চীন-বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবা উদ্বোধনের লক্ষ্য চিকিৎসা সেবার প্রসার
শামসুল আলম সেতু
প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০২৫, ০৩:২২ পিএম
ছবি-যুগের চিন্তা
চীন-বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবায় বন্ধুত্বের নতুন অধ্যায় উদ্বোধনের মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের জনগণকে আধুনিক চীনা চিকিৎসা ব্যবস্থা, হাসপাতাল সেবা এবং প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত করা। এ উপলক্ষে চীনের বারটির বেশি শীর্ষস্থানীয় হাসপাতালের প্রতিনিধি,চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সরাসরি উপস্থিত থেকে স্বাস্থ্য পরামর্শ স্ক্রিনিং ও অন্যান্যূ সেবা প্রদান করেন। অংশগ্রহণকারীরা অন-সাইট ও অনলাইন বিশেষঞষ পরামর্শ, চিকিৎসার আমন্ত্রণপত্র, ভিসা সহায়তা, বিনামূল্যে অনুবাদ সেবা এবং বিমানবন্দর পিকআপসহ নানা সুবিধা সম্পর্কে তথ্য দেন।
রাজধানীর বনানীতে 'নি হাও। চীন-বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা উন্নয়ন প্রদর্শনী ২০২৫' উদ্বোধন করা হয়েছে। ফলে বাংলাদেশ-চীন দ্বিপাক্ষিক স্বাস্থ্যসেবার সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর হোটেল সারিনায় বেল্ট অ্যান্ড রোড হেলথকেয়ার সেন্টারের আয়োজনে দিনব্যাপী এই এক্সপোর উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
তিনি বলেন, মাইলস্টোনের বিমান দুর্ঘটনায় চীন আমাদের অনেক সহায়তা করেছে। জুলাই আন্দোলনে অনেকেই চোখ হারিয়েছে, হাত হারিয়েছে, পঙ্গু হয়েছে: চীন আমাদের রোবোটিক হাত-পা দিয়েছে যা আহতদের জীবনে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। এছাড়াও স্বাস্থ্য প্রশাসনের প্রতিনিধি, চিকিৎসা বিশেষজ্ঞসহ রোগী ও সাধারণ দর্শনার্থীরা।
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, চীন আধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তি ও উচ্চমানের হাসপাতাল পরিষেবায় বিশ্বজুড়ে পরিচিত। আমরা বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে একটি টেকসই স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই। মাইলস্টোন দূর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি গভীর শোক জানান তিনি।
বেল্ট অ্যান্ড রোড হেলথকেয়ার সেন্টার-এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী কোরবান আলী ও সিইও ডা. মারুফ মাল্লা বলেন, আমাদের এই আন্তঃদেশীয় আয়োজনের মাধ্যমে আমরা চীনের উন্নত চিকিৎসা সেবা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

চীনের অংশগ্রহণকারী হাসপাতালগুলোর প্রতিনিধিরা জানান, তারা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য আরও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাঠাতে আগ্রহী এবং একাধিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছে। সেইসঙ্গে বাংলাদেশি চিকিৎসকদের জন্য উন্নত প্রশিক্ষণ ও গবেষণায় সহযোগিতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন তারা।
এক্সপোতে চীনের ১০টিরও বেশি শীর্ষস্থানীয় হাসপাতাল অংশ নিয়েছে, যারা বাংলাদেশি রোগীদের জন্য উন্নত চিকিৎসা সহজলভ্য করতে অন-সাইট ও অনলাইন কনসালটেশন, ভিসা ইনভাইটেশন লেটার ও প্রসেসিং, অনুবাদক সেবা এবং বিমানবন্দর পিকআপ সুবিধাসহ বিভিন্ন সহায়তার কথা তুলে ধরে। এক্সপোটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
চীনের যে সব হাসপাতাল চিকিৎসা প্রদর্শণীতে অংশ গ্রহণ করেন সেগুলো হলো বোও ইয়িলিং হাসপাতাল, ফোসুন হেলথ ও শেনজেন হেংশেং হাসপাতাল, ফোশান ফোসুন চাঞ্চেং হাসপাতাল, গুয়াংজু শেংমেই হাসপাতাল, গুয়াংজু ফুদা ক্যান্সার হাসপাতাল, কুনমিং থংরেন হাসপাতাল ,মডার্ন ক্যান্সার হাসপাতাল এবং সিং মে হাসপাতাল।



