শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

সাধারণ ক্ষমার আওতায় উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা

প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

যুগের চিন্তা রিপোর্ট : সাধারণ ক্ষমার আওতায় উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা। এমনই এক নজির তৈরি হয়েছে কুমিল্লার তিতাস উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে। স্থগিত হওয়া উপজেলা নির্বাচনে পারভেজ হোসেন সরকার আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন। স্থগিত হওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা হওয়ার পর সেখানকার আওয়ামী লীগ নেতাদের একাংশ পারভেজ হোসেন আওয়ামী লীগের দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন এমন দাবি তোলেন। 

 

দলের পক্ষ থেকেও পারভেজকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে-‘আপনার বিরুদ্ধে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং নানাবিধ তৎপরতাসহ সংগঠনের শৃঙ্খলা বিরোধী ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কর্মকা-ে লিপ্ত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।’ সে কারণে কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবেনা তাও জানতে চাওয়া হয়। ৮ সেপ্টেম্বর পাঠানো চিঠিতে ২১ কার্য দিবসের মধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে লিখিত জবাব পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে পারভেজকে।


এমতাবস্থায় পারভেজ লিখিত জবাব পাঠিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সেটি বিবেচনায় নেয়। এবং তাকে ক্ষমা করে রাজনীতি চালিয়ে যাবার সুযোগ দেয়। এমনকি ১৮ সেপ্টেম্বর পারভেজ হোসেন সরকারকে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির কার্যালয় থেকে কুমিল্লার তিতাস উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক দেয়া হয়।


এদিকে এঘটনায় আশান্বিত বিভিন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে নারায়ণঞ্জে অংশগ্রহণ করা নেতারাও। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে মহাজোট প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হিসেবে সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার এবং সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হিসেবে মাহফুজুর রহমান কালাম নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচনে যদিও তারা অংশগ্রহণ করেন কিন্তু তারা নিয়মিত আওয়ামী লীগের রাজনীতিতেই সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। 

 

এই আসনটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর দাবি ছিলো দীর্ঘদিন। তার প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের দাবি ছিলো সোনারগাঁয়ে যাতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বঞ্চিত না থাকেন। নেতাকর্মীদের আত্মবিশ্বাস, কায়সার হাসনাত ও মাহফুজুর রহমান কালাম আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হলেও তারা দল থেকে চলে যাননি কিংবা দলের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি। তারা আওয়ামী লীগের পক্ষেই সবসময় কাজ করেছেন। দল যদি তিতাস এলাকার পারভেজ হোসেন সরকারের মতো কারণ দর্শানো এবং লিখিত বক্তব্য দেয়ার সুযোগ দেয় তাহলে তারা নিজেদের অবস্থানটা তুলে ধরতে পারবে। দলও তাদের পারিবারিক ঐতিহ্য, অতীত কর্মকা- এবং বর্তমান কর্মকা- বিবেচনা করে ভুলত্রুটিগুলো শুধরে নেয়ার সুযোগ দিবে।  

এই বিভাগের আরো খবর