শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

শ্রমিক সংগঠন শ্রমিকদের ছায়া, নেতারা অভিভাবক : পলাশ

প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০১৯  

স্টাফ রির্পোটার (যুগের চিন্তা ২৪) : জাতীয় শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রমিক উন্নয়ন ও কল্যাণ বিষষক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশ বলেছেন, শ্রমিক সংগঠন শ্রমিকদের ছায়া। আর নেতৃবৃন্দ হচ্ছে তাদের অভিভাবক। সংগঠন ভুক্ত শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি থেকে বঞ্চিত করা যায় না। সংগঠন ভুক্ত শ্রমিকের দাবি আদায়ে সরকারি সহযোগিতা থাকে। এছাড়াও দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত শ্রমিকরা সরকারি অনুদান পায়। তাই সকল শ্রমিকরা তাদের কাজ অনুযায়ী সরকারি রেজিষ্ট্রেশনপ্রাপ্ত শ্রমিক সংগঠনে সদস্য হবেন এবং সরকারি ৫৫ ফরম পুরণ করে রাখবেন। 

সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় আলীগঞ্জ লেবার হলে ফতুল্লা থানা লোড-আনলোড শ্রমিক ইউনিয়নের নিহত ও আহত সদস্যদের দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণের আদায়কৃত টাকা বুঝিয়ে দেয়া লক্ষ্যে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

শ্রমিক নেতা পলাশ আরো বলেন, শ্রমিকের দাবি দাওয়া, সুযোগ সুবিধাসহ যে কোন সমস্যার বিষয়ে দেশে সর্বোচ্চ জায়গা ও বিশ্ব দরবারে কথা বলি। এই সুযোগ আপনারা শ্রমিক ভাইরাই করে দিয়েছেন। তাহলে আমাকে কেন আপনারা ব্যবহার করেন না, আমি চাই সকল শ্রমিক ভাইরা শ্রমিকবান্ধব জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করবে। 

নিহত ও আহত লোড-আনলোড শ্রমিকের ক্ষতিপূরণের টাকা আদায় করে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে সকলকে আগামী মে দিবস সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুত থাকার আহবান জানান।

সভায় ফতুল্লা থানা লোড-আনলোড শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ইউপি মেম্বার জাহাঙ্গির আলমের সভাপতিত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক পিয়াস আহমেদ সোহেল, আন্তঃজিলা ট্রাক চালক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম, কুন্ডা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির, ইউনাইটেড ফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওর্য়াকার্সের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন রাজু, বাল্কহেড শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক আনিস মাষ্টার, শ্রমিক নেতা ইদ্রিস, ওয়াহিদ ও ইমান আলীসহ আরো অনেকে।

সভায় সাধারণ সম্পাদক জানান, ১০ মার্চ রাত ৮ টায় কেরানীগঞ্জের মাওলা ঘাট এলাকায় এমবি তাকওয়া বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় লোড-আনলোড শ্রমিকবাহী ট্রলার ডুবে গিয়ে একজন শ্রমিক নিহত ও চারজন গুরুতর আহত হয়।

পরে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানায় তদন্ত ওসির উপস্থিতিতে বাল্কহেড মালিকের কাছ থেকে ঐ ঘটনার ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে নিহত সতিন্দ্র চন্দ্র দাস (৫৫) এর স্ত্রী ও ছেলে মেয়ের হাতে ১ লক্ষ ১০ হাজার এবং আহত চারজন জুম্মন ঠাকুর (৪৫), কাঞ্চন বালা(৪০), ইরমিলা(৪৫) ও লক্ষীরানী (৪৫)কে ৫ হাজার করে মোট ২০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।    

এই বিভাগের আরো খবর