শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

শামীম ওসমান :আরে কারে খেলা শিখান, আমারে! (সম্পূর্ণ ভিডিও)

প্রকাশিত: ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, আরে কারে খেলা শিখান? আমারে? আমাকে খেলা শিখাবেন? আমরা তো অনেক ছোটবেলার খেলোয়াররে ভাই? বেশি বড় খেলোয়ার হতে পারি নাই? তবে মাথার তার ছিড়া খেলোয়ার ছিলাম আগে। মাথার তার একটু ঢিলা ছিলো তখন। এখন প্রবলেম হয়েছে একটা মানুষকে ফলো করি। বাবা-মায়ের পর আমার নেত্রীকে ভালোবাসি। নারায়ণগঞ্জে এই আওয়ামী লীগ তৈরি হয়েছে। আমরা যখন চিৎকার করেছি তখন কেউ চিৎকার করে নাই। আমরা নারায়ণগঞ্জে গোলাম আযমকে নিষিদ্ধ করেছিলাম। মুজাহিদকে নিষিদ্ধ করলাম। আমারই ছোট বোনকে এখনও তার পরিবারের পেছন থেকে পেট্রোনাইজ করা হয়। 

 

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর নবাব সলিমুল্লাহ সড়কের রামকৃষ্ণ মিশনের উল্টোদিকে রাস্তায় ট্রাকে অস্থায়ী মঞ্চে আয়োজিত সমাবেশে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।  রুখে দাঁড়াও বিরোধী সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে এই স্লোগানে এই সমাবেশের আয়োজন করেন শামীম ওসমান। 

 

শামীম ওসমান আরো বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামী লীগের অরিজিনাল কর্মী যারা যাদের সিএস, আরএস, এসএ পর্চা আছে। তাদেরকে খাসজমি বানাইয়া দেয়া হয়। আর যাদের খাসজমিদের আওয়ামী লীগ সাজার চেষ্টা করে তখন অনেক কষ্ট লাগে। খারাপ লাগে। সমস্যা কি? আমরা ৫ ভাইবোন। আমরা ৩ ভাই জন্ম নিছি আমার বাবা গুলি খাইছে। আমার বড় ভাইয়ের ছেলে জন্ম নিছে ওছিলো কাদের বাহিনীতে। আমার ছেলে জন্ম নিছে আমি ছিলাম জেলখানাতে। এটা আমাদের বান্ধা হিসাব। এখন আবার ছেলের বাচ্চা হবে আমার বউ টেনশনে আছে। কিছুদিন পর হয়তো দাদা হয়ে যাবো। তাই অনেকের কথা সহ্য করি। তা না কিন্তু। মন কিন্তু আগের চেয়ে বেশি শক্ত আছে।    

 

অতীত ও বর্তমানের পুলিশ বিভাগের ফারাক প্রসঙ্গে শামীম ওসমান বলেন, ১/১১ এর সময় আমাকে এক ডিবির ওসির মাধ্যমে মাসদাইর থেকে আমাকে গাড়ি তোলা হলো। রাইফেল ক্লাবের সামনে এসে নামানো হলো। তখনকার পুলিশ, ওসি তাকে স্যালুট করি। এসপি। এরা হলো অরিজিনাল। এখন তো সবাই আওয়ামী লীগ। এখন তো আওয়ামী লীগ ছাড়া কাউরে দেখি না। তখন সেনাবাহিনীর নবম ডিভিশন থেকে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবিসহ প্রায় ৫ হাজার ছিলো। রাইফেল ক্লাবে ওই ওসিকে নামিয়ে চাষাঢ়ায় নিজের মহল্লায় ঢুকে গিয়েছিলাম। মাইকিং করে ১ লাখ লোক এলাকায় ঘিরে রেখেছিলো । ১৭ দিন কেউ ঢুকতে পারে নাই। আমরা কিন্তু ওই পদের খেলোয়ার। ওই সময় আমি বাইরে চলে গেলাম।   

 

শামীম ওসমান আরো বলেন,  অনেকে বলে আপনি কি পুলিশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন। কার বিরুদ্ধে। এরা তো আমার ভাই হয়। সরকারের প্রশাসন সরকারের অংশ। প্রশাসনের ভাবমূর্তি নষ্ট হলে সরকারেরর ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। প্রশাসনের ভাবমূর্তি নষ্ট করার কাজ শামীম ওসমানের না। শামীম ওসমান এমন কোন কাজ করবেনা যা করলে দল ও প্রশাসনের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। আর কোথায়, কিভাবে কথা বলতে হয় সেটি আমি জানি। সাংবাদিকদের নেতা মন্ত্রী পদমর্যাদার ইকবাল সোবহান চৌধুরীর বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে যখন কথা বলেছি তখন কিন্তু ছাড় দেই নাই। কাপড় যেমনে কাঁচে তেমনে কাঁইচা দিছি। নেত্রী শিখিয়েছেন সাদাকে সাদা বলো কালোকে কালো। যারা বুঝার বুঝে নিবেন। আল্লাহ দোষ গোপনকারীকে পছন্দ করেন। অনেকের দোষ জানি। কিন্তু তা বলবোনা। ধৈর্য্যধারণকারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন। তাই ধৈর্য্য ধারণ করি। আল্লাহ আবার বলেছেন একগালে থাপ্পড় দিলে আরেকগালে থাপ্পড় দেয়ার অনুমতিও আল্লাহ দিছেন। ক্ষমাকারিকে আল্লাহ পছন্দ করেন তাই সবাইকে ক্ষমা করি।

 

শামীম ওসমান আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে বলতে চাই, আমরা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট রাস্তা-ঘাট কেউ খোলার ক্ষমতা রাখে না। এই খেলা আমাদের খেলার অভ্যাস আছে। এইগুলি নিয়া কেউ খেইলেননা। কারণ ক্ষমতায় আছি আমরা পার্মানেন্টনা, আমি পার্মানেন্টনা। আমরা চাই মানুষ ন্যায় বিচার পাক, আইনের শাসন পাক। শেখ হাসিনা প্রতিহিংসা পরায়ননা। তিনি অমন হলে ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের এক রাতে গুলি করে মারতেন। তিনি আইনের শাসনের প্রতি আস্থাশীল ছিলেন। নিরাপরাধ ব্যক্তিতে যদি এক ঘন্টার জন্যও সাজা দেওয়া দেয়া হয় সেইটাই হলো আইনের প্রতি ধর্ষণ। আইনকে ধর্ষিত করা হয়েছে। সেটা সিদ্ধিরগঞ্জে নেতাকর্মীদের জন্য হয়েছে।  

 

শামীম ওসমান আরো বলেন, এই জনসভা নিয়ে কেউ কেউ বলেছেন মিটিং কার? এটা শামীমের মিটিং। এটা আওয়ামী লীগের কর্মীদের মিটিং। কর্মী এবং জনগণ আমার চেয়েও বেশি ক্ষমতা আছে। জনগণের চেয়ে অন্য কেউ ক্ষমতাবাননা। কেউ কেউ ভাবে তিনি জনতার চেয়েও বেশি ক্ষমতাবান। আমাদের শরীরে হারাম নাই। যা আছে হালাল। এই হালাল জিনিস কারো সাথে বেঈমানি করেনা। এইটা অনেকের সহ্য হয়না।

 

তিনি বলেন, ২১ বছর লেগেছে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসতে। এরমধ্যে অন্তত ৬০ জন ভাইয়ের লাশ আমরা দাফন করেছি। নারায়ণগঞ্জে শেখ হাসিনার পক্ষে  স্লোগান দেয়ার অপরাধে মাত্র ১২ দিন আগে বিয়ে হওয়া মনিরকে লাশ হতে হয়েছে। সলিমুল্লাহ সড়কে তাকে গুলি করা হলো। আমরা রাজপথে নেমেছিলাম।আমরা পাল্টা গুলি করতে নামিনাই। বিজয় স্তম্ভের এখানে তার জানাযা দেয়ার জন্য গিয়েছিলাম যাতে তার লাশটা দলের সম্মানটা পায়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট রোড দিয়ে যাওয়ার সময় গুলি করা হলো। ৭০ টা গুলি তার লাশ থেকে বার করতে হয়েছে। কবরস্থানে যেতে পারিনাই। ছোট ভাই পাপ্পুকে হত্যা করা হলো। চানমারিতে এই দুই লাশ আমরা দাফন করেছি। কোথায় ছিলেন আপনারা? যারা এতো বড় মানুষ? এতো বড় বড় কথা বলেন? 

