মিটফোর্ড হত্যা নিয়ে অপপ্রচারের জন্য জামায়াতকে ক্ষমা চাইতে হবে : মুরাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৬:৪২ পিএম
ছবি - ঢাকা জেলা যুবদলের বিক্ষোভ মিছিলের আগে সমাবেশে নেতৃবৃন্দ
জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কঠোর সমালোচনা করছেন ঢাকা জেলা যুবদল সভাপতি ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ। তিন দলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র কখনোই টিকে থাকে না। যারাই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব মাথায় নিয়েছে তারাই রাজনীতি থেকে হারিয়ে গেছে। মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে অপপ্রচারের জন্য জামায়াতকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ঢাকা জেলা যুবদলের বিক্ষোভ মিছিলের আগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আশুলিয়ার পল্লি বিদ্যুৎ অফিস থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসে সমাবেশটি শেষ হয়।
ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ বলেন, যারা বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলেন তাদের ভেবে দেখা উচিত বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কার কতটুকু অবদান। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না করলে অনেকে আজ রাজনীতি করার সুযোগ পেতেন না। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ৯ বছর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন না করলে দেশ এরশাদের স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত হতো না। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন না করলে দেশে ২৪-এর গণঅভ্যুথান হতো না।
তিনি বলেন, দেশ অপপ্রচারের জোয়ারে ভাসছে। আর সব অপপ্রচারের উৎপত্তিস্থল জামায়াত-শিবিরের আস্তানা। এদের কোন জনসমর্থন নাই। তাই বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে পানি ঘোলা করে নির্বাচন বিলম্বিত করতে চায়। অতীতের মতো জামায়াতের এবারের ষড়যন্ত্র সফল হবে না।
মুরাদ বলেন, সন্ত্রাসীরা কোনো দলের না। কিন্তু আমরা আশ্চর্য হয়ে গেলাম, যখন দেখলাম মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে তারা অপপ্রচার চালাল। এখন পুলিশ বলছে, এটা চাঁদাবাজির ঘটনা নয়, বাবসা নিয়ে দ্বন্দ্ব। এই অপপ্রচারের জন্য জামায়াতের ক্ষমা চাইতে হবে।
মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান, হাজী দেলোয়ার হোসেন মাসুম, মোকাররম হোসেন সাজ্জাদ, রকিব দেওয়ান রকি, ইবাদুল হক জাহিদ, খুররম চৌধুরি টুটুল, মো. সুরুজজামান, তপন মোল্লা, ফজলুল হক বেলায়েতী, ইয়ার মো. ইয়াছিন সরকার শাওন, ইশতিয়াক আহম্মেদ ফারুক, শহিদুল ইসলাম শহীদ, তাজুল ইসলাম প্রমুখ।



