সরিষার হলুদ রঙে ছেয়ে গেছে বন্দরের সাবদী
নুরুন নাহার নিরু
প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০২৪
বন্দর উপজেলায় সাবদী এলাকার মাঠ জুড়ে শিশির ভেজা সকালে ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো সরিষার হলুদ ফুলে রঙ্গিন হয়ে উঠেছে। সাবদী এলাকার সড়কের পাশে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে ব্যাপক সরিষার চাষ হয়েছে। সবুজ গাছের হলুদ ফুলগুলো যেন সূর্যের সোনাঝড়া রোদে ঝিকিমিকি করছে। মাঠের যে প্রান্তে চোখ যায় মনে হয় যেন চারদিক সরিষার হলুদ রঙ্গে আচ্ছাদনে ঢেকে আছে।
এ যেন এক গ্রামবাংলার অপরূপ দৃশ্য। দেখে মনে হয় শীত ঋতু সেজেছে হলুদ বরণ সাজে। গাঢ় হলুদ বর্ণের সরিষা ফুলের উপরে মৌমাছিরা মধু সংগ্রহনের আশায় গুন গুন করছে। শীতের শীতল সিক্ত মাঠভরা সরিষা গন্ধ বাতাসে চারদিকে ভাসছে। আর এই সোন্দর্য উপভোগ করতে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে সরিষা ক্ষেত দেখতে এবং ছবি তুলতে ছুটছে শিশু-কিশোর থেকে বয়স্করাও।
আবার অনেকেই প্রকৃতির এমন সৌর্ন্দর আভা দেখতে যাচ্ছেন পরিবার-পরিজনকে নিয়েও। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে সরিষা চাষিদের ঘরে উঠবে সরিষা। কম খরচে বেশি লাভের আশায় প্রতি বছরই কয়েকজন মিলে এই ফসল চাষ করেন তারা। এবার আবহাওয়া বেশ শীতল হওয়ার কারনে ভালো ফলন পাবে বলে আশাবাদী চাষিরা।
এ নিয়ে রহমান নামে এক চাষির সাথে কথা বললে তিনি বলেন, প্রথমে প্রায় ১০-১২ আগে ইজারা হিসেবে অন্যের জমিতে সরিষা চাষ শুরু করি। কয়েকবছর ধরে আমি নিজেরই জমি কিনেছি। এখন সেই জমিতেই ভালো পরিমানে চাষ করি। এবার দেড় শতাংশ জমিতে চাষ করেছি। গাছ তো ভালো হয়েছে আশা করছি ফলন ভালো হবে। এখানে আমার মতো অনেকেই আছেন যারা নিজের জমি অথবা ইজারা করে অন্যের জমিতে চাষ করে।
একই এলাকার সরিষা চাষের অপর ব্যাক্তি বলেন, ২ শতাংশ জমিতে ভালো জাতের সরিষা আবাদ করেছি। এবার যে জাতের সরিষার লাগানো হয়েছে তা ২-৩ মাসে ঘরে তোলা যায়। ফুলে ফুলে ক্ষেত ভরে গেছে। ভালো ফলনের আশা করছি।
শুধু মাত্র মালিকরাই নয় এই চাষের সাথে জরিয়ে আছে প্রায় শতাধিক শ্রমিকের জীবিকা। এই সরিষা চাষে পুরুষদের পাশাপাশি জরিয়ে আছে মহিলা চাষিরাও। তারা প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এবং বিকালে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্ষেতের দেখা-শোনা করেন।
নারায়ণগঞ্জ সদর থেকে ঘুরতে আসা লাবনি নামে এক ব্যাক্তি তার পরিবার নিয়ে সরিষা ক্ষেতে ছবি তুলতে এসেছেন। লাবনি বলেন, সরিষা ফুলে অপরূপ সৌন্দর্য দেখার জন্য পরিবারকে নিয়ে ঘুরতে এসেছি। সবাই ছবি তুলছে। অনেক ভালো লাগছে।
অপর ব্যাক্তি সাইফুল বলেন, আমার মা-বাবা দুজনেই এখানকার। গ্রামের বাড়ি না থাকার কারনে তেমন একটা সবুজ প্রকৃতি উপভোগ করতে পারি না। কারন শহরের বাড়িতে তো সব জায়গায় বিল্ডিং গাছপালা নাই। তাই এইখানে আসি গ্রামের সবুজ-শ্যামল প্রকৃতি উপভোগ করা জন্য। প্রতি বছরই আমি সরিষা ফুলের সময় হোক বা যে কোনো সময় মন ভালো করার জন্য সময় পেলেই এখানে আসি। অন্যদিকে রাস্তার পাশে আবার নদী আছে নৌকা করে ঘুরি ভালো লাগে।
- এসপি হারুনকে সরানোর নেপথ্যে চাঁদাবাজির অভিযোগ
- নারায়ণগঞ্জের লজ্জা ঢাকলেন শামীম ওসমান
- সমাবেশ করার অনুমতি চায়নি শামীম ওসমান
- শামীম ওসমানের শঙ্কা ছিলো ভিকিকে ক্রসফায়ার দেয়া হতে পারে
- ডা.শাহনেওয়াজ, তাঁর স্ত্রী, মেয়ে, জামাতা করোনায় আক্রান্ত
- কাকে ভয় দেখালেন শামীম ওসমান
- ৫ ইউনিয়নকে নাসিকে যুক্ত করা হচ্ছে : মেয়র আইভী
- জাপা নেতা পিজা শামীমকে মারধর করলেন সেলিম ওসমান (অডিওসহ)
- যুগান্তরের প্রার্থী তালিকা ভিত্তিহীন : গণপূর্তমন্ত্রী
- মে মাসে না’গঞ্জের পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ !
- ছাত্রজীবনের সেই তিনজনেই এখন এমপি, ডিসি, এসপি (ভিডিও)
- ‘গাইড বই’ চালাতে স্কুলে স্কুলে ঘুষ!
- পুরোনো রূপে ফিরছে নারায়ণগঞ্জ
- কেন্দ্রে যাচ্ছেন আইভী
- করোনায় আক্রান্ত দুই সহোদর থাকেন না’গঞ্জ, বাড়ি মুন্সিগঞ্জ