মানবপাচারকারী চক্রের নারী সদস্য গ্রেপ্তার, ৩ তরুণী  উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : সিদ্ধিরগঞ্জে জেবা আক্তার (৪৫) নামে মানবপাচারকারী চক্রের এক নারী সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তার বাসায় আটকবস্থায় তিন তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। তাদের প্রত্যেকের বয়স ১৮ থেকে ১৯ এর মধ্যে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে উদ্ধারকৃত এক ভুক্তভোগীর বড় বোন নাজমা আক্তার (৩৮) বাদী হয়ে জেবা আক্তারকে প্রধান আসামী করে ৩ জনের নাম উল্লেখ ও ৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করেছে। নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  কামরুল ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

মামলার অপর আসামিরা হলো, ঢাকার পুরানা পল্টনস্থ নিরুপম ইন্টারন্যাশনাল নামীয় ট্রাভেলস কোম্পানির ম্যানেজার মুরাদ (৫৪) ও সহযোগী শাহাদত (৫৩)।  

এর আগে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) গভীর রাতে জালকুড়ি উত্তরপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জেবা আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়।  সে ডিএমপি ঢাকা কদমতলী থানার মুরাদপুর মাদ্রসারোড এলাকার ২২৭ নং বাড়ির ফারুক হোসেনের স্ত্রী এবং সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ির মোশারফ হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
 
মামলা সূত্রে জানা যায়, মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ী থানার হাসাইল বানারি ইউনিয়নের আবদুল সাত্তারের ভাড়া বাড়ি থেকে গত ১৮ আগষ্ট বিকেলে এক ভুক্তভোগী নিখোঁজ হয়। কোথাও খোঁজে না পেয়ে টঙ্গিবাড়ী থানায় জিডি করা হয়। গত  সোমবার ২৮ অক্টোবর সকালে মোবাইল ফোনে তার অবস্থান জানায়। 

খবর পেয়ে রাত ১০ টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় জানালে ওসি তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠিয়ে ওই বাড়ি থেকে ছোটবোনসহ ৩ জনকে উদ্ধার করে এবং  মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য জেবা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, আসামী জেবা নিরুপম ইন্টারন্যাশনাল নামীয় ট্রাভেলস কোম্পানির হয়ে কাজ করে। 

তাদের একটি সঙ্গবদ্ধ চক্র রয়েছে। চক্রটি দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অসহায় গরীব দুঃখী পরিবারের নারীদেরকে লোভনীয় বেতনে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে আসে। 

তাদেরকে  জেবার ভাড়া বাসায় আটক রেখে সময় সুযোগমতে বিদেশে পাচার করে দেয়। আরো তথ্য জানার জন্য জেবাকে রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে।