শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

যুগের চিন্তার টক শো

সচেতনতাই নিরাপদ থাকার একমাত্র পথ (ভিডিও)

প্রকাশিত: ৪ এপ্রিল ২০২০  

স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু বলেছেন , করোনা ভাইরাস চীনে ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি জেনেই আমি আমার নিজ ওয়ার্ডে মানুষদের সচেতন করা শুরু করেছি। 

 

মাইকিং, লিফলেট প্রচারণার পাশাপাশি সকলের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে ওয়ার্ডবাসীকে  এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়াও আমার ওয়ার্ডে সকল পানির ট্যাংকের পাশের হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। 

 

করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হলে চলবে না । যেহেতু এই রোগের প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কার হয়নি তাই সচেতনতা নিরাপদে থাকার একমাত্র পথ। 


শুক্রবার (৩ এপ্রিল) যুগের চিন্তা’র টক শো অনুষ্ঠানে করোনা ভাইরাসের সার্বিক পরিস্থিতি ও প্রতিরোধ সম্পৃক্ত আলোচনায় এসব মন্তব্য উঠে আসে আলোচকের কাছ থেকে। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন চ্যানেল আই এর বিশেষ প্রতিনিধি মোরছালিন বাবলা।

 


করোনা ভাইরাসের প্রকোপে ১৭ নং ওয়ার্ডের এলাকাবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার প্রসঙ্গে বলেন, করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক আমার ওয়ার্ডে ছিল না। কিন্তু বন্দরের রসূরলবাগ এলাকায় যে নারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তার আত্বীয় পাইকপাড়া এলাকায় থাকেন। এবং খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তাকে পাইকপাড়া এলাকায় তার আত্বীয়ের বাড়ি থেকেই অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।


বিষয়টি আমি প্রশাসনকে জানালে প্রশাসন থেকে ওই বাড়িটি লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। তবুও  এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক তৈরী হয়েছে। তবে এলাকাবাসীকে সর্তক ও সচেতন হওয়ার পাশাপাশি সৃষ্টিকর্তার নিকট দোয়া প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছি।  


১৭ ওয়ার্ডের লকডাউন করে দেওয়া সেই বাড়ি সম্পর্কে বলেন,  বাড়িটিতে ৪-৫ জন থাকেন। তাদের স্বজন যারা ওই নারীকে দেখতে এসে ছিলেন তাদেরকেও লকডাউন করা হয়েছে। কিন্তু তাদের সাথে আমার যোগাযোগ হয়েছে তাদের যেকোন কিছু প্রয়োজন হলে দ্রুত সেসব পাঠিয়ে দেওয়া হবে।


গরিব ও দুঃস্থ এলাকাবাসীদের মাঝে ত্রাণ বিতরন নিয়ে বলেন, যারা দিন এনে দিন খায়, তাদের জীবন অতিবাহিত করা এখন অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। অনেকেই সরকারি ছুটির কারনে এখন বেকার তাদেরকে আমি আস্বস্ত করেছি তাদের পাশে আমি আছি।

 

৬০০ বস্তা চাল, ৪০০ বস্তা ময়দা, ২৫ টন আলু, ৫ টন ডাল এবং ১০ ডাল বিতরনের জন্য প্যাকেট করেছি। বিতরনের পূর্বে যাদের প্রয়োজন হচ্ছে তাদের আর্থিক সহয়তা করছি। এছাড়াও আমি মাস্ক, ১৮ হাজার হ্যান্ড স্যানিটাইজার  বিতরন করেছি। মধ্যবিত্তদের মাঝেও যদি কারো সাহায্যের প্রয়োজন হয় একটা ফোন করলেই তার ঘরে সাহায্য পৌছে যাবে। 

 

মানবজাতির জন্য এখনই সময় একে অপরের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদেরকে এখন সাহায্যের দৃষ্টান্ত তৈরী করতে হবে। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী বিত্তমান ব্যক্তি সহ সকলকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।


চায়ের আড্ডা বন্ধে পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ করে বলেন,  আমি এলাকার চায়ের দোকানের ডিশ লাইন কেটে দিয়েছি। সকলকে সচেতন করছি। তবুও এই আড্ডা দেওয়ার দৃশ্য দেখতে পাচ্ছি। এলাকায় চায়ের আড্ডা বন্ধ পুলিশ প্রশাসনকে আমার এলাকায় প্রতিদিন টহল দেওয়ার অনুরোধ করছি।


অসুস্থ রোগীর ডাক্তারের প্রয়োজন হলে সেক্ষেত্রে জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তাররা এগিয়ে আসবে। দিনের যেকোন সময় হাসপাতালে ডাক্তার না পেলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু। সাধারণ মানুষকে জনসমাগম এড়িয়ে চলার এবং বাড়িতে নিরাপদে থাকার ও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু।
 

এই বিভাগের আরো খবর