জুলাই চেতনা বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না: হাসান আহমেদ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৫, ০৫:১১ পিএম
ছবি : ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ
দীর্ঘদিনের শোষণ, নির্যাতন, লাঞ্ছনা, বঞ্চনা, গুম—খুন—হত্যাসহ নানা পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশই ছিল জুলাই অভ্যুত্থান। মুক্তিযুদ্ধের পর জুলাই আমাদের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী দলিল, জুলাই আমাদের ঐক্যের প্রতীক। জুলাই তারুণ্যের অহংকার, বিদ্রোহের অগ্নিশিখা। জুলাইয়ের চেতনা বৃথা যেতে দেয়া যাবে না। জুলাই বিপ্লবে শহীদরা জাতীয় বীর হিসেবে আখ্যায়িত হয়ে থাকবে। ইতিহাসের মহানায়ক হিসেবে মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছে জুলাই যোদ্ধারা। বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে জুলাই শহীদদের রক্তের দাগ কখনও মুছে যাবে না। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে যত মানুষ শহীদ হয়েছে তার চাইতে বহু বেশি মানুষ শহীদ হয়েছে জুলাই বিপ্লবে আওয়ামী সরকারের পুলিশ ও গুন্ডাবাহিনীর গুলিতে। বাংলাদেশের ইতিহাসে দৃশ্যমানভাবে গুলি করে এরকম হত্যাকান্ড আর কখনো ঘটেনি। জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা প্রদানে বাধা সৃষ্টি করেছিল পতিত আওয়ামী সরকার ও তার সহযোগীরা। হত্যাকান্ডের শিকার মানুষগুলোকে দাফন কাফন করতেও বেগ পেতে হয়েছে। গুলি করে হত্যার পর মৃতদেহ স্তুপ করে পুড়িয়ে ফেলার ঘটনাও ঘটেছে। আজ ৩১ জুলাই ২০২৫ হাজারীবাগ সরকারি মহাবিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান জনাব হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শামীমা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মুনসী হুমায়ুন কবির, কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক জনাব শাহানা বেগম প্রমুখ।
জনাব কিরণ আরো বলেন, শুধু জুলাই হত্যাকান্ড নয়, আওয়ামী সরকার তার ১৫ বছরের শাসন আমলে যত অপকর্ম করেছে তার প্রতিটির বিচার হওয়া জরুরি। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যে আওয়ামী শাসন আমলে গুম—খুন নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের তালিকা, শাপলা চত্বর ও বিডিআর হত্যাকান্ডসহ সকল অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র—জনতার অংশগ্রহণ ছিল অভূতপূর্ব। এই অভ্যুত্থানে শ্রমিক, রিক্সাচালক, শ্রমজীবী, ছাত্র—জনতাসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষের স্বত:স্ফুর্ত অংশগ্রহণ ছিল। আর এতে নেতৃত্ব দিয়েছিল আমাদের তরুণরা। তরুণদের আন্দোলনকে আরো বেশি বেগবান করে তুলেছিল হাসিনা বিরোধী সকল শক্তি। তাই হাসিনার পতনে অংশগ্রহণকারী সকল শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তা না হলে পতিত শক্তির দোসররা পুনরায় দেশকে অস্থিতিশীল করার শঙ্কা রয়েছে। তাই রাজনীতিতে আদর্শগত মত পার্থক্য থাকলেও তা যাতে মত বিরোধে পরিণত না হয়। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে গ্রাফিতি, চিত্রাঙ্কন, রচনা, বারোয়ারী বিতর্কসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।



