ইমামরা চাইলে একটা কল্যাণময় রাষ্ট্র গঠন করতে পারেন
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৩৯ পিএম
ছবি-সংগৃহীত
ইমাম পরিষদের সভাপতি মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহিয়া বলেছেন, একজন ইমাম চাইলে একটা কল্যাণময় রাষ্ট্র গঠন করতে পারেন। অথচ ‘অতীতে ইমামদের অবমূল্যায়ন ও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু সফল হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। আগে যারা ইমামদের মাইনাসের চেষ্টা করেছে, আল্লাহ তাদেরই মাইনাস করে দিয়েছেন।’
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘কল্যাণময় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইমামদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনাসভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। জাতীয় ইমাম পরিষদের উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়।
মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহিয়া বলেন, ‘যারা ইমামতি করছেন তাদের কথা শুনতে প্রতিদিনই মুসল্লিরা মসজিদে যাচ্ছেন। একজন ইমামের কথা শোনার পর অনেকেরই সুদ-ঘুষ, দুর্নীতি, অন্যায়-জুলুমের প্রতি ঘৃণা জন্ম নেয়। যার অবদান একমাত্র ইমামদের। তাই একজন ইমাম চাইলে একটা কল্যাণময় সমাজও গঠন করতে পারেন।
কিন্তু এখানে সবচেয়ে বড় বাধা রাষ্ট্র ও কিছু মানুষ। নির্দিষ্ট আঙ্গিকে কথা বলার জন্য ইমামদের প্রেসক্রিপশন করা হয়। তবে অতীতে যারা ইমামদের নিয়ন্ত্রণ ও অবমূল্যায়ন বা মাইনাসের চেষ্টা করেছে, আল্লাহ তাদের মাইনাস করে দিয়েছেন। সুতরাং ভবিষ্যতেও যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে চায় আপনারা ইমামদের মূল্যায়ন করুন।স্বাধীনভাবে কথা বলার পরিবেশ করে দিন।’
পরিষদের মহাসচিব মুফতি আ ফ ম আকরাম হুসাইনের সঞ্চালনায় সভায় আরও+ বক্তব্য রাখেন মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফি, মুফতি ইমাদুদ্দিন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা আবদুল কাইয়ুম সুবহানী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী প্রমুখ।
বক্তব্যে তারা বলেন, আদর্শ সমাজ ও কল্যাণময় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইমামদের ভূমিকা অপরিহার্য। দেশ ও দেশের জনগণের কল্যাণে নিরলস কাজ করছে ইমাম সমাজ। ইমাম ও খতিবরা জুমার খুতবায় যেমনি নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাত সম্পর্কে আলোচনা করেন।
আলোচনা সভায় দেশের বিভিন্ন মসজিদের ইমাম-খতিব ও আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।



