
প্রিন্ট: ২০ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫০ এএম
উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক রোবো টেক অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোরর্টার :
প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৫, ০৯:৫৭ পিএম

ছবি-যুগের চিন্তা
উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হলো ৫ম আন্তর্জাতিক রোবো টেক অলিম্পিয়াড ২০২৫। যেখানে দেশি-বিদেশি প্রযুক্তিপ্রেমী তরুণদের dynamic অংশগ্রহণ ছিল। দুই দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতা ২০–২১ জুন উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল এবং রোবো টেক ভ্যালির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয়। এতে প্রযুক্তি উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ তুলে ধরা হয়।
দেশীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণও ছিল চোখে পড়ার মতো। ৭০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ১৫০টি দল এতে অংশগ্রহণ করে, যার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এবং স্কুল অন্তর্ভুক্ত ছিল। অলিম্পিয়াডে ১২টি বিভাগে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো রোবো সকার, লাইন ফলোয়িং রোবট, রোবো ওয়ার্স, প্রজেক্ট প্রদর্শনী, আইডিয়া প্রতিযোগিতা, সুমো রেস, কুইজ প্রতিযোগিতা, ড্রোন রেসিং, প্রজেক্ট শোকেস এবং আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রোগ্রামিং কনটেস্ট।
পুরস্কার হিসেবে বিজয়ীদের মধ্যে মোট ৬ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়। সেরা ৪০ অংশগ্রহণকারীকে ব্যক্তিগত পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
এবারের অলিম্পিয়াডে নতুন করে যে বিভাগগুলো যুক্ত হয় তা হলো:আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, ক্রিয়েটিভ ক্যাটাগরি, রোবট ইন মুভিজ, হ্যাকাথন এবং রোবোটিক্স কুইজ।
উদ্বোধনী বক্তব্যে উত্তরা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড.ইয়াসমীন আরা লেখা বলেন, “আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো তরুণদের প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে সম্পৃক্ত করা এবং তাদের প্রতিভাকে বৈশ্বিক পর্যায়ে তুলে ধরা। বাংলাদেশ এখন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাচ্ছে—এটি আমাদের গর্ব।”
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড.গৌর গোবিন্দ গোস্বামী বলেন, “৫ম আন্তর্জাতিক রোবো টেক অলিম্পিয়াড ২০২৫ তরুণদের প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষতা, সৃজনশীল চিন্তা এবং ব্যবহারিক সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন উত্তরা ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার, ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। সফল আয়োজনের পেছনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. মির্জা গোলাম রাব্বানি এবং সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ওয়াহিদুর রহমান।
বিশেষভাবে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রোগ্রামিং কনটেস্ট ও পুরো ইভেন্টের সফল বাস্তবায়নে অবদান রাখেন সিভিল, এনভায়রনমেন্টাল ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলের ডিন এবং সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সুলতানুল ইসলাম, আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্স স্কুলের অ্যাক্টিং ডিন ও সহযোগী অধ্যাপক ড. শাহ আহমেদ, সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলের সহযোগী ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাকাওয়াত জামান সরকার, সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমানুল ইসলাম এবং আইটি পরিচালক মো. এহসানুল হক।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন পুরবাণী গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কম্পিউটার বিজ্ঞানী, লেখক ও শিক্ষাবিদ মোহাম্মদ কায়কোবাদ এবং পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. শহিদুল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন আইইইই কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুর রহমান এবং অধ্যাপক ড. কে এম আজহারুল হাসান।
রোবো টেক ভ্যালির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.এস.এম. আহসানুল সরকার আকিব এবং সিনিয়র কনসালট্যান্ট ড.আহসান হাবিব। আয়োজকরা জানান, ভবিষ্যতে এই অলিম্পিয়াডের পরিসর আরও বাড়ানো হবে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশকে প্রযুক্তি উদ্ভাবনের অগ্রগামী দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করা হবে।