শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

দেশে বসেই বিশেদের বিশ্বদ্যিালয়ে পড়াশোনা, চালু হচ্ছে শাখা

প্রকাশিত: ২৬ মে ২০১৯  

ডেস্ক রিপোর্ট (যুগের চিন্তা ২৪) : বিপুল অর্থ খরচ করে বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার দিন বুঝি এবার শেষ হয়ে এল। শিক্ষার্থীদের নানা ঝক্কি ঝামেলা থেকে রেহাই দিতে এবং তাদের স্বপ্ন পূরণে দেশেই এখন বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আর এ জন্য প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট বিধিমালা সংশোধন। এছাড়া অবৈধভাবে কিছু বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধের লক্ষ্যে পাঁচ বছর আগে করা বিধিমালাটি সংশোধনের কাজ শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।


শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো.সোহরাব হোসাইন জানান, বিদ্যমান বিধিমালাটি পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন দিতে ইউজিসির একজন সদস্যের নেতৃত্বে একটি কমিটি করা হয়েছে। তবে শিক্ষাবিদদের পরামর্শ ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে নামকরা ও ভালো মানের কিছু বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস চালু করে দেখা যেতে পারে, ঢালাওভাবে নয়।

 
জানা যায়, ২০১৪ সালের মে মাসে ‘বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানের শাখা ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টার পরিচালনা বিধিমালা ছক’ জারি করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর ২০টির বেশি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে শাখা ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টার চালুর আবেদন করে। যার মধ্যে ইউজিসি তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে ইতিবাচক সম্মতি দেয়।


কিন্তু তখন ওই বিধিমালার বেশ কিছু বিধান এমনভাবে ছিল যার সুযোগ যেনতেন বিশ্ববিদ্যালয়ও শাখা খোলার সুযোগ পেত। আবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকেও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস চালু না করতে নানামুখী চাপ ছিল। এ রকম পরিস্থিতিতে তখন বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা চালুর অনুমোদন দেয়া বন্ধ করে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।


শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এপ্রিলে এ বিষয়ে একটি সভা করেন। সেখানে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস অনুমতি দেয়ার বিষয়টি আলোচনা হয়। এরপর বিদ্যমান বিধিমালাটি সংশোধন করতে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক আখতার হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবদুল্লাহ আল হাসান চৌধুরী ও ইউজিসির সচিব মো. খালেদ। এরই মধ্যে কমিটি সভা করেছে। 


বিধিমালা পর্যালোচনা কমিটির প্রধান অধ্যাপক আখতার হোসেন জানান, শিক্ষার গুণগত মান এবং জাতির বৃহৎ স্বার্থ বিবেচনা করেই বিধিমালার দুর্বলতা দূর করতে কাজ করছেন তারা।

 

যেসব শর্ত পূরণ করতে হবে  
বিদ্যমান বিধিমালা অনুযায়ী, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাসের সাময়িক অনুমোদনের জন্য নিজস্ব অথবা ভাড়া করা ভবনে কমপক্ষে ২৫ হাজার বর্গফুট জায়গা থাকতে হবে এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থীর স্থান সংকুলান হয়, এমন পর্যাপ্ত পরিমাণ শ্রেণিকক্ষ থাকতে হবে। স্টাডি সেন্টারের জন্য নিজস্ব অথবা ভাড়া করা ভবনে কমপক্ষে ১০ হাজার বর্গফুটের জায়গা থাকতে হবে। এ রকমভাবে ১৫টি শর্ত পূরণ করতে হবে।


শাখা ক্যাম্পাসের সাময়িক অনুমতিপত্রের জন্য ১০ লাখ টাকা ও স্টাডি সেন্টারের জন্য ৩ লাখ টাকা ফি দিতে হবে। এ ছাড়া শাখা ক্যাম্পাসের জন্য ৫ কোটি টাকা ও স্টাডি সেন্টারের জন্য ১ কোটি টাকা তফসিল ব্যাংকে সংরক্ষিত তহবিল হিসেবে জমা (স্থায়ী আমানত) রাখতে হবে। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় এককভাবে বা স্থানীয় প্রতিনিধি অথবা দেশি ও বিদেশি উদ্যোক্তা যৌথভাবে শাখা খুলতে পারবেন।

এই বিভাগের আরো খবর