শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

মেয়র আইভী ও ডিসিসহ ১০ জনকে আদালতের কারণ দর্শানোর নির্দেশ

প্রকাশিত: ২৯ আগস্ট ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : নারায়ণগঞ্জে ঐতিহ্যবাহি রহমতউল্লাহ মুসলিম ইনস্টিটিউট ভবন ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়ায় ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ ১০ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে আদালত। 

 

গত বুধবার রহমতউল্লাহ মুসলিম ইন্সটিটিউট ভেঙ্গে দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে আবেদনের প্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জের চতুর্থ সিনিয়র সহকারি জজ আদালতের বিচারক শাকিল আহমেদ ওই নির্দেশ প্রদান করেন। 

 

মামলায় বিবাদী করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), এনডিসি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক, সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, রহমত উল্লাহ মুসলিম ইন্সটিটিউটের পরিচালনা পরিষদের সদস্য রাশেদুল ইসলাম রাশু, আবদুস সাত্তার ও নূরুল হককে। 

 

মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল বলেন, ২০০৮ সালে রহমত উল্লাহ মুসলিম ইন্সটিটিউট উচ্ছেদের বিরুদ্ধে আদালতে একটি স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ছিলো। 

 

ওই সময় নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বিলুপ্ত নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছিলেন। তখন তিনি রহমত উল্লাহ মুসলিম ইন্সটিটিউট পরিচালনা কমিটির সদস্য ছিলেন। 

 

আদালতের ওই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকা অবস্থায় গত ২০ জুন মেয়র অবৈধ ভাবে জোরপূর্বক ভবনটি ভেঙ্গে দেন। এতে ওই ভবনের বিভিন্ন ব্যবসায়ির বিপুল পরিমান ক্ষতি সাধন হয়। 

 

স্থানীয়রা জানান, মুসলিম সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য ১৯৪৩ সালে তৎকালীন মহকুমার প্রশাসক রহমত উল্লাহর নামে টিনের ঘর নির্মাণ করে রহমত উল্লাহ মুসলিম ইন্সটিটিউট গঠন করা হয়। 

 

স্বাধীনতার আগে ও পরে এখানে নাটক, সঙ্গীত, আবৃত্তি সহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। পরবর্তীতে এখানে টিনের ঘরের পরিবর্তে ৩ তলা ভবনটি নির্মাণ করা হয়। আর এ ইন্সটিটিউটের পদাধিকার বলে সভাপতি হলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক।

 

গত ২০ জুন ভবনটি ভেঙ্গে ফেলা হয়। ভবনটিতে কনফেকশনারী, ফ্রিজ, এসি, সেলাই মেশিন, টেইলার, সুতা, রাবারের দোকান সহ প্রায় ৩৫টি দোকান ছিল। প্রতিটি দোকানেই লাখ টাকার পন্য ছিল বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। 

 

ব্যবসায়ীদের দাবি তাদের কোনো সময় দেওয়া হয়নি। সকাল বেলা ভবন ভাঙ্গার জন্য এক্সকাভেটার নিয়ে এসে সরাসরি ভাঙ্গা শুরু করে। ব্যবসায়ীরা কোনো মালামাল সরাতে পারেননি। এতে করে ক্ষতির মুখে পরেছেন ব্যবসায়ীরা।

 

এ বিষয়ে নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী বলেন, আইনগতভাবেই নোটিশের জবাব দেয়া হবে। রহমত উল্লাহ ইনষ্টিটিটের জমিটি জনগনের। সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব জনগনের সম্পদ রক্ষা করা। এছাড়া ভবনটি অবৈধ। তাই অবৈধ ভবনটি অপসারণ করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরো খবর