শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘বুলবুল’ একেবারেই দুর্বল হয়ে গেছে

প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০১৯  

ডেস্ক রিপোর্ট (যুগের চিন্তা ২৪) : ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ একেবারে দুর্বল হয়ে গেছে। উপকূলীয় এলাকা থেকে মহাবিপৎসংকেত তুলে নিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে বুলবুলের রেশ আছে। এই রেশ আরও দুই দিন থাকবে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আগামী দুই দিন বৃষ্টি হবে।


রোববার (১০ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসদ্দিন আহমেদ।


শামসুদ্দিন আহমেদ জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’এই মুহূর্তে একেবারেই দুর্বল। এটি ছিল একটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়। শুরুর দিকে বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। কখনো কখনো ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। সেই জায়গা থেকে এখন বাতাসের গতি নেমে এসেছে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটারে।


তিনি বলেন, ‘বুলবুল এখন আর প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থানে নেই। এমনকি এটি এখন আর ঘূর্ণিঝড়ও নয়। এটি একটি স্থল নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছে।’


ঘূর্ণিঝড় বুলুুল বাংলাদেশে আসার আগে গতকাল শনিবার মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। একই মহাবিপৎসংকেতের আওতায় ছিল উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো। তবে এসব মহাবিপদসংকেত তুলে নিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।


আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আগে ছিল মহাবিপৎসংকেত ১০। এটি ছিল পায়রা ও মোংলায়। এখন ওই দুই জায়গায় মহাবিপৎসংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে হবে। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ছিল মহা বিপদ সংকেত ৯। সেখানে মহাবিপৎসংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে হবে। কক্সবাজারের ছিল ৪। সেখানে হবে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত। নদীবন্দরে ছোট ছোট লঞ্চের জন্য ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত বিদ্যমান আছে।’


বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পশ্চিম অংশে সৃষ্টি হয়ে বুলবুল ধেয়ে আসে উত্তর-পূর্ব দিকে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে বুলবুল বয়ে যায় সুন্দরবনের ভারতের পশ্চিমবঙ্গ অংশের ধানচি সংলগ্ন এলাকা দিয়ে। স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আগেই বুলবুলের কিছুটা শক্তিক্ষয় হয়। তবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়। পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বড় অংশ লন্ডভন্ড হয় বুলবুলের তাণ্ডবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ জানান, প্রথমে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। এই আঘাতের পর সেটি দুর্বল হয়ে যায়। সে জন্য বাংলাদেশে আসতে আসতে বুলবুলের বাতাসের গতিবেগ আরও কমে যায়।


তবে এখন স্থল নিম্নচাপ হিসেবে বুলবুলের প্রভাবে আগামী দুই দিন থেমে থেমে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হবে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে আরও তিন চার দিন লাগবে বলেও জানায় আবহাওয় অধিদপ্তর।

এই বিভাগের আরো খবর