শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

পেয়াঁজের ঝাঁজেও জ্বলে উঠতে পারেনি বিএনপি, আটক ১

প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্য সামগ্রীর মুল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির আয়োজিত সমাবেশ পুলিশের বাধার কারণে পন্ড হয়ে গেছে। এ সময় মহানগর বিএনপির ধর্মবিষয় সম্পাদক শাহরিয়ার ইমনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।


সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর চাষাঢ়ায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের পশ্চিম পাশে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি অনুযাযী এ বিক্ষোভ সমাবেশে আয়োজন করে  জেলা ও মহানগর বিএনপি।

উপস্থিত বিএনপি নেতারা বলেন, দুপুর থেকেই সদর থানার পুলিশ এসে তাঁদের সেখান থেকে নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয় এবং তাঁদের হাতের ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং সমাবেশ পন্ড করে দেয়। তবে সমাবেশের শেষ পর্যায়ে মহানগর বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার চৌধুরী আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। 

অপরদিকে আটকের খবর জানাজানির পরপরই জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ সেখানে আসলে নেতাকর্মীরা শ্লোগান দিয়ে আবারও একত্রে জড়ো হয়ে চাষঢ়া শহীদ মিনারের অভিমুখে একটি ঝটিকা মিছিল বের করে।

মিছিল শেষে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ বলেন, পেঁয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধিতে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করার জন্য শত শত নেতাকর্মী এখানে উপস্থিত হয়েছিলাম। জনগণের দাবি মৌলিক অধিকার এই সরকার হরণ করেছে। আমাদেরকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করতে দেয়নি। 

আজকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে জনগণের বিশ্বাস উঠে গেছে এই সরকারের উপর থেকে। এই পেঁয়াজের মূল্য ষড়যন্ত্র করে বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রচুর মজুদ থাকার পরেও আওয়ামী ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য মন্ত্রী খাদ্য মন্ত্রীর ছত্র-ছাঁয়ায় থেকে আজকে তাঁরা সাধারণ মানুষের টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্যে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি করেছে।

 

তিনি বলেন, তাঁদের এই ষড়যন্ত্র আজকে মানুষের কাছে উন্মোচিত হয়েছে। একদিকে তাঁরা পেঁয়াজের মূল্য কমাতে পারছেনা অন্যদিকে তাঁরা চালের মূল্য বৃদ্ধি করে আবার সাধারণ মানুষের টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সরকারের এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে অতীতে যেমন রাজপথে ছিলাম আগামীতেও রাজপথে থাকবো। 

 

আজকে বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে রয়েছে বলেই এই সরকার লুটপাটের রাজনীতি এই দেশে কায়েম করতে সক্ষম হয়েছে। যদি আজকে বেগম খালেদা জিয়া কারাগার থেকে মুক্তি পায় তাহলে কালকে থেকে এই সুবিধাবাদী আওয়ামী নেতাদের পাওয়া যাবেনা।


জেলা বিএনপির সহসভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, সহসভাপতি মাহফুজুর রহমান হুমায়ূন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমএ আকবর, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার, যুব বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল হক রিপন, ক্রিড়া সম্পাদক নাদিম হাসান মিঠু।
 এছাড়া মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এড.জাকির হোসেন, রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট রিয়াজুল ইসলাম আজাদ, যুগ্ম সম্পাদক আবদুস সবুর সেন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু, আবুল কাউছার আশা প্রমুখ।  

এই বিভাগের আরো খবর