
প্রিন্ট: ১১ জুন ২০২৫, ০৪:০৬ পিএম
শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যার ঘটনায় দুই ছাত্রী সাময়িক বহিষ্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৮ পিএম

জাহিদুল ইসলাম পারভেজ
প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স দুই ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। একইসঙ্গে পারভেজের মর্মান্তিক মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন মোবাশ্বের আলী খন্দকার। এর আগেই, সোমবার (২১ এপ্রিল) বহিষ্কারের চিঠি ইস্যু করা হয়। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টির ব্যবসায় প্রশাসন ও ইংরেজি বিভাগে অধ্যয়নরত।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির প্রাথমিক অনুসন্ধানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদসূত্রের ভিত্তিতে এই দুই শিক্ষার্থীর সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পুলিশি প্রতিবেদন ও পূর্ণাঙ্গ তদন্তের অপেক্ষায় রয়েছে কর্তৃপক্ষ।
তদন্তকালীন সময়ে বহিষ্কৃতদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন প্রক্টোরিয়াল কমিটির সদস্যরা। ফলে তদন্তের স্বার্থে এবং বহির্বিশ্বের চাপ বিবেচনায় তাদের ছাত্রত্ব সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।
রেজিস্ট্রার জানান, প্রাইমএশিয়া কর্তৃপক্ষের অনুরোধে ও নিজেদের প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে স্থায়ী বহিষ্কার ও অন্যান্য আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. রায়হানা বেগম জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এবং পারভেজের পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার অনুযায়ী, চা-সিঙ্গাড়া খেতে গিয়ে পারভেজ কিছু ছাত্রীকে দেখে হাসাহাসি করেন বলে অভিযোগ। এরপর ওই ছাত্রীদের ফোনে ডাকা বন্ধুদের মাধ্যমে হামলার পরিকল্পনা করা হয়। যদিও ঘটনাটি প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মীমাংসা করলেও পরবর্তীতে তা মারাত্মক রূপ নেয়।
অভিযুক্ত মাহাথি, মেহেরাব ও আবুজর গিফারী হাজারীবাড়ি এলাকার কয়েকজনকে নিয়ে এসে পারভেজকে ছুরিকাঘাত করে। আহত অবস্থায় দৌঁড়াতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মারা যান তিনি।