শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বড় শাকিল ও লালন গংদের ফাঁসি দাবি

যুগের চিন্তা রিপোর্ট 

প্রকাশিত: ১০ মে ২০২০  

পশ্চিম দেওভোগ আদর্শনগর এলাকার সবচেয়ে বড় কিশোর গ্যাং লিডার ও বহু অপকর্মের মূলহোতা নিরিহ শরীফ মাদবর হত্যা মামলার প্রধান আসামী শেখ মো: শাকিল ওরফে বড় শাকিল ও লালনগংদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী।

 

এলাকাবাসী বলছেন, এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করা থেকে শুরু এমন কোন অপকর্ম নাই, যা তারা করেন না। তাদের এ অপকর্মের প্রতিবাদ করতে গেলেই খুন হতে হচ্ছে নিরিহ মানুষদের। যার জলজ্যান্ত প্রমাণ আমাদের নিরিহ শরীফ মাদবর। তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় সেদিন তাকে প্রকাশ্য দিবোলোকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আমরা এ হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার আশা করছি প্রশাসনের কাছে।

 

স্থানীয় এলাকাবাসী, পঞ্চায়েত কমিটি ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরাও শরীফ হত্যার বিচার দাবিতে ফুসে ওঠেছেন। তারা চাচ্ছেন এ হত্যা কান্ডের সুষ্ঠু বিচার ও আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি তথা ফাঁসি হোক। ওই সকল আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে এলাকায় অপরাধীদের অপরাধ করার প্রবণতা অনেকাংশে কমে যাবে বলেও বিশ্বাস করেন তারা।

 

সূত্র বলছে, স্থানীয় বেশ কয়েকজন প্রভাশালীর ছত্রছায়াই এ কিশোর গ্যাংয়ের উৎপত্তি। তারাই রাজনীতিগত কারণে এসব সন্ত্রাসীদের লালন ও পালন করে থাকেন। এ জন্য ওই সকল সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যাবসায়ীদেরও সামাজিক সংগঠন কিংবা পঞ্চায়েত কমিটির মত স্থানে জায়গা করে দিয়েছেন তারা। যার ফলসূতিতে আজকের এ শরীফ হত্যা। শরীফ হত্যা মামলার প্রধান আসামী শেখ মো: শাকিল ওরফে বড় শাকিল ও লালনগংরা কিশোর গ্যাং লিডার ও চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী হওয়া সত্বেও তাদের স্থান ছিলো পঞ্চায়েত কমিটির মত বড় বড় সংগঠনে।

 

সূত্রটির দাবি, তারা এতটাই ওই সকল প্রভাশালীর আর্শিবাদপুষ্ট ছিলেন, যার কারনে এলাকার কাউকে তোয়াক্কা করতো না। অনেকটা প্রকাশ্যেই চালাতো তাদের অস্ত্র ও মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপকর্ম। শুধু তাই নয়, এলাকায় নারী নির্যাতন ও ধর্ষনের অভিযোগও ছিলো তাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু তাদের ভয়ে সবাই চুপসে যেতো সব সময় সব কিছু।


এদিকে ওই সকল কিশোর গ্যাং লিডার বড় শাকিল ও লালনগংদের হাতে সর্বশেষ শরীফ হত্যার পর পরই অনেকটাই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন থেকে শুরু করে স্থানীয় পঞ্চায়েত কমিটি ও সামাজিক সংগঠনগুলো। ইতিমধ্যে ফতুল্লা থানা পুলিশ শরীফ হত্যা মামলার সকল আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন।

 

অপরদিকে স্থানীয় পঞ্চায়েত কমিটি ও সামাজিক সংগঠনগুলো শরীফ হত্যার বিচার দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে চলেছেন। কর্মসূচিতে তারা বলেছেন, যেভাবেই হোক শরীফ হত্যা মামলার বিচার হতেই হবে। ওরাই সমাজটাকে নষ্ট করে দিয়ে ছিলো। আমরা ওদের ফাঁসি চাই। ওদের ফাঁসি হলে সমাজের শান্তি শৃঙ্খলা আবার ফিরে আসবে।
 

এই বিভাগের আরো খবর