
প্রিন্ট: ২৩ জুন ২০২৫, ০৪:৪৮ পিএম
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৫, ০৩:১৫ পিএম

ছবি-সংগৃহীত
দাবি আদায়ে সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা করলে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারী শিক্ষকদের বাধা দেয় পুলিশ। এসময় পুলিশ তাদের সচিবালয়ের এলাকা সরে যাওয়ার অনুরোধ করলে আন্দোলনকারীরা তা মানেনি। পরবর্তী সময়ে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ছয়টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
রবিবার (১৫ জুন) প্রেসক্লাব সংলগ্ন সচিবালয়ের ৫ নম্বর ফটকে এই ঘটনা ঘটে। সকালে শিক্ষকরা ‘লংমার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি পালন করেন। পরে দুপুর দেড়টার দিকে তারা সচিবালয় অভিমুখে রওনা হয়।
তাদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— ১৭তম ব্যাচের নিবন্ধিত প্রার্থীদের জন্য আপিল বিভাগের রায় অনুসারে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অন্তত একবার আবেদন করার সুযোগ দিতে হবে; ১৭তম ব্যাচের বিষয় নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত রাখতে হবে এবং আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএ-র সুপারিশ অনুযায়ী দ্রুত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এসময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের ডেপুটি কমিশনার মাসুদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা যতটুকু জেনেছি, পাঁচ থেকে ছয় জন আহত হয়েছে। সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছিল। সচিবালয়ের মুখে তাদের লং মার্চ কর্মসূচি ছিল। সকাল থেকেই তারা কর্মসূচি পালন করেছে প্রেস ক্লাবের সামনে। তারপর হঠাৎ দুপুর দেড়টার সময় তারা এখানে এসেছিল। আমি জেনেছি যে, প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করতেছিল যে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হয়েছে ১৭তম নিবন্ধনধারী।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওনাদের আমি পাঁচ জনকে সচিবালয় পাঠিয়েছিলাম যে, সচিবালয়ের উনারা গিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে গিয়ে কথা বলে তাদের বিষয়গুলো আপডেটগুলো জেনে আসুক। তো তাদের এই পাঁচ জন গেছে, যাওয়ার পরে ওরা (আন্দোলনকারীরা) মনে হয় ওখানে তারা এরকম বলছে যে—এখানে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ওখান থেকে তারা যাবেন না বা এর বাইরে আর কোনও সুযোগ নেই।’
মাসুদ আলম বলেন, ‘সচিবালয়ে তো আমরা আসলে যেতে দিতে পারি না। ওখানে তো ১৪৪ ধারা জারি করা আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের মনে হয় এক দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করতে হয়েছে। এতে আমাদের দুই-একজন পুলিশ সদস্যও সামান্য আহত হয়েছেন।’