শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

সিদ্দিক হত্যা মামলায় সালাউদ্দিন সালু গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ৮ জুলাই ২০১৯  

ফতুল্লা (যুগের চিন্তা ২৪) : ফতুল্লায় সিদ্দিক মিয়া (৫৫) হত্যার ঘটনায় সালাউদ্দিন সালুকে (৩০) নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (৮ জুলাই) সকালে ফতুল্লার ভোলাইল শান্তিনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সালাউদ্দিন সালু ফতুল্লার ভোলাইল শান্তিনগর এলাকার সফর আলীর ছেলে।


এ হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া আবু বক্করের আদালতের দেয়া ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে নাম বলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর দুপুরে সালাউদ্দিন সালুকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।


এরআগে সিদ্দিক মিয়া হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় আবু বক্কর (২৯), বিপ্লব (২৮) ও মুজাকে (৩০)। তাদের মধ্যে আবু বক্কর সিদ্দিক মিয়াকে হত্যা করা দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।


মামলার তদন্তকারী অফিসার ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক  (তদন্ত) হাসানুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সিদ্দিক মিয়া হত্যার বিষয়ে অজ্ঞাত  আসামি করে নিহতের মেয়ে বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় তদন্ত করে ইতিপূর্বে তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 


এদের মধ্যে আবু বক্কর নামে একজন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। আবু বক্করের দেয়া জবানবনন্দীর ভিত্তিতে সালাউদ্দিন সালুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মাদকসহ ৯ টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে দুটি জিআর মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে। 


তিনি আরও জানান, সিদ্দিক মিয়া হত্যায় যারাই জড়িত রয়েছে তারা কেউ ছাড় পাবে না। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।


প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন বিকেলে ফতুল্লার ভোলাইল গেদ্দার বাজার এলাকাস্থ শহিদ মিয়ার বাড়িতে বসবাসরত সিদ্দিক মিয়ার রুমে আবু বক্করসহ ৮ থেকে ৯ জন মাদকসেবী ইয়াবা সেবন করতে বসেন। এসময় সবাই ইয়াবা সেবন করছে কিন্তু সিদ্দিক মিয়াকে কেউ সেবন করতে দিচ্ছেনা। এতে সিদ্দিক মিয়া উত্তেজিত হয়ে উঠলে অন্যরা তার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। 


এক পর্যায়ে ৮ থেকে ৯ জন মিলে সিদ্দিক মিয়াকে মারধর করে বুকে কাঠ ও বাঁশ দিয়ে এলোপাতারি আঘাত করে হত্যা শেষে লাশ গুম করার উদ্দ্যেশে বাড়ির পাশের কাশবনের ভিতরে ফেলে চলে যায়। 


নিহত সিদ্দিক ফতুল্লার দেওভোগ মুন্সীবাড়ি এলাকার মৃত.ফজর আলী মুন্সীর ছেলে। সে তার পরিবার নিয়ে ভাতিজা শহিদের বাড়িতে বসবাস করছিল।

এই বিভাগের আরো খবর