মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ৫ ১৪৩০

মানববন্ধন শেষে বাড়ি ফেরার পথে মীরু বাহিনীর হামলায় আহত ৩

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) :  মীরু ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন শেষে পাগলা এলাকায় বাড়ি ফিরছিল ওরা। চাষাঢ়া রেল স্টেশন এলাকায় আসার পরপরই মীরু বাহিনীর সদস্য ভাগিনা শাকিল,ভিপি রাজীব,সোহান গ্রুপের সদস্যরা মানববন্ধনে অংশ নেয়া তানভীর ও নাইমের উপর হামলা চালায়। 

এসময় আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত দুইজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়েছে তাদের স্বজনরা। এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় রাতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতী নিয়েছে বলে জানা গেছে। 

যারা কুতুবপুরকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে তারা কেউ পাড় পাবে না বলে জানিয়েছেন ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম হোসেন।

গত কয়েকদিন যাবৎ ফতুল্লার কুতুবপুরের শাহী মহল্লা এলাকা উৎতপ্ত হয়ে উঠেছে। মীরু ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দিতে আসা শিকদার সেলিম ও তার ভাই মুরাদ মারধরের শিকার হয়। 

এ ঘটনায়  জেলা আওয়ামলীগের  সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলীকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে  শিকদার সেলিম। মঙ্গলবার সকালে মীর সোহেল আলী ও মামলার অপর আসামী আদালত থেকে জামিন লাভ করে।

একই দিন বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে কুতুবপুরের শাহী মহল্লা এলাকাবাসী নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মীরু বাহিনীর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে। মানববন্ধন শেষে চাষাঢ়া রেল স্টেশনে পাগলা রেলস্টেশনে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল নাঈম ও তানভীনসহ কয়েকজন। 

এসময় মীরুর ভাগিনা শাকিল,ভিপি রাজিব, গেন্দুসহ ১০/১২ জন নাইম ও তানভীরের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এমনটি দাবী করেছেন আহতরা। পরে আহতদের সাথে থাকা ব্যাক্তিরা তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করিয়েছে। তবে তাৎক্ষনিকভাবে বাকি আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

এব্যাপারে শিকদার সেলিম বলেন,কুতুবপুরের শাহী মহল্লা ও শাহী বাজার এলাকায় যারা সাধারণ ব্যবসায়ী রয়েছে তারা সন্ত্রাসী মীরু ও তার বাহিনীর সদস্যদের কাছে জিম্মি। মীরুকে কেউ কেউ শেল্টার দিয়ে প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। মীরুর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে বাড়িতে ফেরার পথে প্রতিবাদকারীদের কোপানো হল।  কার কাছে বিচার চাইবো ? 

আমরাতো সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতে জানিনা। একজন সন্ত্রাসীর কাছে কুতুবপুরবাসী কি সারাজীবনের জন্য জিম্মি হয়ে থাকবে ? সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।

এব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,  ঘটনা খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এছাড়াও  এলাকায়ও খোঁজ খবরও নেয়া হয়েছে। অপরাধী যে-ই হইক কাইকে ছাড় দেয়া হবে না।
 

এই বিভাগের আরো খবর