 

শামীম ওসমান বলেন, প্রশাসনের দিকে বলতে পারি, শুদ্ধি অভিযান চালান। আমি একটা মানুষ। তার মানে এই নয় যে আমার কথায় সবসময় নেতাকর্মীরা চলবে। কারণ সবারই আত্মসম্মান বোধ আছে। হঠাৎ হঠাৎ করে একজনের সাথে সমস্যা হবে প্লিজ নারায়ণগঞ্জ কিন্তু আওয়ামী লীগ মানে আগুন নিয়ে খেলা। কেউ আগুন নিয়ে খেলবেননা। কারণ পারবেননা। পারবেননা। কেউ পারবেননা। নিশ্চিত থাকেন। জিয়া পারে নাই, এরশাদ পারে নাই, খালেদা জিয়া পারে নাই আর এটা তো শেখ হাসিনার বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা বলেছেন, সব ছাড় দেবো কিন্তু তৃণমূল নেতাকর্মীরা যদি কোন মন্ত্রী, এমপি অসম্মান করে তবে আমি ছাড় দেবোনা। আমিও সেই শেখ হাসিনার কর্মী। একটু ঋণ শোধ করতে চাই। নারায়ণগঞ্জকে সুন্দরভাবে সাজাতে চাই।     

 

সিদ্ধিরগঞ্জে গণপিটুনিতে বাকপ্রতিবন্ধী সিরাজ হত্যা মামলা প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এই মামলার বাদীর নাম সাখাওয়াত হোসেন মৃধা থানায় জিডি করেছেন তার জাল স্বাক্ষর নকল করা হয়েছে। কে করেছে? যতদূর জানি তার নাম সেলিম। আওয়ামী লীগ নেতাদের জানাতে চাই পুলিশ সুপারের সাথে কথা হয়েছে তিনি একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি। উনি সমস্ত ঘটনা শুনেছেন। আমি তাকে বলেছি এই গেইমগুলো হচ্ছে। অতি উৎসাহী কিছু অফিসার আছে সংখ্যায় কম নিজেরা শিবির টিবির করতো, নয়তো বাপ-দাদা রাজাকার ছিলো। আমার যা মনে হয়। আমি এসপি সাহেবকে বলেছি এ বিষয়টি দেখতে। তিনি আমাকে কথাও দিয়েছেন। উনি বলেছেন লিডার আমি আপনাকে কথা দিচ্ছি এই মামলায় তো কোন নিরপরাধ ব্যক্তি থাকবেনই না। সাথে সাথে এই কথাও দিয়েছেন যারা এইটার ষড়যন্ত্র করেছেন আমি পুলিশের নিয়ম অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবো। আমি উনার কথায় বিশ্বাস রাখতে চাই। জানি উনি অসত্য কথা বলবেননা। 

 

এর আগে শামীম ওসমান এই মামলা প্রসঙ্গে  বলেন, নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপারকে আমি এটি সম্পর্কে বলেছিলাম। চৌকস পুলিশ সুপার। তিনি আসছিলেন। আমি তার সাথে কথা বলেছি। সিদ্ধিরগঞ্জের মানুষ যখন উত্তেজিত। ৭৪ জন মানুষের নামে মামলা দেয়া হয়েছে। আমি তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। আমি জনপ্রতিনিধি। আমার কাজ হচ্ছে জনগণের পক্ষে কথা বলা। ৭৪ মানুষের সাথে আরো ৪০০ টোটালি ৪৯৫ জন মানুষ। ঘটনা ঘটেছে ১নং ওয়ার্ডে। মামলা হয়েছে ১নং থেকে ১০নং ওয়ার্ড পর্যন্ত। এদের মধ্যে ৭০ ভাগ আওয়ামী লীগ নেতা আর ৩০ ভাগ স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির বড় ব্যবসায়ী।উদ্দেশ্যটি কি? সিদ্ধিরগঞ্জটা আওয়ামী লীগের গোপালগঞ্জ। আমার মনে হয় এর মধ্যে খেলা আছে। 

