাইন পেজের স্বত্বাধিকারী রিমন বলেন, স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিসের অনিয়মের কারণে গত বছরও আমরা অনেক ক্ষতির মুখে পড়েছিলাম। এবারও একই ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে কানসাট বুকিং সেন্টার ঘেরাও করেছিলাম। গত বছর আমার ৫০০ পারসেল হারিয়ে গেছে। সেটিরও কোনো হিসাব পাচ্ছি না। এখন যে আমগুলোর বুকিং হচ্ছে সেগুলো ৮-১০ দিন পর ডেলিভারি হচ্ছে। এতে ক্যারেটেই পচে যাচ্ছে আম। ক্রেতারা ক্যারেট খুলে পচা আম পাচ্ছেন। ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া উপায় দেখছি না।

অনলাইন ব্যবসায়ী জিহান বলেন, ৫০ ক্যারেট আম পাঠিয়েছিলাম ১০ তারিখে। এখন পর্যন্ত ক্রেতার হাতে আম যায়নি। রাস্তায় আছে দেখাচ্ছে। এসব আম কি ভালো থাকবে। অবশ্যই পচে গেছে। আমরা এখন নিরুপায় হয়ে গেছি।

অনলাইন উদ্যোক্তা শিমুল আহমেদ বলেন, রাস্তায় নষ্ট হচ্ছে অনেক আম। আমরা একাধিকবার অভিযোগ দিয়েও ব্যবস্থা হয়নি। আমরা এখন কোথায় যাবো। কার কাছে যাবো ভেবে পাচ্ছি না।

ঘটনার পর স্টেডফাস্ট কুরিয়ারের কানসাট শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার আশিক আহমেদ বলেন, গত বছরের অভিযোগগুলোর সমাধান এখন সম্ভব নয়। তবে চলতি বছরের ১১, ১২ ও ১৩ জুন যেসব ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো সমাধানে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আশ্বাস দিয়েছেন।

স্টেডফাস্ট কুরিয়ারের স্বত্বাধিকারী কেএম রিদওয়ানুল বারী জিয়ন বলেন, ঈদের ছুটির সময় কিছু কিছু পারসেলে সমস্যা হয়েছিল। কারণ সেসময় রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়েছিল। তাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করে পণ্যের ৫০ শতাংশ টাকা ফেরত দিচ্ছি। গত বছরের কেউ পারসেল না পেলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন