রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো প্রায় ফাঁকা ছিল আজ
স্টাফ রিপোর্টার :
প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৫, ১০:০৯ পিএম
রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো প্রায় ফাঁকা ছিল আজ সকাল থেকেই । ছিল না কোন যানজট, নেই বাসের হেলপারের হাঁকডাক, কিংবা ভিড়।
আজ সেই ঐতিহাসিক ৫ আগস্ট। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট। মাস শেষ হয়ে গেলেও অভ্যুত্থানের ক্যালেন্ডারে ছিল ৩৬ জুলাই। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনাকারী 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস'। গত বছর এই দিনে ছাত্র-জনতার উত্তাল আন্দোলনে পতন হয়েছিল দীর্ঘদিনের স্বৈরাচারী শাসনের। দিনটিকে সরকার ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং আজ সাধারণ ছুটিও। কিন্তু ঐতিহাসিক এই দিনটির বর্ষপূর্তি হলেও গত বছর মতো রাজধানী ঢাকার রাজপথে উদযাপনের তেমন চিত্র দেখা যায়নি।
সকাল থেকেই রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো প্রায় ফাঁকা। ছিল না চিরচেনা যানজট, বাসের হেলপারের হাঁকডাক, কিংবা মানুষের ভিড়। এক বছর আগের উত্তাল দিনের সঙ্গে আজকের রাজধানীর এই চিত্র এক বিশাল বৈপরীত্য তৈরি করেছে।
জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে উদযাপনে সাধারণ মানুষের মধ্যে আছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এ বিষয়ে চলতি পথে কথা হয় ইরফান নামে একজন ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে। তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থান যখন হয়েছিল, তখন শুধু রাজনৈতিক দল নয়—সাধারণ মানুষও রাস্তায় নেমেছিল।
তারা মনে করেছিল, এটা শুধু রাজনৈতিক লড়াই নয়, বরং একটি সমতার আন্দোলন। এক বছর পর ফিরে তাকালে দেখা যায়, সেই সাম্য কিংবা ন্যায়ের খুব বেশি কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি। বরং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও এখন প্রশ্নবিদ্ধ। এই পরিস্থিতিতে উদযাপনের কিছু নেই।’
লোকজন বলেন, ‘গত বছর এই দিনে আমরা নিজেরাও স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে শরিক হয়েছিলাম, আনন্দ করেছিলাম। সেদিন ছিল স্লোগান আর মুক্তির আকাঙ্ক্ষার এক তীব্র বহিঃপ্রকাশ। চেয়েছিলাম একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠবে। কিন্তু এখন দেখছি সবাই ক্ষমতা চায়। মানুষ আসলে হতাশ, তাই উদযাপনের এই হতশ্রী চেহারা।’



