শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ফতুল্লায় আওয়ামীলীগ-যুবলীগের সংঘর্ষ : বিরাজ করছে উত্তেজনা

প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০১৯  

ফতুল্লা (যুগের চিন্তা ২৪) : ফতুল্লায় আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শফিউল্লাহ শফি ও তার পুত্র খায়রুল্লাহ সনম শাহীন গ্রুপের সৈকত ও কবির আহত হয়েছে। 


শুক্রবার দুপুরে উত্তর কাশীপুর এলাকায় এঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পরিস্থিতি অনেকটা নিয়েন্ত্রনে নিয়ে আসে। হামলায় আহত শফি ও তার পুত্র সনম নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রনে নিলেও  এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। 


জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই শফি ও শাহীন গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। অতীতে তারা এক সাথে রাজনীতি করলেও গত কয়েক বছর আগে বিভিন্ন  ইস্যু নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। 


শুক্রবার দুপুর ১টায় ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শফিউল্লাহ শফি ও কাশীপুর ২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শাহীন আলমের সাথে বাকবিতর্ক হয়। 


এ থেকেই এক পর্যায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শফিউল্লাহ শফি ও তার পুত্র খায়রুল্লাহ সনম শাহীন গ্রুপের সৈকত ও কবির আহত হয়। 


স্থানীয়রা জানান, শফি ও শাহীন একে অপরকে ঘায়েল করতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে থাকেন। বিষয়টি নিয়ে থানা আওযামীলীগের সভাপতি ও কাশীপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এম. সাইফুল্লাহ বাদল বার বার মিমাংসা করে দেয়ার আশ্বাস দিলেও তা করার কারণেই এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।


এছাড়াও গত রমজানে শাহীন আলমকে বেকায়দায় ফেলতে ফতুল্লা মডেল থানায় চাঁদাবাজী মামলা করেন শফি। ঐ মামলায় ১০দিন কারাভোগ করেন শাহীন আলম। এতেই ক্ষিপ্ত হন শাহীন আলম। অত:পর শুক্রবার এই ক্ষোভের কারণেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  


এ ব্যাপারে শফি জানান, দেড় মাস আগে শাহীন আমার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেছিল। এর প্রেক্ষিতে আমি মামলা করেছি। মামলায় জামিনে এসে আমার উপর এই হামলা চালিয়েছে। 


শাহীন আলম জানান, আমি মানুষের কল্যানে রাজনীতি করি। তাই স্থানীয় সাধারণ মানুষ আমাকে ভালবাসে। এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে শফি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজীর মামলা করেছে। মামলায় আমি জেলও খেটেছি। তবুও শান্ত ছিলাম। 


কিন্তু শুক্রবার আমাকে দেখে উস্কানীমূলক মন্তব্য করে শফি। সেই সূত্রেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী মামলার সুষ্ঠু তদন্ত করতে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।


এব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানান, সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পরিবেশ এখন শান্ত আছে। হামলাকারীদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান চলছে।
 

এই বিভাগের আরো খবর