শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

বিদ্যানিকেতন হাইস্কুল ১৪ বছর পদার্পণ অনুষ্ঠান ও নবীনবরণ সম্পন্ন

প্রকাশিত: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : বিদ্যানিকেতন হাইস্কুলে ১৪ বছরের পদার্পণ ও নবীনবরণ উপলক্ষে আলোচনা সভা,স্মৃতিচারণ ও সঙ্গীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।  শনিবার (৮ ফেব্রæয়ারি) বিকেলে বিদ্যানিকেতন হাইস্কুল প্রাঙ্গনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।  অনুষ্ঠানে অতিথিদের উত্তরীয়,সম্মাননা স্মারক ও ফুলেল শুভেচ্ছাসহ নবীনদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।

 

বিদ্যানিকেতন হাইস্কুলের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান কাশেম হুমায়ুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,  তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের  সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম পিএএ।


বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন,  প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক জসীম উদ্দিন হায়দার। সম্মানিত অতিথি উপস্থিত ছিলেন অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক  মোহাম্মদ শামস উল ইসলাম। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা শিক্ষা অফিসার শরিফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)  নাহিদা বারিক, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী কাশেম জামালসহ প্রমুখ।


আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম বলেন, সরকারের যে ঐকান্তিক প্রচেষ্টা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আগামী বাংলাদেশের সৈনিক হিসেবে গড়ে তোলার যে কাজটি কাজটি তা সর্বাত্মক হতে হবে। কোনো অঞ্চল পিছিয়ে থাকলে চলবে না। ইতিমধ্যেই জানতে  পেরেছি এ অঞ্চলটি একটি পিছিয়ে পড়া জায়গা ছিলো। কিন্তু এ স্কুলটি গড়ার মধ্যে দিয়ে এ এলাকাটি বর্তমানে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে চলেছে। 


তিনি আরো বলেন, আমরা একটি ঈর্ষনীয় পর্যায় রয়েছি। অনেক দেশ,সংগঠন আমাদের অনুকরণের চেষ্টা করছে। বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের যে উত্তরণ তা অব্যহত রাখতে আমাদের  আগামীতে আমাদের যে চ্যালেঞ্জ রয়েছে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব। আর এ প্রযুক্তির উন্নয়ণের সৈনিক বা অংশীদাররাই হল আজকের যারা শিক্ষার্থী রয়েছে । তাই বর্তমান প্রজন্মকে সুদক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

 

কারুণ আগামীতে শিক্ষাই হবে আমাদের উন্নয়নের সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা। তাই পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি আইটি অর্থ্যাৎ তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। একটি সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের প্রযুক্তিগত শিক্ষাকে হাতিয়ার হিসেবে নিতে হবে। সেই কারণেই একটি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় হিসেবে আমরা কাজ শুরু করি। 


অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শামস উল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশটাকে একসময় বলা হত তলাবিহীন ঝুঁড়ি। কিন্তু অধ্যবসায় ও নানা বাঁধা অতিক্রম করে সে জায়গা থেকে আমরা উঠে এসেছি। এখন বাংলাদেশ বিশ্ববাসীর কাছে এক অনন্য উদাহরণ। এ দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুযোগ্য নাগরিক করে তুলতে হবে। তাহলেই আমরা একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ার পথযাত্রায়  এগিয়ে যেতে পারবো।


প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক জসীম উদ্দিন হায়দার বলেন, অনেক আগে আমি থেকেই আমার নারায়ণগঞ্জে আসা যাওয়া। আমি তখন নারায়ণগঞ্জ আলী আহম্মদ চুনকা পাঠাগারে আসতাম। সেখানে আমরা মুক্তিযুদ্ধের ও প্রগতিশীল রাজনীতির সম্পর্কে পত্রিকা পড়ে  সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতাম।  তখন থেকেই এ এলাকাগুলোর সাথে পরিচিত। সে সময় এ এলাকাগুলো অনুর্বর ও ডোবা নালায় ভরপুর ছিলো। 


আর সেইখানে বর্র্তমানে আধুনিকায়নে বিদ্যানিকেতন হাইস্কুল বাংলাদেশের একটি অনন্য উদাহরণ। যেখানে এ স্কুলটি একঝাঁক কোমলমতি শিশু-কিশোরদের বাগান হিসেবে অধিষ্ঠিত হয়েছে। আর এ অসাধারণ কাজের পেছনে রয়েছে হাজারো মানুষের অবদান। বিখ্যাত এক দার্শনিক বলেছেন, আমরা যখন ভুমিষ্ট হই সেদিন থেকেই আমাদের এ জীবনটি চলমান রয়েছে। আমরা সেখানে কেউ কাজ করবো, কেউ বাস্তবায়ন করবো আর কেউ  তা টেনে নিয়ে যাব একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে। আমরা আশা করবো বিদ্যানিকেতন হাইস্কুলটিও এগিয়ে যাবে দেশ গড়ার কারিগর হিসেবে। 


জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন বলেন, আজকের শিশু আগামীদিনের ভবিষ্যৎ। তাই শুধু পাঠ্যবইয়ের সীমাবদ্ধ না থেকে নৈতিক শিক্ষায় নিজেদের সমৃদ্ধ করতে হবে।


সভাপতির বক্তব্যে কাশেম হুমায়ূন বলেন, শুধুমাত্র অর্থ দিয়ে শিক্ষা অর্জন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। ভালো শিক্ষা গ্রহণের জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন হয় না প্রয়োজন হয় একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ বিদ্যালয়ের।

 

যারা মনে করেন ভালো শিক্ষা গ্রহণের জন্য ভালো স্কুল প্রয়োজন আর ভালো স্কুলের জন্য কারি কারি টাকা। তা সঠিক নয়। তাই বলবো অর্থকে নয় শিক্ষাকে মুখ্য উপজীব্য করে আগামী প্রজন্মকে সুদক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্যে করুন।
 

এই বিভাগের আরো খবর