শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

পেঁয়াজের পর বাড়ছে চালের দাম, বাড়ছে অস্থিরতা

প্রকাশিত: ৯ নভেম্বর ২০১৯  

যুগের চিন্তা রিপোর্ট : পণ্য দ্রব্যের লাগামহীন দামে জনজীবনে বাড়ছে অস্থিরতা। পেঁয়াজের পর আবার বাড়ছে চালের দাম। গতকাল নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখাগেছে, এক থেকে দুইটাকা চালের কেজিতে বেড়েছে। ইতিপূর্বেও ব্যবসায়ীরা চাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এখন আর এসব পন্যের দাম কমার কোন লক্ষন নেই।

 

ফের চালের বাজার উত্তপ্ত করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমলেও ডাল, আটা, ময়দা, ভোজ্যতেল চিনি সহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের চড়া মূল্য এবং তা অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন দামে নাভিশ্বাস সাধারণ মানুষ। 


গতকাল নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখাগেছে, অন্যান্য দিনের চেয়ে সপ্তাহের ছুটির দিনে ভিড় বেশী থাকে। আর এই দিনে বাজারে সব ধরনের পণ্যের সরবরাহও বেশী থাকে। তবে বাজার ঘুরে দেখাগেছে দেশী ও আমদানী করা পেঁয়াজের কোন ঘাটতি নেই। তবে এখনও কমেনি পেঁয়াজের ঝাঁজ। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। আর আমদানী করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা দরে। 


পেঁয়াজের পর আবার বাড়তে শুরু করেছে চালের বাজার। তবে সরু চাল কেজিতে দুই টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে যে মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৪৩ থেকে ৪৬ টাকা। গতকাল ওই চালের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। ইতিপূর্বেও ব্যবসায়ীরা চাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। পেঁয়াজের পর ফের চালের বাজারে সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে। তবে মোটা চালের থেকে বাড়ছে সরু চালের দাম। 


এ ছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের মধ্যে  আবারও ডিমের দাম অস্থির হয়ে উঠেছে। গত সপ্তাহের চেয়ে ডিমের হালিতে দুই টাকা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। গত সপ্তায় ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও গতকাল কেজিতে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। তবে কোন কোন বাজারে দামের হেরফের রয়েছে। 


এদিকে, শীত উঁকি দিতেই বাজারে আসতে শুরু করেছে শাক-সবব্জি। এসব কোন কোন শাক-সব্জির দাম ১’শ ছুঁই ছুঁই। আলু, পটল, বেগুন, বরবটি, কাকরল, কচুর গাটি, ডাটা, করল্লা, উস্তা, টমেটো আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হতে দেখাগেছে। তবে শীতকালীন কিছু সবজি বাজারে এলেও দাম উর্ধ্বমুখি। শীতকালীন সবজি সীম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। আর দেশী  টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়। বিদেশী টমেটো ৮০ টাকা।  


 বাজার ঘুরে দেখাগেছে প্রতি কেজি চিচিঙ্গা ৫০, ঝিঙ্গা ৪০, কাঁচা পেঁপে ৩০, দেশী ধনিয়া পাতা ১৫০, লাউ মাজারী ৬০, শশা চিকন ৫০, ছোট লেবু প্রতি হালী ২৪, বড় সাইজ ৪০, চাল কুমড়া পিছ ৫০, করল্লা ৫০, বরবটি ৬০, বেগুন ৪০, পটল ৪০, পুঁইশাক ৩০, লালশাক ৩০, উস্তা ৬০ ঢেড়স ৪০ গাজর ১২০ মুলা ৫০ টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে। 


অন্যদিকে প্রতি কেজি কাঁচকি মাছ ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, চাষ করা কৈ ১৫০ থেকে ২০০, মাঝারী সাইজের চিংড়ি ৪০০ থেকে ৫০০, শিং ৫০০ থেকে ৬০০, পুঁটি ২০০ থেকে ২৫০, বড় সাইজের শোল মাছ ৫০০ থেকে ৬০০, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ১৩০, বোয়াল, ইলিশ, রুই, কাতলা সহ অন্যান্য মাছের দাম কিছুটা কমতির দিকে। তবে পূর্বের চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। ৫৫০ টাকা  কেজি সরকারী নির্দেশনা থাকলেও ৬০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। 
 

এই বিভাগের আরো খবর