Logo
Logo
×

সারাদেশ

নাম তার চোরাই কামাল

Icon

লক্ষ্মীপুর প্রতিবেদক :

প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৫, ০৮:০৩ পিএম

নাম তার চোরাই কামাল

ছবি-সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে কামাল মাঝি ওরফে চোরাই কামাল নামে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের এক সক্রিয় সদস্যের বিরুদ্ধে একাধিক চুরি, প্রতারণা ও হুমকির অভিযোগ উঠেছে। নদীপথে নৌকা ডাকাতি থেকে শুরু করে মহিষ, গরু-ছাগল, জেনারেটরের মেশিনসহ মূল্যবান জিনিস চুরি করাই তার পেশা বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।

অভিযুক্ত কামাল মাঝি (৪৫) উপজেলার চর কালকিনি ইউনিয়নের মৃত আবদুল জলিলের ছেলে।

তিনি ওই ইউনিয়নের নাসিরগঞ্জ নদীর তীরের একটি কলোনিতে বসবাস করেন।

বুধবার (১৮ জুন) সকালে কামাল মাঝির নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৭-৮ জনকে অভিযুক্ত করে কমলনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী আবুল হোসেন শনি।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ৩ তারিখে  ভোলার মনপুরা এলাকার কৃষক আবুল হোসেন শনির দুটি মহিষ চুরি হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন তিনি। এক পর্যায়ে মহিষের আশা ছেড়ে দেন আবুল হোসেন শনি।

হঠাৎ ৯ জুন কামাল মাঝি নিজেই ফোন করে মহিষের সন্ধান দেন এবং তা ফিরিয়ে দিতে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন।

মহিষ ফেরত পাওয়ার আশায় ধারদেনা করে কামালকে টাকা দেন আবুল হোসেন শনি। কিন্তু টাকা নেওয়ার পর কামাল নানা অজুহাতে মহিষ ফেরত না দিয়ে তাকে ঘুরাতে থাকেন। এক পর্যায়ে টাকা এবং মহিষ কোনটাই ফেরত দেবে না মর্মে হুমকি দেয় কামাল।

ভোলা থেকে কমলনগরে এসে দীর্ঘ আটদিন ঘুরেও মহিষ ফেরত না পাওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েন ক্ষতিগ্রস্ত আবুল হোসেন শনি। 

স্থানীয়দের অনেকেই বলেন, চোরাই কামালের বিরুদ্ধে আগে থেকেই নানা অভিযোগ রয়েছে। নৌকার মেশিন, নদীর পারের ফসল ও গবাদি পশু চুরি করে বিক্রি করে সে। কেউ প্রতিবাদ করলে ভয়ভীতি বা হত্যার হুমকি দেয় চোরাই কামাল। 

এর মধ্যে মনির আড়তদারের টিন, হারুন বেপারীর ৮ ঘোড়া মেশিন ও চারটা ছাগল ও চর কাকরা মাছঘাটের কুটি বেপারীর জেনারেটর মেশিন সহ অসংখ্য চুরির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।  কমলনগর ও বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক চুরি ও ডাকাতির মামলা রয়েছে বলেও জানান স্থানীয়রা। 

ভুক্তভোগী আবুল হোসেন শনি বলেন, কামাল মহিষ ফেরত দিবে বলে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। মহিষ আছে বলে মজু চৌধুরীর ঘাট সহ কয়েকটি স্থানে আমাকে নিয়ে হয়রানি করেছে। এবং তাদের চক্রের বিভিন্ন জনের কাছে নিয়ে যায়।  মহিষ ফেরত নিতে হলে তাদেরকেও টাকা দিতে চাপ প্রয়োগ করেন।

তিনি মহিষ ও টাকা ফেরত সহ চোরাই কামালকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত কামাল মাঝি প্রথমে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। এক পর্যায়ে বলেন, মহিষ ফেরত পাওয়ার জন্য আমি মধ্যস্থতা করে বাহার নামক তোরাবগঞ্জের এক ব্যাক্তিকে টাকা দিয়েছি।

কমলনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান। 


Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন