শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

নিজেকে প্রশ্ন করলেই প্রধানমন্ত্রী উত্তর খুজে পাবেন

প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০১৮  

এড. তৈমূর আলম খন্দকার : বিস্মিল্লাহির রাহ্মানির রাহিম। স্বাধীনতার মাস মার্চ ২০১৮ ইং ২২ তারিখে দুটি ঘটনার পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী আন্তর্জাতিক মিডিয়া বিবিসি আরও একটি তথ্য প্রকাশ করে পত্রিকায় নিয়মিত পাঠকদের মনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

 

নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের প্রবেশের জন্য জাতিসংঘ কর্তৃক প্রদত্ব সাটিফিকেট উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর জয়গান গেয়ে পুলিশ, র‌্যাব, সরকারী আমলাদের মিছিল, অন্যদিকে সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনী ফলাফল, অধিকন্তু একই সময় “মরার উপর খাড়ার ঘা” হিসেবে স্বৈরতন্ত্রে বাংলাদেশের অবস্থান বিষয়ক বিবিসির তথ্য বহুল প্রতিবেদন।

 

২২শে মার্চ ২০১৮, ঢাকা মহানগরী সহ দেশব্যাপী সরকারী প্রশাসনের উদ্দ্যেগে সভা সেমিনার র‌্যালীসহ সুন্দর পোষাকের পাশাপাশি রংবে রংগের ব্যানার ফ্যাষ্টুন ডাক ঢোলে মনে হচ্ছিল যে, নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত করায় জাতিসংঘের সার্টিফিকেট পেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে “ধন্য” “ধন্য” করার প্রয়াসে যেন জাতি আজ আল্লাদে আটখানা! একই কারণে ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসের পূর্বেই ২১ তারিখ থেকে রাজধানীর সকল সরকারী অফিসকে সাজানো হয়েছে লাল, নীল বাতির ঝলকে। উদ্দেশ্য একটাই ছিল জাতিসংঘের সার্টিফিকেটকে বরণ করে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্য করা। যে দেশের অগনিত মানুষ এখনো ভিক্ষা করে, যে দেশে ইয়াবা সহ নেশার ব্যবসা দু:ক্ষজনক হলেও জাতীয় করণ হয়েছে, যেখানে প্রশ্ন পত্র ফাস একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা, যে দেশে ব্যাংক লুট করে জনগণের কোটি কোটি টাকা লোপাট করা হচ্ছে সে দেশকে যখন মধ্যম আয়ের দেশ হিসাবে স্বীকৃত দেয়া হয় তাহা আনন্দের সাথে গ্রহণ করবে, এটাইতো স্বাভাবিক। কিন্তু জাতিসংঘের সার্টিফিকেট ও বাস্তবতার কতটুকু সামানজস্য রয়েছে তাহা ভুক্তভোগী জনগণই নির্নয় করবেন। তবে এটুকু বুঝা যায় যে, শাসক শ্রেণীর ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। যে ছিল ১০০ বিঘা জমির মালিক সে হয়েছে ৫০০ বিঘা সম্পত্তির মালিক, পক্ষান্তরে যার ৫/৭ বিঘা সম্পত্তি ছিলো তা বিক্রি করে সে হয়েছে নি:স্ব দিনমজুর।

 

অন্যদিকে বলতে হয় যে, জাতিসংঘ একটি ঠুটো জগন্যাত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে জাতিসংঘের ভূমিকা ছিল বর্বর পাকিস্তানীদের পক্ষে, ঠিক আমেরিকার সরকারের মত। পৃথিবীর কোন রাষ্ট্রে শাস্তি স্থাপনে জাতিসংঘ কার্যকর কোন ভূমিকা রাখতে পারে নাই। আমেরিকা, বৃটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীনের ক্ষমতার মনোরঞ্জনের জন্য জাতিসংঘ একটি ক্লাব মাত্র, অন্যকিছু নহে। মিয়ারমারে গণহত্যার প্রতিকারের জন্য জাতিসংঘ অং সং সূচীর একটি চুলও বাকা বা সোজা করতে পারে নাই, শুধুমাত্র উদ্দ্যেগ প্রকাশ ছাড়া, যেমন উদ্দ্যেগ প্রকাশ করেছিল ২০১৪ ইং সালে বাংলাদেশে একতরফা ভোটার বিহীন নির্বাচনের সময়। যা হউক, জাতিসংঘ যে সার্টিফিকেটই প্রদান করুক না কেন বাংলাদেশের জনগণের এ মর্মে উপলব্দি কি সেটাই এখন পর্যালোচনার বিষয়।

