শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বাবলু হত্যা মামলা তুলে নিতে এড. মজিদ খন্দকারের বাড়িতে হুমকি

প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : গত ৭ অক্টোবর ফতুল্লার হাজীগঞ্জ বাজার এলাকায় জেনারেটর ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বাবলু খুন হয় প্রতিপক্ষের লোকজনদের হাতে। এ ঘটনায় নিহত বাবুলের ভাই বাদী হয়ে আলম, রাকিব, পলাশ, খালেক বেপারীসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 


মামলা দায়েরের পর থেকে বিবাদী পক্ষ বাদীকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছিল বলে অভিযোগ। শুক্রবার রাতে নিহত বাবলুর  মামা অ্যাড. মজিদ খদকারের বাড়িতে মামলার আসামীদের পক্ষে মমতাজ বেগম ও ৪ জন বোরকা পড়া নারী প্রবেশ করে। 


এসময় তারা মজিদ খোন্দকারে স্ত্রীকে পলাশ, আলম ও রাকিবের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয় । এ বিষয়ে অ্যাড. মজিদ খন্দকার বাদী হয়ে শনিবার ফতুল্লা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেছেন।


হাজীগঞ্জ বাজারে বাবলুর টিভি-ফ্রিজ মেরামতের দোকান রয়েছে। এছাড়াও বাজারের দোকান গুলোতে  জেনারেটরের সংযোগ দিয়ে ব্যবসাও করছিলেন তিনি। জেনারেটর ব্যবসা নিয়ে স্থানীয় আলম, রাকিব, খালেকসহ বেশ কয়েকজনের সাথে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়। 


এরই জের ধরে বাবলুকে গত ৭ অক্টোবর রাতে পিটিয়ে হত্যা করে  আলম রাকিবসহ বেশ কয়েকজন। এ ঘটনায় নিহত বাবলুর ভাই খোকন ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা দায়ের করার পর থেকে বিবাদী পক্ষ  বাদী পক্ষের লোকজনদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। 


এরই সূত্র ধরে শুক্রবার রাতে বিবাদী আলম,রাকিব ও পলাশের মামী মমতাজ বেগম নিহত বাবলুর মামা মজিদ খোন্দকারের বাড়িতে অবস্থান করেন। এসময় মমতাজ বেগমের সাথে ৪ জন বোরকা পরিহিত নারীও ছিল। 


তারা মজিদ খোন্দকারের স্ত্রীকে মামলা থেকে আলম,রাকিব পলাশের নাম বাদ দেয়ার জন্য নানা ধরনের হুমকি দেয়। এমন ঘটনায় মজিদ খোন্দকার বাদি হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় শনিবার একটি একটি সাধারণ ডায়রী করেছেন।


জিডি প্রসঙ্গে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আসলাম হোসেন বলেন, বাদীর জিডি গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবসা গ্রহণ করা হবে।
 

এই বিভাগের আরো খবর