শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বন্দরে ইমামদের উপর হামলা, উত্তেজনা

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০১৯  

বন্দর (যুগের চিন্তা ২৪) : বন্দরের ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে খতমে কোরআন অনুষ্ঠানে আসায় ২ ইমামকে মারধরসহ ১০ ইমামকে লাঞ্ছিত এবং অবরুদ্ধ করে রাখার ইভযোগ পাওয়া গেছে  ডালিম ও তার ছেলেদের বিরুদ্ধে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজলার কদম রসুল পূর্বপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

 

এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশসহ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে। 

 

আহত ও লাঞ্ছনার শিকার ইমামরা হলেন-পূর্বপাড়া জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা সামসুদ্দোহা, মাওলানা আমিনুল হক রিপন, হাফেজ আনোয়ার হোসেন, বড়বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম ও বন্দর কেন্দ্রীয় ঈদগাহের প্রধান খতিব মাওলানা সোহরাব আলী, নবীগঞ্জ কবরস্থান জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা রবিউল আউয়াল, মাওলানা আ.রহমান, হাফেজ মাওলানা শহীদুল্লাহ, মাওলানা জামির হোসেন, কদম রসুল দরগাহ মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা শরীফুল্লাহ শাহীন ও হাফেজ আমজাদ হোসেন। 


প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ কবরস্থান কমিটির সভাপতি হাবীব উদ্দিন হাবির বাসায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে খতমে কোরআন ও দোয়ার আয়োজন করে। সকালে তারা দাওয়াত পেয়ে হাবি মিয়ার বাসায় কোরআন পড়তে আসেন। এ সময় হাব মিয়ার ভাই ডালিম ও তার  ছেলে মুগ্ধ এবং অপূর্ব লাঠি সোটা নিয়ে এসে বাড়িতে প্রবেশ করে ইমামদের অকথ্য ভাষায় গালাগালিসহ মারধর শুরু করে। ইমামদের জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। ইমামরা অবরুদ্ধ অবস্থায় থেকে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দেয়।


সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই ঘটনাটি এলাকাবাসীর মধ্যে জানাজানি হয়ে গেলে এলাকার শত শত লোক ডালিমের বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় ডালিম ও তার ছেলে পালিয়ে যায়।


এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশসহ বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল ও মহানগর আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ূন কবির মৃধা পরিস্থিতি শান্ত করে। দুপুরে পুলিশের উপস্থিতিতে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এ নিয়ে এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে। 


এ ব্যপারে বন্দর উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল জানান, ঘটনাটি ন্যক্কারজনক। ইমামরা মেহেমান, মেহেমানদের উপর হামলা তা মেনে নেয়া যায় না। আমরা আগামী সোমবার এ বিষয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 


এ ব্যপারে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, সংবাদ পাওয়ার পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই বিভাগের আরো খবর