শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

প্রশাসনের ধরতে অসুবিধা হলে এমপি পদ ছেড়ে দেব : শামীম ওসমান

প্রকাশিত: ৭ ডিসেম্বর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : হকার ইস্যুতে ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) মেয়র ডা.সেলিনা হায়াৎ আইভীর উপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরের পর এনিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান। তিনি বলেছেন, মামলায় যদি প্রশাসন তাকে ধরতে অসুবিধা হয় তবে তিনি দরকার হলে সংসদ সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি নেবেন।

 

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ফতুল্লার লামাপাড়ায় নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল এমিউজম্যান্ট (নম) পার্কে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এই কথা বলেন।     

 

শামীম ওসমান বলেন, মামলার একজন আসামি হিসেবে প্রশাসনকে বলতে চাই তদন্ত করেন। যদি মনে হয় এমপিকে ধরতে অসুবিধা হচ্ছে, ধরা যায়না। তবে আমি এই মুহুর্ত্ব থেকে দরকার হলে সংসদ সদস্যপদ ছেড়ে দেবো। কিন্তু তদন্ত করেন। আমার কারণেই যদি এঘটনা ঘটে থাকে যদিও আমি আমার পার্টির সেক্রেটারির কথায় সেখানে গিয়েছিলাম। এখানে খেলবেননা। ধৈর্য্য ধরতে ধরতে আর গালি শুনতে শুনতে খারাপ লাগেনা। কারা নায়ক আর কারা খলনায়ক সেটিও বের করতে হবে। খেলা যেহুতু দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে খেলা যদি খন্দকার মোশতাকের পর্যায়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তবে নারায়ণগঞ্জের মাটি দেখা যাবেনা, শুধু মাথা দেখা যাবে। শামীম ওসমানের কর্মীর উপর আঘাত করার পর কেউ যদি মনে করে নারায়ণগঞ্জ শান্ত থাকবে তারচেয়ে বোকার রাজ্যে আর কেউ বাস করবেনা। আমার কর্মীর গাঁেয় আচঁড় দিয়ে নারায়ণগঞ্জে কেউ একঘন্টাও আরামে ঘুমাতে পারবেনা। এটা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিলাম। আমার বক্তব্যটা হালকা করে নিবেননা।  

গত নাসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচনের দিকে ইঙ্গিত করে সাংসদ শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জের মনোনয়ন দিলাম কাকে? আমি তার উচ্চারণ করতে চাইনা। সামনে সময় আছে, দেখা হবে। আমি এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছি একজন আসামি হিসেবে। একটি মামলার আসামি আমি। মামলাটি কি? আমি যারে গোনায় ধরিনা সেরকম একটি মানুষ। কিসের মামলা, কে করলো মামলা, কেন করলো মামলা এই ব্যাখ্যাটা দিতে হবে। আমি মনেপ্রাণে চাই সংসদ সদস্য কিংবা মন্ত্রীর দ্বারা দল পরিচালিত হবেনা। দলের দ্বারা সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রী পরিচালিত হবেন যেটি প্রধানমন্ত্রী চান। কারণ দলের মূল শক্তি তৃণমূলের নেতাকর্মী।  

 

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, মামলায় আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগের পোড় খাওয়া নেতাদের। আজকের দিনটা যদি আওয়ামী লীগের দিন না হয়ে অন্য কোন সরকার ক্ষমতায় থাকতো তাহলে নারায়ণগঞ্জের রাস্তায় এখন এই মামলার কারণে শুধু চাড়া নাচঁতো, অন্য কিছু নাঁচতো না। এই ক্ষমতা নেতাকর্মীদের আছে। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই মামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেন শামীম ওসমান। তিনি বলেন, ২২ মাস ১৮ দিন আগে হকারদের সাথে সংঘর্ষ হয়েছিলো মেয়রের। আমি কোথাও শুনি নাই মেয়রদের সাথে হকারদের সংঘর্ষ হয়। সেই দিন ওই ঘটনার সাথে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাদের কোন সম্পৃক্ততা ছিলোনা। ঘটনা জানতো না কেউই। 

 

