শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বন্দরের চিত্তরঞ্জন গুদারাঘাটে চলছে অরাজকতা

প্রকাশিত: ১৫ জুলাই ২০১৯  

বন্দর (যুগের চিন্তা ২৪) : বন্দরের চিত্তরঞ্জন খেয়াঘাটে চলছে চরম অরাজকতা। ঘাটে যাত্রী ছাউনী, যাত্রী ওঠানামার জেটি, যাত্রী পারাপারে সার্বক্ষণিক  ট্রলার নেই। ব্যাপক অব্যবস্থাপনার মাঝেও আদায় করা হচ্ছে ইচ্ছামাফিক টোল। এক টাকার পরিবর্তে  নেয়া হচ্ছে ২ টাকা। প্রতিবাদ করলেই ইজারাদারের লোকজনের মারধরের শিকার হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। 


তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, চিত্তরঞ্জন গুদারাঘাটটি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের আওতাভূক্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ খেয়াঘাট। বন্দরের দেউলী চৌরাপাড়া, লক্ষণখোলা, আমিরাবাদ, বক্তারকান্দি, দাসেরগাঁ, গোবিন্দকুল, ফনকুল, শাসনেরবাগ ও লাঙ্গলবন্দ এলাকার কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন এ ঘাট দিয়ে নদী পার হন। যাত্রীদের বেশির ভাগই গার্মেন্টস কর্মী-হোসিয়ারি শ্রমিক এবং স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী। 


আক্তার হোসেন নমে এক যাত্রী জানান,  যাত্রী সেবা বলতে এখানে কিছুই নেই। পশ্চিমপাড়ে কোন যাত্রী ছাউনী নেই।বৃষ্টিতে আশ্রয় নেয়ার কোন জায়গা না থাকায় ভিজেই গন্তব্যে রওনা হতে হয়। ছাউনী নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়রের কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে। কিন্তু প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীদের কারণে যাত্রী ছাউনী নির্মাণ করতে পারছেনা সিটি করপোরেশন। 

 

দেউলী চৌরাপাড়া এলাকার শাহজালাল জানান, প্রতিদিন দুটি ট্রলারে যাত্রী পারাপারের কথা থাকলেও চলে মাত্র একটি ছোট ট্রলার।  বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট ট্রলারে নদী পারপার হচ্ছেন যাত্রীরা। শুক্রবার এবং সরকারি ছুটির দিনে যাত্রীদের ডাবল ভাড়া গুনতে হয়। নানা অজুহাতে এক টাকার পরিবর্তে আদায় করা হয় ২ টাকা।  প্রতিবাদ করলেই ইজারাদারের লোকেরা যাত্রীদের প্রাণনাশের হুমকিসহ শারীরিকভাবে লাঞ্জিত করে।

 

এলাকাবাসী জানান, চিত্তরঞ্জন গুদারাঘাট দিয়ে যাতায়াতকারীরা নদীর পূর্বপাড়ের বাসিন্দা। প্রভাবশালী ইজারাদার থাকেন নদীর পশ্চিম পাড়ে। তার এলাকা দিয়ে যাতায়াত করতে হয় বলে যাত্রীরা থাকেন ভীত সন্ত্রস্ত। এ কারণে ইজারাদারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করার সাহস  পান না তারা। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাধারণ যাত্রীরা।

এই বিভাগের আরো খবর