শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বাংলা ভাষার প্রতিটি অক্ষরে ভাষা শহীদেরা মিশে আছেন : হাসিনা গাজী

প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

রূপগঞ্জ (যুগের চিন্তা ২৪) : রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী মহিলালীগের সভাপতি ও তারাবো পৌরসভার মেয়র হাসিনা গাজী বলেছেন, ‘বাংলা ভাষার প্রতিটি অক্ষরের মাঝে ভাষা শহীদেরা মিশে আছেন। ভাষা শহীদদের মতো দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হবে।’


বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো হাটিপাড়া এলাকায় পৌরসভার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ৫২’র ভাষা শহীদদের স্মরণে পৌর পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা ও শহীদদের সম্মানে পুস্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


মেয়র হাসিনা গাজী বলেন, ‘বায়ান্ন থেকে শুরু হয়েছিল বাঙালির জাতিসত্তার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সংগ্রাম। মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাঙালি সেদিন ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। পকিস্তানি শাসকগোষ্ঠি চেয়েছিল একমাত্র উর্দু হবে রাষ্ট্রভাষা। অথচ জনসংখ্যার দিক থেকে বাঙালি ছিল পাকিস্তানে সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাই তারা সেদিন এই অন্যায় সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি বরং কঠোর অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদমুখর হয়েছে। সংগ্রাম-আন্দোলন গড়ে তুলেছে, পুলিশের রাইফেল- লাঠির মার খেয়েছে, বুটের আঘাত সহ্য করেছে, টিয়ার গ্যাসের যন্ত্রণায় বিদ্ধ হয়েছে এবং জেল-জুলুমের শিকার হয়েছে।


তিনি আরও বলেন, দু’শো বছরের ইংরেজ শাসনের পদাংক অনুসরণ করে পাকিস্তানি সামরিক শাসকরা ধর্মের দোহাই দিয়ে এবং অস্ত্রের দম্ভ দেখিয়ে বাঙালিকে শোষণের শাসনে নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়াস চালিয়েছে। বাঙালির জাতিসত্ত্বাকে মুছে দিতে চেয়েছে। বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধংস করে তাদের চিরতরে পদানত রাখতে চেয়েছে। কিন্তু বাংলার বীর সন্তানেরা সেটা করতে দেয় নি। বুকের রক্ত দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছে ‘মহান একুশে ফেব্রুয়ারি’।

 
হাসিনা গাজী বলেন, সারা বিশ্ব আজ এই দিনটি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে। এই দিনটির রক্তাক্ত ইতিহাসের বিবরণ শুনে, অমর শহীদদের নাম শুনে শ্রদ্ধায় ভালোবাসায় পবিত্রতায় তারাও শক্তি অর্জন করে।


তিনি বলেন,‘জাতির পিতা যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, আমাদের দায়িত্ব হবে সেই লক্ষ্যে কাজ করে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করা৷ তাহলেই তার বিদেহী আত্মা শান্তি পাবে।’


অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, তারাবো পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী জেড এম আনোয়ার, সচিব তাজুল ইসলাম, তারাবো পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন ভুঁইয়া, তারাবো পৌর যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম ভুঁইয়া, কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, বিএম আতিকুর রহমান, আসমা বেগম, লায়লা পারভীন প্রমুখ।


পরে মেয়র হাসিনা গাজী রূপগঞ্জ উপজেলার দীঘিবরাবো সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নবনির্মিত শহীদ মিনার উদ্বোধন ও শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এছাড়া বরপা হাজী নুর উদ্দিন আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়, রূপসী নিউ মডেল স্কুল এন্ড কলেজ ও মুড়াপাড়া সরকারী কলেজের শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানান তিনি ।

এই বিভাগের আরো খবর