Logo
Logo
×

রাজধানী

আলু আর পেঁপে ছাড়া সব তরকারির দাম চড়া

Icon

স্টাফ রিপোর্টার :

প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২৫, ০৩:১২ পিএম

আলু আর পেঁপে ছাড়া সব তরকারির দাম চড়া

ছবি-সংগৃহীত

সবজির বাজারে কিছুদিন স্বস্তি থাকলেও এখন আলু আর পেঁপে ছাড়া কোনো সবজির দাম ৪০ টাকার নিচে নেই। প্রায় সব সবজির দাম ৮০ টাকা থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বেগুন গোল হোক বা লম্বা, দাম চড়েছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কিছুদিন আগেও যে পটোল ৪০ টাকায় কেনাবেচা হচ্ছিল, তা এখন ৮০ টাকা। ঝিঙা ১০০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, করল্লা ১০০ থেকে ১৩০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়।

ডিম ও পেঁয়াজের বাজার আবারও ঊর্ধ্বমুখী। এক মাসেরও কম সময়ে ডিম ডজনপ্রতি দাম বেড়েছে ২৫৩০ টাকা এবং পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩৩ শতাংশের বেশি। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

আজ শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লাল ডিমের ডজন ১৫০ টাকা, কিছু এলাকায় ১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫১৪০ টাকায়, যা এক মাস আগেও ছিল যথাক্রমে ১২০ ও ১১০ টাকা। হাঁসের ডিমের দাম ২৩০ টাকা।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতিদিন সাড়ে চার কোটি থেকে পাঁচ কোটি ডিম উৎপাদিত হয়। চাহিদাও প্রায় একই। ফলে সরবরাহ কমে গেলে বা চাহিদা বেড়ে গেলে তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়ে দামে।

সেই সঙ্গে সরকারের সঠিক মনিটরিং না থাকায় এবং অতি মুনাফার লোভে অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।

কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতারা জানান, গত এক সপ্তাহে পাইকারি বাজারে ডিমের দাম বাড়েনি। প্রতিশত ডিম এক হাজার ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অবশ্য জুন পর্যন্ত ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায় দর পড়েছিল। পরে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন কিছুটা খরচ পুষিয়ে নিতে পারছেন খামারিরা।

শুক্রবার কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতারা জানান, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কম। এর মধ্যে আমদানির অনুমতিও মিলছে না। ফলে দাম বাড়ছে।

তবে গত মঙ্গলবার পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণা দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে শিগগিরই পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। আমদানি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। যে দেশে সস্তায় পাওয়া যাবে সেখান থেকেই পেঁয়াজ আমদানি করা হবে।’

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পেয়াঁজ নিয়ে প্রতিবছর এই সময়ে সংকট তৈরি করেন আড়তদার, ব্যাপারী ও কমিশন এজেন্টরা। এবারও তাই করেছেন। সরবরাহ কম এটা একটা অজুহাত। প্রকৃত কারণ হচ্ছে, এখন কৃষকের হাতে পেঁয়াজ নেই। সব ব্যাপারী, আড়তদারের হাতে চলে গেছে। তারাই সংকট তৈরি করছেন।’

ডিমের বিষয়ে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, ‘লোকসানে অনেক প্রান্তিক খামার বন্ধ হয়ে গেছে, সরবরাহ কমেছে। সরকার কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’

কবিরুল নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘প্রতি কেজি পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ৮৫-৯০ টাকায়। যা এক ধরনের জুলুম। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে আমদানির পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে তদারকি বাড়াতে হবে।’

সূ্ত্র : আমাদের সময়

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন