
প্রিন্ট: ১২ জুন ২০২৫, ০৩:৪০ এএম
রাজউককে জনবান্ধব করতে এর আইন ও বোর্ডের গঠন বদলাতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪৬ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে জনবান্ধব ও আধুনিক করতে টাউন ইমপ্রুভমেন্ট অ্যাক্ট এবং বিল্ডিং কন্সট্রাকশন অ্যাক্ট নতুনভাবে প্রণয়ন করা জরুরি। তিনি মনে করেন, সামান্য পরিবর্তন যথেষ্ট নয়; সময় ও বাস্তবতার চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো রেখে নতুনভাবে আইন প্রণয়ন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, রাজউকের বোর্ডে শুধুমাত্র আমলাদের উপস্থিতি যথেষ্ট নয়। বোর্ডে শহর পরিকল্পনায় দক্ষ বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত এবং কাজের জন্য ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা প্রয়োজন।
রাজউক চেয়ারম্যানের রেসিডেন্সিয়াল ভবনকে কমার্শিয়াল করার ক্ষমতা রহিত করার প্রস্তাব দিয়ে তিনি বলেন, মহাপরিকল্পনার বাইরে না গিয়েই বোর্ড এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ঢাকা শহরের জন্য একটি নতুন ভিশন দরকার, যেখানে সিভিল সোসাইটি, রাজউক এবং সাধারণ মানুষের মতামত প্রতিফলিত হবে।
তিনি আরও বলেন, রাজউককে পরিষ্কারভাবে নির্ধারণ করতে হবে যে তারা ডেভেলপার না রেগুলেটর। রাজউককে আর হাউজিং প্রকল্পে যুক্ত করা যাবে না। গৃহহীনদের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করা যেতে পারে, কিন্তু ধনীদের জন্য নয়।
এছাড়া, এলাকাভিত্তিক মাস্টারপ্ল্যান তৈরি এবং বেসরকারি হাউজিং নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি। তিনি বলেন, রাজউককে রাজনৈতিক চাপমুক্ত রাখতে হবে এবং জাতীয় ও নির্মিত ঐতিহ্য রক্ষায় কাজ করতে হবে।
রাজউকের ভবনকে আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব করার পাশাপাশি প্রতিটি প্রকল্পের এক্সিট প্ল্যান থাকা উচিত বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। রাজউক ও এস্টেট ডিপার্টমেন্টকে জনসেবামুখী হতে হবে, সেবা ডিজিটালাইজ করতে হবে এবং অভিযোগ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে।
তিনি তোতাইল বিলের মতো জলাশয় পুনঃখনন, রাস্তার পাশে গাছ লাগানো এবং হাউজিং প্রকল্প শেষ হওয়ার পরও মনিটরিং চালু রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: নজরুল ইসলাম এবং রাজউকের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এই মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন।