মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ৫ ১৪৩০

নিয়াজুলের অস্ত্রের লাইসেন্স নবায়নে পুলিশের ‘না’

প্রকাশিত: ১৬ মে ২০১৯  

দৈনিক প্রথম আলো থেকে নেয়া (যুগের চিন্তা ২৪) : নারায়ণগঞ্জে ফুটপাতে হকার বসানোর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় গত বছর সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর ওপর হামলার সময় পিস্তল উচিয়ে ধরা নিয়াজুল ইসলাম খানের অস্ত্রের লাইসেন্স নবায়ন না করার মত দিয়েছে পুলিশ। 

 

সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা ও ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের পৃথক তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই অস্ত্র নবায়ন করা হলে লাইসেন্সধারী অস্ত্র নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারেন। 

 

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.নুরে আলম প্রথম আলোকে জানান, দুই থানার তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এবিষয়ে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম তদন্ত শেষে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। অন্যদিকে ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল আজিজও তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করেন। 

 

গত ২২ জানুয়ারি নিয়াজুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাব্বী মিয়া স্বাক্ষরিত চিঠিতে নিয়াজুলের পিস্তলের লাইসেন্স নবায়নে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার মতামত জানতে চাওয়া হয়। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, শহরের উত্তর চাষাঢ়া এলাকার নিয়াজুল ইসলামের নামে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের  আগ্নেয়াস্ত্র শাখা থেকে ইস্যু করা পিস্তলিটি ২০১৮ সাল পর্যন্ত নবায়ন করা। লাইসেন্সধারী পিস্তলটি ২০১৯ সালে নবায়নের জন্য অস্ত্র প্রদর্শন করে আবেদন করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা ও ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশকে নির্দেশ দেয়।

 

 সদর  মডেল থানার তদন্ত প্রতিবেনে উল্লেখ করা হয়, অস্ত্রটি পুনরায় নবায়ন করা হলে লাইসেন্সধারী সুযোগ পেলে যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারেন। তাই অস্ত্রটি নবায়ন না করা খুবই জরুরি। এবিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মো.আসলাম হোসেন জানান, অস্ত্রটি নবায়ন না করার জন্য প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। 

 

গত বছরের ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ নগরের চাষাঢ়ায় ফুটপাতে হকার বসানোকে কেন্দ্র করে মেয়র আইভী ও তাঁর সমর্থকদের ওপর হকার ও সাংসদ শামীম ওসমানের সমর্থকরা হামলা চালান। এতে মেয়র আইভীসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। হামলার সময় সাংসদ শামীম ওসমানের অনুসারী নিয়াজুল ইসলামকে পিস্তল উচিয়ে ধরতে দেখা যায়। ওই ঘটনায় জেলা প্রশাসন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জসীম উদ্দিন হায়দারকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটিকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।

 

ঘটনার পরদিন ১৭ জানুয়ারি মেয়র আইভীর সমর্থক ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অস্ত্র ছিনতাই ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন নিয়াজুল। ঘটনার ৬দিন পর ২২ জানুয়ারি মেযর আইভীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নিয়াজুলসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১ হাজার জনকে আসামি করে সিটি করপোরেশনের আইন কর্মকর্তা জিএমএ সাত্তার সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। 
 

এই বিভাগের আরো খবর