 

নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকের একটি বক্তব্যের অংশ টেনে শামীম ওসমান বলেন, তিনি বলেছেন স্বাধীনতার চেতনা  বিরোধী কাউকে পুলিশে নেয়া যাবেনা। কথাটা ঠিক আছে। কিন্তু সেখানে পুলিশ শব্দটা হবেনা। আমি মনে করি স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি শুধু প্রশাসন না কোথাও যাতে অবস্থান না করতে পারে। এটা আমাদের দেখা উচিৎ।    

 

এই জনসভা আয়োজন সম্পর্কে শামীম ওসমান বলেন, অন্য কোন বিষয়ে নয় আজকে সমাবেশ না। রোহিঙ্গাদের কোরবানির ঈদে মাংস বিতণের নাম করে একটি এনজিও অস্ত্র বিতরণ করে আসছে। সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশের নামে দেশের বাইরে প্রিয়া সাহা ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে নালিশ করেছে। কে পাঠিয়েছে তাকে?  গায়ে চর্বি জমালে হবে না। আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। যদি নেত্রী ডাক দেন কোন অপশক্তির বিরুদ্ধে, বলেন কোন ষড়যন্ত্রকারী এসেছেন , যদি ডাক দেন স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে তার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে এরজন্য এই সমাবেশের আয়োজন।  

 

সাংসদ শামীম ওসমান এক আওয়ামী লীগ নেতার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের মানুষ, প্রশাসন জানে এখানে কেউ কেউ খেলার চেষ্টা করে। কি করেন? উনি হকারদের লাথি মারেন। পারলে মানুষের মুখে ভাত দেন, লাথি মাইরেননা। নৌকার জন্য ভ্যা ভ্যা করে কানছে নেত্রীর সামনে গিয়া! এহন ক্ষমতায় যাইয়া বলে আমি কোন দলের না। ভাই মনে রাইখেন কিন্তু উনি কোন দলের না। আগামীবার নৌকা চাইয়েন না কিন্তু। নৌকা না চাইলে, নৌকা না পাইলে কিছু পাবেননা। 

 

শামীম ওসমান আরো বলেন, আমার তাতে আপত্তি নাই আপনি করেন। আমার খুব লজ্জা লেগেছে জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার একজন কর্মী হয়ে, এমপি, মন্ত্রী কিংবা অন্য কেউ হয়ে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় হকারদের মারা হচ্ছে। আমি এটা বিশ্বাস করতে চাইনা। মানুষের অভিশাপ লাগবে। মানুষের পেটে লাথি মাইরেননা। ভাত খাইতে দেন। কি করবে? ইয়াবা বেচবে রাস্তার পাড়ে? আগে খাওয়ার ব্যবস্থা করেন পড়ে উঠান।  

 

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জেলা কমিটির সভাপতি চন্দনশীলের সভাপতিত্বে সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, য্গ্মু সম্পাদক আবু জাফর চৌধুরী বীরু, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল,  মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ্ বাদল, সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী, সোনারগাঁ থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া সাজনু, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম চেঙ্গিস, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রফেসর শিরিন বেগম, মহানগর মহিলা লীগের সভাপতি ইসরাত জাহান স্মৃতি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধান, নাজমুল আলম সজল, আব্দুল করিম বাবু, শফিউদ্দিন প্রধান, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. নাজিমউদ্দিন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক মোহসিন মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
 

এই বিভাগের আরো খবর