 

যে দিন (২২শে মার্চ ২০১৮) জেলা/উপজেলাসহ রাজধানীতে মধ্যবর্তী আয়ের উল্যাস চলছিল সে দিনই সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০১৮-২০১৯ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হয়। এ নির্বাচনে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ ছিল, প্রধানমন্ত্রী পরিবারের সদস্য ব্যারিষ্টার ফজলে নূর তাপস এম.পি (আওয়ামী পন্থী আইনজীবী সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক) নিজে ২ দিন দাড়িয়ে ভোট প্রার্থনা করেছেন। সরকার দলীয় সমর্থীত প্রার্থীদের পক্ষে অনুরূপ দাড়িয়ে থেকে ভোট প্রার্থনা করেছেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা মাননীয় এ্যাটর্নী জেনারেল যার দায়িত্ব রাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষা করা কোন রাজনৈতিক দলের নহে। তার সাথে আওয়ামী আইনজীবী শীর্ষ নেতারা ছিল। পাশাপাশি বিএনপি শীর্ষ আইনজীবীরা দাড়িয়ে অনুরূপ ভোট প্রার্থনা করেছেন। উৎসবপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সমাপ্তি হয়। ভোট গণনায় দেখা গেল যে, ১৪টি পদে প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারীসহ বিএনপি পন্থীরা পেয়েছে ১০টি পদ অন্যদিকে যুগ্ম সম্পাদক ও সদস্য মিলিয়ে মোট ৪টি পদ পেয়েছে আওয়ামী লীগ। এমতাবস্থায়, জনসমর্থন সরকারের পক্ষে কতটুকু রয়েছে তা সরকারের উপলব্দি হয়েছে কি না? তবে পত্রিকান্তরে প্রকাশ যে, দেশের সর্বোচ্চ আইনজীবী প্লাটফর্মে নির্বাচনে ভরাডুবির কারণ খুজছে সরকার।

 

পত্রিকান্তরে প্রকাশ, এ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় সম্পর্কে নবনির্বাচিতরা এ মর্মে মন্তব্য করেন যে, “দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীরা সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভুল করেনি। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীরা কাজ করতে চায়। কিন্তু সরকার সেটি করতে দিচ্ছে না। সরকার বিচার বিভাগকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি সরকার বিচার বিভাগকে যেভাবে দলীয়করণ করছে, এ বিজয় তার প্রতিবাদ। আইনজীবীরা অন্যায়ের জবাব দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনের মাধ্যমে বলে মনে করেন নবনির্বাচিতরা।”

 

সুপ্রিম কোর্ট বারে আওয়ামী লীগ পন্থীদের ভরাডুবির কারণ সম্পর্কে বলতে গিয়ে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, “সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার পদত্যাগের বিষয়ে সরকার ও তার সমর্থিত আইনজীবীরা যে বিরূপ ভূমিকা রেখেছিল তা সাধারণ আইনজীবীদের কাছে পছন্দনীয় বা গ্রহণযোগ্য ছিল না। এ ছাড়াও নি¤œ আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ রাষ্ট্রপতির হাতে রেখে তাদের চাকরির যে শৃঙ্খলা বিধিমালার গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে, তাও আইনজীবীরা সহজভাবে নেননি। এসব কারণেই তারা আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের ভোট দেননি।”

 

বিএনপি নিধনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবহার করায় তারা এখন বেপোয়ারা। তারা নিজেরই এখন বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ নিয়োগে “ঘুষ বানিজ্য এখন ওপেন সিক্রেট”। জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত কিছু সংবাদ এ মর্মে উধৃত করা হলো।

 

২৬/৩/২০১৮ ইং তারিখে পত্রিকান্তরে প্রকাশ “নারায়নগঞ্জ জেলা ডিবি অফিসের পাশের বাগানেই রয়েছে মাদকের আখড়া। ডিবি পুলিশের হাতে আটক হওয়া বেশিরভাগ মাদকই ঐ আখড়ায় লোক মারফত বিক্রি করতো ডিবির ওসি ড. খন্দকার মাহবুব ও পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহার। মাদকের ডনকে গ্রেফতার আবার ৫০ লাখ টাকা উৎকোচের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া, আবার একই স্থানে বসে ৩ লাখ পিস ইয়াবা গায়েব করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ডিবির সাবেক ওসি মাহবুব ও মাজাহারের বিরুদ্ধে। আর এ ঘটনার পরই ডিবির কর্মকান্ড নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কার ছত্র ছায়ায় মেট্রোহলসহ সংলগ্ন বাগানে চলছে মাদক ব্যবসা এমন প্রশ্নও শহর ও শহরবাসীর মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। মাদকের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশের অবস্থান বিভিন্ন সভা সেমিনারে কর্তাব্যক্তিরা তুলে ধরে। ডিবি অফিস সংলগ্ন বাগানে প্রকাশ্যে চলে মাদক ব্যবসা। অভিযোগ রয়েছে বছরের পর বছর ডিবি পুলিশের শেল্টারে বাগানে চলে মাদক কেনা বেচা। ঐ বাগানের বেশির ভাগ মাদক ডিবি পুলিশের। বিভিন্ন সময় আটককৃত মাদকের চালানের হিসাব পুলিশ সুপারকে না দিয়ে, ডিবি ওসি মাহবুব ও মাজহার বাগানে বিক্রি করে দেয়। আর মাদকের জোন থেকে দুই মানিক জোট মাহবুব ও মাজহার ইতিমধ্যে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা।”

 

২৬/৩/২০১৮ ইং তারিখে একটি পত্রিকায় প্রকাশিত আর একটি সংবাদ নি¤েœ তুলে ধরা হলো “নারায়নগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের তিন কর্মকর্তা ফতুল্লার ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর মিথ্যা মামলায় তাঁকে ফাঁসিয়েছে। তিনি বর্তমানে স্ত্রী-সন্তান ও পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন। এসময় তিনি অভিযুক্তদের বিচার দাবি করেন। নাসির উদ্দিন জানান, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর তিনি ব্যক্তিগত কাজে ব্যাংকক যান। গত ৫ জানুয়ারি দেশে ফেরেন। বিমানবন্দরের সামনে রাস্তায় ডিবি পরিচয়ে কয়েকজন তাঁকে জোর করে গাড়িতে তুলে চোখ বাঁধে। একপর্যায়ে রাত ১টার দিকে তাঁর চোখের বাঁধন খুলে দিলে তিনি দেখেন নারায়নগঞ্জ ফতুল্লা থানায় তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে। টানা দুই দিন থানায় আটক রাখার পর ৭ জানুয়ারি নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা শাহ আলমের মালিকানাধীন জালাল আহমেদ স্পিনিং মিলস লিমিটেডের ৬ কোটি টাকা চুরির অভিযোগ এনে মামলা দিয়ে তাকে আদালতে পাঠায়। প্রথমে তিন দিনের রিমান্ডে এনে ব্যাপক নির্যাতন করে পুলিশ। এভাবে দফায় দফায় মোট ১৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালানো হয়। মামলাটি মিথ্যা দাবি করে নাসির বলেন, তিনি ওই কোম্পানিতে চাকরি করতেন। সব নিয়ম মেনেই তিনি চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম তাঁর মোবাইল ফোন, চেক বই ও অন্যান্য কাগজপত্রসহ দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।”

 

