শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

শিমরাইল মোড়ে সড়ক দখল করে প্রভাবশালীদের ফুট বাণিজ্য

প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে সড়ক দখল করে বাজার গড়ে তুলেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।এক দেড় লাখ টাকা অগ্রিম ও দৈনিক এক থেকে দুইশ টাকা ভাড়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে বসিয়েছে এ বাজার।

 

জানা গেছে, রেডিমেট পোশাক, জুতা, ফলসহ বিভিন্ন রকমের তিন শতাধিক দোকান রয়েছে বাজারে। সড়কে নির্মিত ফুটওভার ব্রিজের উপরও বসেছে দোকান। ফলে চরম দুর্ভোগ পোয়াতে হচ্ছে পথচারিদের। গার্মেন্টস ছুটির পর প্রতিদিন সন্ধ্যায় পথচারীদের ভীর হয় প্রকট। 

 

ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে চলাচল কষ্ঠসাধ্য হয়ে পড়ে। প্রচন্ড ভিরে প্রতিনিয়তই ঘটে পকেটমারের ঘটনা। ভিরের মধ্যে প্রতিনিয়তই বখাটেদের হাতে লাঞ্ছিত ও বিব্রত হতে হচ্ছে বলে জানায়, আদমজী ইপিজেডের পোশাক কারখানার শ্রমিক ইয়াছমিন আক্তার, লিপি বেগম, সাথী ও বিউটি। 

 

স্থানীয়রা জানায়, মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে মার্কেটের সামনে সরকারি জায়গার ফুটপাত উচ্ছেদ করে মহাসড়কের সাথে মিলিয়ে বাইপাস একটি সড়ক নির্মাণ করে নারায়ণগঞ্জ সওজ বিভাগ। যানজট কমাতে জেলা শহর থেকে আসা গাড়ি ঢাকার দিকে যেতে প্রায় তিনশ ফুট বাইপাস সড়ক নির্মাণ করা হয়। 

 বাজারে শুধু চাঁদাবাজি আর ভাড়া বাণিজ্যই নয়, অবৈধ ভাবে বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ দেয়া হয়েছে। 

 

সরেজমিনে দেখা গেছে,বাইবাস সড়কের পুরটাই দখল করে দুই পাশ ও মাঝখান দিয়ে লাইন করে বসানো হয়েছে দোকান।পথচারী রবিউল, আব্দুল জব্বার, শফিউল আলম সড়কে বাজার বসানো ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

 

অগ্রিম ও দৈনিক ভাড়া দিয়ে দোকান বসিয়েছে বলে জানায় ব্যবসায়ীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী জানায়,পাঁচ ফুট জায়গার দোকান দেড় লাখ আর দশফুট তিন লাখ টাকা করে অগ্রিম দৈনিক এক থেকে দুইশ টাকা ভাড়া দিচ্ছে তারা। 

 

আলম ওরফে গোধুলী আলম,কাউন্সিলর ওমর ফারুক ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আমিনুল হক রাজুর লোকজন দোকান বসিয়ে দৈনিক ভাড়া নিচ্ছে।সূত্র মতে এ বাজার বসিয়ে অগ্রিম হিসেবে কমপক্ষে ৩ কোটি আর দৈনিক অর্ধলাখ টাকা ভাড়া আদায় করছে তারা।  

 

জানতেই চাইলে আলম জানায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে লীজ নেয়া অংশে কয়েকটি দোকান আমি বসিয়েছি। অন্যগুলো নিয়ন্ত্রন করছে কাউন্সিলর ফারুক ও আমিনুল হক রাজু। কাউন্সিলর ফারুক সড়ক দখলের অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, আমি নিজে উপস্থিত থেকে সব দোকান উচ্ছেদ করাব। 

 

আমিনুল হক রাজু জানায় আমি রেন্ট-এ কার মালিক সমিতির সভাপতি সড়কের উপর কোন দোকান বসাইনি। চাঁদাও খাইনা। জানা গেছে, রেন্ট-এ কার ষ্ট্যান্ডটিও সরকারি জায়গায়। 

 

নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমাদের কোন গাফিলতি নেই। বহুবার উচ্ছে করা হচ্ছে। তার পরও আবার দোকানপাট বসেছে বলে জানতে পেরেছি। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আবার উচ্ছেদ করা হবে। 
 

এই বিভাগের আরো খবর