শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

বেপরোয়া রূপগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ছালাহউদ্দিন ভূঞা

প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

যুগের চিন্তা রিপোর্ট : দাবি করা ৫৫ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে পিটিয়ে জখম করাসহ নানা অভিযোগ উঠেছে রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছালাহউদ্দিন ভূঞার বিরুদ্ধে। ফাগুন গ্রুপের সাইট পরিচালক ডাক্তার আরমান মোল্লাকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়ে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা, প্রাচীর ভেঙে ফেলা, নগদ অর্থ ও মালামাল লুটের অভিযোগও আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রূপগঞ্জ উপজেলার কেয়ারিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেছেন আহত আরমান মোল্লা।


  
হামলার শিকার ভুক্তভোগী পশ্বি এলাকার দন্ত ডাক্তার আরমান মোল্লা অভিযোগে জানান, দীর্ঘদিন ফাগুন গ্রুপ নামে একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের পূর্বাচল সাইট বিভাগের জমি জমা দেখাশুনা করেন তিনি। ওই কোম্পানীর কোন জমিতে সাইনবোর্ড কিংবা প্রাচীর নির্মাণ করলে রূপগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান ছালাহউদ্দিন ভূঞাকে নির্ধারিত হারে চাঁদা দিতে হবে এমন দাবি করে আসছে। সম্প্রতি কেয়ারিয়া মৌজার একটি জমির বিষয়ে ৫৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ছালাহউদ্দিন। কিন্তু কোম্পানী ওই টাকা দিকে অস্বীকৃতি জানায়। সোমবার বিকালে দেয়াল নির্মাণ করতে  গেলে চাঁদার টাকা না দেয়ায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ৫০ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ছালাহউদ্দিন নিজেই হামলা চালায় আরমান মোল্লার উপর। রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে আরমানকে। পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে  দেয়।


সন্ত্রাসীদের মধ্যে কেয়ারিয়া এলাকার ফাইজদ্দিনের ছেলে কাদির মিয়া, কাদির মিয়ার ছেলে রুবেল (৩০) ও  মতিন (৩৬), মানিক মিয়ার ছেলে শফিকুল স্বপন (৫০), টেক নোয়াদ্দার একাব্বরের ছেলে আশিক, ব্রাহ্মণখালী এলাকার রতন দেওয়ানের ছেলে রহমুতুল্লাহও (২৫) ছিল।  


আরমান জানায়, তাঁর চিৎকারে স্থানীয় রহমাতুল্লাহ, রাজমিস্ত্রী মোজাফ্ফর, ফাইজুদ্দিন ও সমর আলী এগিয়ে এলে তাদের উপরও হামলা করা সন্ত্রাসীরা। এ সময় তার পকেটে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। 


আরমান অভিযোগে বলেন, চেয়ারম্যান নিজেই জড়িত হওয়ায় ভয়ে স্থানীয়রা কেউ এগিয়ে আসে নি। তবে আত্মীয়-স্বজন খবর পেয়ে দ্রুত চিকিৎসার জন্য আরমান মোল্লাকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।  


এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছালাহউদ্দিন ভূঞা বলেন, ‘বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলা চলমান। বিচারাধীন জমি বেদখল ঠেকাতে ফাগুন গ্রুপের লোকজনকে প্রাচীর তৈরি করতে বাধা দিয়েছি মাত্র। অভিযোগ যার ইচ্ছা সে করবে, তাতে আমার কি করার আছে। আমি এলাকার মানুষের জন্যই জনপ্রতিনিধি হয়েছি।’ 


রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘এই ধরনের অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা তদন্তের পর জড়িতদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এই বিভাগের আরো খবর