শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

না’গঞ্জে যেমন শামীম ওসমান আছে ত্বকীর খুনের লড়াইও আছে

প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারি ২০২০  

 
স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : নারায়ণগঞ্জে যেমন শামীম ওসমান আছে আবার ত্বকীর খুনের লড়াইও আছে’ মন্তব্য করে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ বিদ্যুৎ ও বন্দর রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে লড়াইয়ের  যে ইতিহাস রয়েছে সেখানে ত্বকীর কথা জানি, ত্বকীকে নিয়ে লড়াইয়ের কথা জানি। এখানে শামীম ওসমান যেমন আছে  আবার ত্বকীকে খুনের লড়াইও এখানে আছে।

সুতরাং নারায়ণগঞ্জে যে শক্তির জায়গাটা রয়েছে এ শক্তির জায়গাটা যদি ভরসা করি আশা করি তাহলে সর্বোপরি সর্বজনের আন্দোলনের জায়গা হিসেবে সারা বাংলাদেশে নারায়ণগঞ্জ একটি মডেল  হতে পারে।


শনিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের কালিরবাজার এলাকায় জেলা গণগ্রন্থাগারের সভাকক্ষে সংগঠনটির জেলা শাখার কনভেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।


আনু মুহাম্মদ বলেন, মুনাফাভোগী ও পুঁজিবাদীদের আগ্রাসনের কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান ধাক্কাটি পড়বে বাংলাদেশের উপকূলে। এতে করে পুরো বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার পথে রয়েছে। তাই বাংলাদেশের মানুষের সোচ্চার হওয়ার প্রয়োজন।


তিনি  বলেন, সুন্দরবন বিনাশী রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্মাণ করছে। আমরা সবসময় সরকারের কাছে শুনে এসেছি ভারত বাংলাদেশের ক্ষতি করবে না। কিন্তু ভারত লাগবে না, বাংলাদেশের সরকার নিজেই যখন বলছে, কোন ক্ষতি হবেনা । তাই ভারতকে দোষ দিয়ে আর লাভ-কি?

আনু মুহাম্মদ আরো বলেন, রামপাল থেকে একটু দুরে চীন  পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। এর পাশে জাপানসহ আরো গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি কক্সবাজার উপকুল অঞ্চলেই সরকার ১৭টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে।


সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এখানে উন্নয়নের ঢোল পেটানো হচ্ছে। জিডিপি বৃদ্ধির কথা বলা হচ্ছে। অর্থশাস্ত্রে জিডিপির ধারনাটাই বিভ্রান্তিকর। জিডিপি বাড়া মানেই উন্নয়ন নয়। উন্নয়নের ঢোল পেটানো হবে তারপরও অস্তিত্ব রক্ষার্থে আমাদের চিৎকার করে যেতে হবে।’


এ সময় আনু মুহাম্মদ আশংকা প্রকাশ করে বলেন, এসব বিদ্যুৎেকেন্দ্রর প্রভাবে এখান থেকে প্রতি বছর বিষাক্ত পদার্থসহ ৭ কোটি টন কাশবন নিস্বরণ হবে। এতে পুরো উপকুল অঞ্চলের পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে জনমানুষের জন্য ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াবে এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজার পর্যটকশূণ্য হয়ে পড়বে।


সংগঠনের জেলা আহবায়ক রফিউর রাব্বি বলেন,  আমাদের সম্পদগুলো আমাদের দেশের সরকাররা বিভিন্নভাবে কৌশলে বিদেশীদের হাতে তুলে দিচ্ছে। সরকারের এ লুটপাট ও আমাদের দেশের সম্পদ রক্ষার জন্য আমাদের এ আন্দোলনকে  যদি আরো শক্তিশালী আর বেগবান করে তোলা না যায় তাহলে যে রাজনৈতিক ধামাঢোল আমরা দেখতে পাচ্ছি এর মধ্যে আমাদের আন্দোলন জিইয়ে রাখা যাবে না। তাই আমাদের আন্দোলনকে আরো বেগবান করে তুলতে হবে।


সংগঠনের জেলা আহবায়ক রফিউর রাব্বির সভাপতিত্বে কনভেনশনে আরো বক্তব্য রাখেন ন্যাপ নেতা এ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন, বাসদের নিখিল দাস, মাঈনুদ্দিন মানিকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।


আলোচনা সভা শেষে জেলা কনভেনশনে রফিউর রাব্বিকে আহ্বায়ক ও ধীমান সাহা জুয়েলকে সদস্যসচিব করে ১৪ সদস্যের নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করেন। অন্য সদস্যরা হলেন নিখিল দাস, বিমল কান্তি দাস, আওলাদ হোসেন, হিমাংশু সাহা, তরিকুল সুজন, আবু হাসান টিপু, জাকির হোসেন, মাইনুদ্দিন মানিক, রঘু অভিজিৎ রায়, দুলাল সাহা, আরিফ বুলবুল, শাহীন মাহমুদ। এছাড়া ৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদ ঘোষণা করা হয়।

 

এই বিভাগের আরো খবর