মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ৫ ১৪৩০

রূপগঞ্জে অবাধে বিক্রি হচ্ছে কেমিক্যাল মেশানো কলা

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০১৯  

রূপগঞ্জ (যুগের চিন্তা ২৪) : “পুষ্টিকর ফল কলা” কেমিক্যাল মেশানো কলা খেয়ে অসুস্থ হচ্ছে মানুষ, ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে। পাঁকা কলা তো নয়, যেন বিষের দলা। রূপগঞ্জে বিষ মেশানো কলা বিক্রি হচ্ছে প্রতিদিন।

 

রূপগঞ্জে প্রতিদিন প্রায় ৫ ট্রাক কেমিক্যাল মাখানো কলা স্থানীয় মানুষের পেটে যাচ্ছে। আর এসব অপরিপক্ক কলা আসছে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে। প্রতিদিন সকালে সাওঘাট পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে এক ট্রাক ও হাজী আব্দুল হক সুপার মার্কেটে আসছে দুই ট্রাক, আব্দুর আউয়াল মার্কেট ১ ট্রাক, গোলাকান্দইল নতুন বাজার রোডের মাথায় ও মুড়াপাড়া পুরান বাজারে ১ ট্রাক করে কলা আসছে। 

 

রাতারাতিই এসব কলা পাকিয়ে বাজারজাত করা হচ্ছে। কলাতে কার্বাইট নামক কেমিক্যাল, পোঁকা মারার বিষ, ডিডিটি স্প্রে মেশানো হচ্ছে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর কলা খাওয়ার নামে ক্রেতারা খাচ্ছে এসব । তবে এ যেন দেখার কেউ নেই। 

 

কলার খুচরা বিক্রেতাদের চাহিদা অনুসারে সম্পূর্ণ কাঁচা কলা চার ঘন্টার ব্যবধানে কেমিক্যাল স্প্রে করে পাঁকানো হচ্ছে এখানে। পরে এখান থেকে ভ্যান গাড়ি করে চাহিদা মোতাবেক কলা নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। 

 

জানা গেছে, বাগানে কলা দ্রুত বৃদ্ধির জন্য নানা ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। তারপর এক শ্রেণির অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ী অপরিপক্ব কলা পাঁকানোর জন্য ডিডিটি ও অন্যান্য কেমিক্যাল স্প্রে করে। কলায় এভাবে দুই দফায় মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার করা হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় খরচ কম, লাভ বেশি হয় বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।

 

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলেছেন, ডাইক্লোরো ডাইফিনাইল ট্রাইক্লোরোইথেন বা ডিডিটি সাধারণত পোকামাকড় দমনে ব্যবহার করা হয়। আর ডিডিটির সঙ্গে অন্য কেমিক্যাল মেশালে এর ক্ষমতা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। যা মানব দেহে প্রবেশের ফলে অল্প সময় মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হয়। মানব দেহে মরণব্যাধি নানা রোগ সৃষ্টি হচ্ছে এসব ক্ষতিকর দ্রব্য মেশানোর কারণে। 

 


চিকিৎসকেরা জানান, মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা কলাসহ অন্যান্য ফল পাঁকিয়ে পঁচনরোধে ও দীর্ঘদিন রেখে বিক্রির জন্য ফরমালিন ব্যবহার করে গুদামজাত করে।এসব কলা রূপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে। বিশেষ করে ভূলতার আব্দুল হক সুপার মার্কেট, আব্দুল আউয়াল মার্কেট, সাওঘাট মীর মার্কেট, গোলাকান্দাইল নতুন রোডের মাথার একটি আড়ৎ ও মুড়াপাড়া পুরান বাজারে কলার বিশাল আড়ৎ রয়েছে। 

 

এসব আড়ৎ রেখে কাঁচা কলাতে ক্যামিকেল ব্যবহার করে পাঁকানো হচ্ছে। আর সেখান থেকে উপজেলার স্যানটারি কর্মকর্তাও উৎকোচ নিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ পাওয়  গেছে।ফলে ব্যবসায়ীরা অবাধে পোকা মাড়ার ঔষধ দিয়ে পাঁকানো কলা বিক্রি করার সাহস পাচ্ছেন।

এই বিভাগের আরো খবর