২৪/৩/২০১৮ ইং তারিখে প্রকাশিত জাতীয় পত্রিকা থেকে আরো একটি সংবাদ নি¤েœ তুলে ধরা হলো “বাংলাদেশ এখন স্বৈরশাসনের অধীন এবং সেখানে এখন গণতন্ত্রের নূন্যতম মানদন্ড পর্যন্ত মানা হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছে একটি জার্মান গবেষণা প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের ১২৯টি দেশে গণতন্ত্র, বাজার অর্থনীতি ও সুশাসনের অবস্থা নিয়ে এক সমীক্ষার পর জার্মান প্রতিষ্ঠান ‘বেরটেলসম্যান স্টিফটুং’ তাদের রিপোর্টে এই মন্তব্য করে। রিপোর্টে ১২৯টি দেশের মধ্যে ৭১টি দেশকে গণতান্ত্রিক ও ৫৮টি দেশ এখন স্বৈরশাসনের অধীন বলে বর্ণনা করা হয়েছে। ২০১৬ সালে তাদের আগের রিপোর্টে বলা হয়েছিল বিশ্বের ৭৪টি দেশে গণতান্ত্রিক এবং ৫৫টি দেশে স্বৈরতান্ত্রিক শাসন চলছে। গণতন্ত্রের অবস্থা নিয়ে যে সূচক এই সমীক্ষার ভিত্তিতে তৈরী করা হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের অবস্থান ৮০ নম্বরে। একই অবস্থানে আছে রাশিয়া। উরুগুয়ে, এস্তোনিয়া ও তাইওয়ান এই সূচকের শীর্ষে। বিশ্বে গত ১২ বছরের মধ্যে গণতন্ত্র এবং সুশাসনের অবস্থা সর্বনি¤œ পর্যায়ে নেমে এসেছে। এক সময় বিশ্বের যেসব দেশকে মুক্ত বলে ভাবা হতো, সেসব দেশের সরকারও ক্রমশ কর্তৃত্বপরায়ন হয়ে উঠছে। রিপোর্টে বলা হয়, বিশ্বে যে স্বৈরতান্ত্রিক দেশের সংখ্যা সামান্য বেড়েছে, সেটার চাইতে বেশি উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে গণতান্ত্রিক দেশগুলিতেও এখন নাগরিক অধিকার ক্রমশ খর্ব করা হচ্ছে ও আইনের শাসন ভুলুন্ঠিত হচ্ছে। ব্রাজিল, পোল্যান্ড এবং তুরস্কের মতো দেশ যাদেরকে গণতন্ত্রায়নের আলোকবর্তিকা হিসেবে দেখা হচ্ছিল, তাদেরই সবচেয়ে বেশি অবনতি ঘটেছে। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে এই সমীক্ষা চালানো হয় যেসব দেশের ওপর, তার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে পাঁচটি দেশের কথা বাংলাদেশ, লেবানন, মোজাম্বিক, নিকারাগুয়া এবং উগান্ডা।”

 

পত্রিকান্তরে আরো প্রকাশ (১) নি¤œ আদালতের ওপর সরকারের নগ্ন নিয়ন্ত্রণ, (২) সাবেক প্রধান বিচারপতি এস.কে সিনহা ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আব্দুল ওয়াহাব মিয়ার বাধ্যতামূলক প্রস্থান, (৩) আপীল বিভাগ কর্তৃক বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জামিন ইস্যু প্রভৃতি কারণে সচেতন সমাজ আইনজীবীদের সমর্থন হারিয়েছে সরকার। সরকার তার নিজের ওজন (জনপ্রিয়তা) কোথায় গিয়ে ঠেকেছে তা উপলব্দি করতে পারছে না বিধায়ই এ ভরাডুবিতে তারা অবাক হয়েছেন। আদালত মানুষের শেষ আশ্রয়, সে আশ্রয়কে সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে যেয়ে বিচার বিভাগকে জনগণের আস্থাহীনতায় ফেলেছে। এমতাবস্থায়, তাদের জনপ্রিয়তার মাপকাঠি নিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করলে প্রধানমন্ত্রী তার সকল উত্তর খুজে পাবেন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কেন এতো বেপোরোয়া এবং কেনই অবাধে বেআইনী কাজে জড়িত হচ্ছে তার উত্তরও প্রধানমন্ত্রী নিজেই খোজবেন, প্রত্যাশা রইল। গোয়েন্দা নির্ভর না হয়ে একটু নিখুতভাবে থারমোমিটার (জ্বর মাপার যন্ত্র) ব্যবহার করলেই সরকারের জনপ্রিয়তার তাপমাত্রা কতটুকু তা বোধদয় হবে।

লেখক

কলামিষ্ট ও আইনজীবি (এ্যাপিলেট ডিভিশন)

মোবাঃ ০১৭১১-৫৬১৪৫৬

E-mail: [email protected]

এই বিভাগের আরো খবর