মামলার প্রধান আসামি নিয়াজুল প্রসঙ্গে শামীম ওসমান বক্তব্যে বলেন, নিয়াজুল ওইদিন ওখান দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলো। নিয়াজুল কে? আওয়ামী লীগের একসময়ের তুখোড় নেতা এবং পরবর্তীতে পারিবারিক চাপের কারণে রাজনীতি থেকে মোটামোটি সরে গিয়েছিলেন  সংসারের দায়িত্ব নেবার ফলে। কেন নিয়াজুলকে প্রধান আসামি করা হয়? নিয়াজুলের পরিচয় হচ্ছে নিয়াজুলের বড় ভাই নজরুল ইসলাম সুইট ২০০১ সালে ফ্যাসিস্ট খালেদা জিয়া যখন নারায়ণগঞ্জে আসে তখন এই সাহসী সুইট একা দাঁড়িয়ে কালো পতাকা প্রদর্শন করেছিলো। পরে তাকে গ্রেপ্তার করানো হয়েছিলো। কোর্ট থেকে তাকে রিমান্ড করা হয়েছিলো। সুইট রিমান্ডের আসামি হওয়ার পরেও রিমান্ডে থাকা অবস্থায় জেলখানা থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরদিন নিয়াজুলের ভাই সুইটের লাশ আমরা রাস্তায় দেখতে পাই। ১৯৯৫ সালে নারায়ণগঞ্জকে যখন প্যালেস্টাইন বানিয়ে ফেলেছিলো বিএনপি নেতারা তখন ১৫ দিনে ১২ জনকে হত্যা করা হয় তখনও প্রতিবাদী ছিলো নিয়াজুল। ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি ওই ঘটনার সময় নিয়াজুল রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম দেখে আসরের নামায পড়তে গাড়ি থেকে নেমে যায়। কেউ হামলা করতে গেলে একা যাওয়ার কথা নয়। রাজনীতি করা ছেলে নিয়াজুল যখন দেখেছে গরীব মানুষকে মারা হচ্ছে তখন সে প্রতিবাদ করেছিলো এবং বলেছে মারছো কেন ভাই? মেরোনা! এই কথা বলার অপরাধে নিয়াজুলের উপর হামলা করা হয়েছে।  সেই দিন অনেক আওয়ামী লীগ নেতা তাকে বাধা দিলেন। আইভীকে যদি হত্যার চেষ্টা করা হয় তবে আওয়ামী লীগ নেতা কাদির তো আইভীর বোনের জামাই। কাদিরের তো নিয়াজুলকে মারতে বাধা দেয়ার কথা না। প্রথমে নিয়াজুলকে মেরেছে শিবিরের একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। নিয়াজুল হতচকিত হলো। সে ঘুরে দাঁড়িয়ে দুবার প্রতিবাদ করলো। নিয়াজুলকে উপর্যুপুরি হামলা করলো। লাইসেন্স করা পিস্তল নিয়াজুল বের করলেও সে গুলি করেনাই। কিন্তু তার অস্ত্র ছিনতাই করা হলো। নিয়াজুল তখনো অর্ধমৃত। সেময় জুয়েলসহ অনেকে তাকে উদ্ধার করতে দোঁড়ে গেলো। 

 

শামীম ওসমানের দাবি করে বলেন, ওইদিন মেয়রকে শিবিরের ক্যাডাররা ঘিরে রেখেছিলো। এরপর নাটক করা হলো। বলা হলো, উনাকে (মেয়র আইভী) মারার চেষ্টা করা হয়েছে। হঠাৎ করে ২২ মাস পরে কেন লাফালাফি?

 

