শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবে চারু ও কারুশিল্পীদের মিলনমেলা

প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি ২০২০  

সোনারগাঁ (যুগের চিন্তা ২৪) : শখের হাঁড়ি, তালপাখা, নকশিকাঁথা, শীতলপাটি এবং নিখুঁত কারুকাজের জামদানি শাড়ির সমাহার নিয়ে জমজমাট সোনারগাঁয়ে মাসব্যাপী লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব।

 

উৎসবে এ বছর দেশের প্রত্যন্ত পল্লী অঞ্চল থেকে আসা চারু ও কারুশিল্পীদের মিলনমেলা বসেছে। এসব কারুশিল্পীদের প্রদর্শনীতে তাদের হাতে তৈরি নানা ধরনের পণ্যসামগ্রী মেলাকে করে তুলেছে আরো আকর্ষণীয়। আর এগুলো বেশ আগ্রহের সাথেই কেনাকাটা করছেন দেশি-বিদেশি পর্য়টক ও দর্শনার্থীরা। 

 

কারুশিল্পীদের নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানসহ সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতার ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক। তথ্যানুসারে জানা যায়, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন আয়োজিত মাসব্যাপী লোকজ মেলায় রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর, কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, নওগাঁ, পার্বত্য চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, সিলেট, কিশোরগঞ্জ, কুমিল্লা, নরসিংদী ও মুন্সীগঞ্জ থেকে ৬৪জন চারু কারুশিল্পী প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন। 

 

১৫৪টি স্টলে এসব কারুশিল্পীদের তৈরি শখের হাঁড়ি, তালপাখা, নকশিকাঁথা, শোলাশিল্প, শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত ও কাঠের কারুপণ্য, পাটের তৈরি কারুপণ্য, মাটি ও তামা কাাঁসা পিতলের শো-পিছ, শীতলপাটি এবং নিখুঁত কারুকাজের জামদানি শাড়ির সমাহার ঘটেছে। দামও তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী। তাই মেলায় বেঁচা-বিক্রিও বেশ ভালো হচ্ছে। লোকজ শিল্পের এসব কারুপণ্য শখ করে এবং উৎসাহের সাথেই কিনছেন দেশি-বিদেশি ক্রেতারা।

 

মেলায় পরিবার পরিজন নিয়ে এসেছে ফিরোজ মাহমুদ। তিনি জানান, কারু প্রদর্শনীর পাশাপাশি শিল্পাচার্য জয়নুল লোক কারুশিল্প যাদুঘরে সাজানো রাখা শত শত বছরের প্রাচীন শৈল্পিক সামগ্রী অবলোকন করতে প্রতিদিন দেশি-বিদেশি পর্যটক ও রাজধানীসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে দর্শনার্থীরা এ মেলায় আসছেন।

 

এ মেলা  সোনারগাঁসহ সারাদেশের নানা ঐতিহ্যে ফুটে উঠেছে বলে মনেকরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরিফা জান্নাত। তিনি বলেন, এখানে এসে অনেক জিনিস দেখলাম যা অন্য সময়গুলোতে দেখতে চাইলেও পাই না। অনেক কিছু জানলাম। এখানে শুধু সোনারগাঁ নয় সারাদেশের নানা ঐতিহ্যে তুলে ধরা হয়েছে। ভালো লাগছে। এ ধরনের আয়োজন আরো বেশি বেশি হলে আমরা যারা নতুন প্রজন্মেও আছে তারা বাংলাদেশের এ সকল ঐতিহ্যে সম্পর্কে ধারনা পাব।

 

এদিকে মেলায় প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া চারু কারুশিল্পীদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা ও প্রতিদিন সম্মানি ভাতাসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন।


প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রাখা মাসব্যাপী এই লোকজ মেলা চলবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। 

এই বিভাগের আরো খবর