শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

সন্তানকে ছাদ থেকে ছুড়ে ফেলে হত্যা করল মা

প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : মানসিক ভারসাম্যহীন মা  রোকসানা। বাড়ির তৃতীয় তলার ছাদ থেকে দেড় বছরের শিশু আশফাক জামান জাহিন ছুড়ে ফেলে হত্যা করেছে।  ফতুল্লার কুতুবপুরের নন্দলালপুর এলাকায় সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

 

শিশুটিকে আহতবস্থায় ঢাকা ম্যাডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এ ঘটনায় রাতে ফতুল্লা মডেল থানায়  নিহত শিশুর বাবা নুরুজ্জামান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে বলে জানিয়েছে থানা সূত্র।

 

প্রায় ১৪ বছর আগে নুরুজ্জামানের সাথে বিয়ে হয়েছিল রোকসানার।  কুবতুবপুরের নন্দলালপুরের আমান উল্লাহর বাড়িতে ৩ বছর যাবৎ স্বামীসহ ৩ সন্তানকে নিয়ে ভাড়া থাকেন। বিয়ের পর ভালো ভাবেই সংসার করছিল রোকসানা। কিন্তু বিগত ৪/৫ বছর যাবৎ সে মানসিক ভারসাম্যতা হারিয়ে ফেলে। সংসারের বড় মেয়েকে এর আগে হত্যা করতে চেয়েছিল বলেও জানায় তার স্বজনরা।

 

সোমবার দুপুর প্রায় দেড়টার দিকে রোকসানা তার দেড় বছরের শিশু আশফাক জামানকে নিয়ে বাড়ির ছাদে যায়। এরপর সে তার শিশু সন্তানকে ছাদ থেকে ছুড়ে ফেলে দেয়।  মারাত্মক আহত শিশুটিকে প্রথমে পাগলা বাজারস্থ একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত বলে ঘেষাণা করে। 

 

এ ঘটনায় শিশুটির বাবা নুরুজ্জামান বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় রাতেই একটি মামরলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানা গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিশুটির মা ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। রোকসানা  বেগম কুমিল্লা জেলার আরাগ আনন্দপুর এলাকার বুড়িচং থানা এলাকার গোলাম মোস্তফার মেয়ে বলে জানা গেছে।

 

নিহত শিশুর বাবা নুরুজ্জামান মারুফ বলেন, তার স্ত্রী অনেকদিন যাবৎ মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছেন। সোমবার দুপুরে তিনি তার বড় মেয়ে অর্পার মোবাইল ফোন পেয়ে পপুলার হাসপাতালে ছুটে আসি। এরপর জাহিনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘেষাণা করে।

 

এব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম হোসেন বলেন, শিশুটির মা একজন মানসিক প্রতিবন্ধী। শিশুর বাবা বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা করবেন।

এই বিভাগের আরো খবর