নারায়ণগঞ্জে একটি অডিও আপলোড করা হয়েছে জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জে নাশকতা করতে তল্লায় গোপনে মিটিং করছে। সেখান থেকে ১৭জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। জামাতের সাবেক আমির, মুজাহিদের সবচেয়ে কাছের লোক মাইনুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হলো। মাইনুদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের বক্তব্যে যা বলেছে তা অডিও লিকেজ হওয়ার কারণে আমরা যা শুনতে পেয়েছি ও জানলাম কিভাবে নারায়ণগঞ্জে জামাতের সাথে আঁতাত করা হয়েছে।  সেখানে মাইনুদ্দিন বলেছে, মেয়র হচ্ছে আমাদের লোক। তাকে আওয়ামী লীগে রাখা হয়েছে কারণ শামীম ওসমান থাকতে বিএনপি-জামাতকে মোকাবেলা করা আমাদের পক্ষে সম্ভবনা। তাই তাকে (আইভী) আওয়ামী লীগে রাখা হয়েছে যাতে শামীম ওসমানকে আঘাতপ্রাপ্ত করা যায়। সে তো খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করে এসেছে। বলা হলো মুজাহিদের সন্তানরা যখন কোথাও নাগরিকত্ব পাচ্ছেনা তখন মুজাহিদের বউ নারায়ণগঞ্জে ফোন করে এবং সেইদিন নারায়ণগঞ্জ থেকে গোপনে সিটি করপোরেশন থেকে জন্মনিবন্ধন দেয়া হয়। এসব কথা বিশ্বাস করতামনা। কিন্তু আরেকটা কথা বলেছিলো  মাইনুদ্দিন। নারায়ণগঞ্জ আদর্শ স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলো মুজাহিদ। সেখানে অস্ত্রের ট্রেনিং দেয়া হতো। সেখানে জামাতের গোলাম আজমের বই পড়ানো হতো। মাইনুদ্দিন বললেন, নারায়ণগঞ্জে ১৯৭৫ সালের পরে আমার বাবা জেলে থাকার সময় আজ যিনি মামলা করেছেন তাঁর পিতা আমার চাচা মরহুম আলী আহম্মদ চুনকা সাহেব ওই স্কুলের জমি যার মালিক ছিলো আদমজী জুট মিলের। সেটি দখল করে জামাতের কাছে বিক্রি করা হয়। আমি এটিকে অসম্ভব বলেছিলাম। 

শামীম ওসমান কয়েকটি কাগজ উঁচিয়ে ধরে দেখিয়ে বলেন, এই দলিলের তারিখ ২১/১০/৭৬। বঙ্গবন্ধুর রক্তের দাগ তখনো শুকায় নাই। যখন নিজেদের নিয়ে অনেক বড় কথা বলেন। কিন্তু তাদের পূর্বপুরুষরাই নারায়ণগঞ্জের এই জমি দখল করে মুজাহিদের হাতে মাত্র ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে তুলে দিয়েছিলো। কে দিলো আমার শ্রদ্ধেয় চাচা এবং তৎকালীন এসডিওর মাধ্যমে। মাইনুদ্দিনের কথা যদি সত্য হয় তাহলে সব বক্তব্যই সত্য হয়ে দাঁড়ায়। নাহলে ২২ মাস পর মামলা কেন?        

 

বিএনপির সমালোচনা করে শামীম ওসমান বলেন, আগুন সন্ত্রাসীরা বলে দেশে নাকি আইনের শাসন নাই। যারা গ্রেনেড মেরে মানুষকে হত্যা করে তারা আইনের শাসনের কথা বলে। বিএনপিকে দেশের মানুষ অবাঞ্চিত ঘোষণা করায় এখন তারা তাদের বিদেশী প্রভুদের কাছে আশ্রয় প্রশ্রয় চায়। ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে কোথাকার প্রিয়া সাহা গিয়ে বলে বাংলাদেশে আইনের শাসন নাই। ইংরেজি-বাংলা কোন পত্রিকার সম্পাদকরা আছে এরসাথে, কোন সুশীল সমাজ, কোন কবির মেয়ে বড় বড় টিপ পড়ে, কোন এনজিওরা। আমরা সবাই জানি। প্রিয়াসাহাকে পাঠানো হয়, ডাকসুর ভিপিকে পাঠানোর চেষ্টা করা হয় আমরা সব জানি। প্রেক্ষাপট তৈরি করতেই এইগুলা করা হচ্ছে। এগুলা খায়না। না খাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ২২ মাস পর সরকারি দলের মেয়র হয়েও সরকারকে বিবাদী করে মামলা করলেন। ২২ মাস পর স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, পুলিশের আইজিপি, এসপি, ডিসি, ওসিকে বিবাদী করে আমাদের নামে মামলা দেয়া হলো। আসলে এই কাগজ বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। বিদেশীদের দেখিয়ে বলা হবে, দেখেন বাংলাদেশে কি ন্যায় বিচার পাওয়া যাবে, সরকারদলীয় মেয়র ২২ মাস ধরে অপেক্ষা করছে কিন্তু তার মামলা নেয়নাই, হাইকোর্টের অপেক্ষা করতে হয়েছে। তবে মামলা একটা হবেনা, নিয়াজুলের মামলা হবেনা? দোষী হলে আমাদের বিচার হবে, ঘটনা উল্টো হলে তাদেরও বিচার হবে। 

