
প্রিন্ট: ২৭ জুন ২০২৫, ০২:৪০ এএম
প্রেমে ব্যর্থ হয়ে স্কুলছাত্রীকে হত্যা

মৌলভীবাজার প্রতিবেদক :
প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৫, ০৫:৩৫ পিএম

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার আলোচিত স্কুলছাত্রী নাফিছা জান্নাত আনজুম (১৫) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। নিহত আনজুমকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন জুনেল মিয়া (৩৯) নামের প্রতিবেশী এক যুবক। আনজুম সেই প্রেমের প্রস্তাব মেনে নেননি। ব্যর্থ হয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে আনজুমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ছড়িয়ে ফেলে রাখেন ঘাতক জুনেল।
সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে প্রেস ব্রিফিং করে এমন তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন।
তিনি বলেন, আসামি জুনেলের দেখানো মতে এবং পুলিশের তল্লাশিকালে হত্যাকাণ্ডের আশেপাশে বিভিন্ন স্থানে ফেলে রাখা নিহত আনজুমের পরিহিত বোরকা, স্কুল ব্যাগ, বই ও একটি জুতা উদ্ধার করে পুলিশ। ঘাতক জুনেল উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের বাসিন্দা জাহির মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় দিনমজুর।
তার এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে আছে। জুনেল ও আনজুমের বাড়ি পাশাপাশি।
ঘাতক জুনেল পুলিশের কাছে জানায়, নিহত আনজুম তার বাড়ির সামনের একটি রাস্তা দিয়ে প্রায়ই স্কুল ও প্রাইভেটে আসা যাওয়া করত। সেই সুবাদে আনজুমের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলার চেষ্টা করে জুনেল।
ঘটনার দিন গত ১২ জুন নিহত আনজুম পাশের গ্রামে প্রাইভেট পড়া শেষে আসামি জুনেল মিয়ার বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে ফেরার পথে সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টায় জুনেল শিক্ষার্থী আনজুমের সঙ্গে কথা বলতে বলতে তার পিছু নেয়। আনজুম বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলে জুনেল মিয়া তাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তখন আনজুম চিৎকার করলে জুনেল তার হাত দিয়ে গলায় চাপ দিয়ে ধরলে আনজুম ঘটনাস্থল কিরিম শাহ মাজারের মধ্যের রাস্তায় অচেতন হয়ে পড়ে।
এরপর আনজুমকে মোকাম সংলগ্ন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া ছড়ার পাড়ে ঝোপে ফেলে রাখে ঘাতক জুনেল।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) নোবেল চাকমা, কুলাউড়া থানার ওসি মো. গোলাম আপছার, ওসি (তদন্ত) সুদীপ্ত ভট্টাচার্য্য প্রমুখ।