 

২০১৮ সালে মামলা কেন নিলোনই এই প্রশ্ন রেখে শামীম ওসমান বলেন, তখন মেয়র মার খেলো, নারায়ণগঞ্জ থানায় দুইবার গেলো কিন্তু কেন মামলা নেয়া হলোনা। আদালতে যাওয়ার পরও মামলা হলোনা কেন? এটি আমারও প্রশ্ন। কারণ তৎকালীন পুলিশ তাকে (মেয়র আইভী) সেভ করতে চেয়েছে। বুয়েটের এতো বড় চাঞ্চল্যকর ঘটনা যদি ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে সনাক্ত করা যেতে পারে তাহলে সেদিনের ভিডিও ফুটেজ দেখলেও তো প্রমাণ হয়ে যাবে। মেয়রকে সেভ করার কারণেই সেদিন থানায় মামলা নেয়া হলোনা। কিন্তু তিনি সেটা বুঝলেননা। 

 

মামলা হওয়ার পর নেতাকর্মীরা উত্তেজিত জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, নেতাকর্মীদের মধ্যে বিষ্ফোরন। তারা আমাকে প্রস্তাব দিয়েছে কিচ্ছু করতে হবেনা, শুধু আপনি কয়েকদিনের জন্য দেশের বাইরে যান। নারায়ণগঞ্জের রাজপথ কার আমরা দেখতে চাই। ধৈর্য্য ধরতে হবে। ১/১১ এর যারা খেলোয়ার তারা ঘনঘন নারায়ণগঞ্জে আসে। নারায়ণগঞ্জ বদনাম হয় কোন সময় র‌্যাবের কারণে, কোন সময় বদনাম হয় করাপটেড অফিসারের কারণে, নারায়ণগঞ্জের মানুষের কারণে নারায়ণগঞ্জ বদনাম হয়না, বাইরের মানুষের কারণে হয়। তারাই বদনাম করে দিয়ে যায়।   

 

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি হকার ইস্যুতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) মেয়র ডা.সেলিনা হায়াৎ আইভীর উপর হামলার জন্য নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানকে দায়ী করা হয়েছে। হামলার ঘটনার দীর্ঘ ২২ মাস ১৮ দিন পর আদালতে মামলা হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফাহমিদা খাতুনের আদালতে মেয়র আইভীকে মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত আইন কর্মকর্তা জি এম এ সাত্তার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে সদর মডেল থানাকে এজহার হিসেবে গণ্য করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলায় ঘটনার দিন অস্ত্র প্রদর্শনকারী নিয়াজুল ইসলাম খান (৫২), নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম (৪৯), সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল (৪৮), মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু (৪৬), জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন (৩৫), স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জানে আলম বিপ্লব (৪২), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সুজন (৩২), যুবলীগ কর্মী নাসির উদ্দিন ওরফে টুন্ডা নাসির (৫২), যুবলীগ নেতা চঞ্চল মাহমুদসহ (৫২) ৯ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত প্রায় ৯০০ থেকে ১০০০ জনকে আসামী করা হয়েছে।

 

ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সেক্রেটারি আবু হাসনাত শহীদ মো.বাদল, সহসভাপতি মিজানুর রহমান বাচ্চু, যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল, মহানগর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি খোকন সাহান, সহসভাপতি বাবু চন্দন শীল, যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে পূর্বের কমিটির সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল ও সেক্রেটারি এম শওকত আলীর নামই সভাপতি ও সেক্রেটারি হিসেবে ঘোষণা করা হয়।  


 

এই বিভাগের আরো খবর